কিছুদিন আগে ও টাকা উত্তোলন করার জন্য ব্যাংকে যেতে হতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সব কিছু যেমন উন্নতি হয়েছে। ঠিক তেমনি উন্নত হয়েছে ব্যাংকিং খাতে। বর্তমান সময়ের এই ডিজিটাল যুগে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা পাঠানো এবং উত্তোলন করা যায়। আগে ব্যাংকে গিয়ে লাইনে থেকে দাঁড়িয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে যে কাজগুলো করা যেত।

এখন অনলাইনে এই যুগে ইন্টারনেট ব্যাংকিং নামক একটি ব্যাংকিং সিস্টেমে সবকিছু অনলাইনে মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়। ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারবেন, টাকা গ্রহন করতে পারবেন এবং টাকা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে পারবেন।

আরও সহজভাবে বলতে গেলে ব্যাংকের মাধ্যমে যে যে লেনদেনগুলো আপনারা করতে পারতেন ব্যাংকে গিয়ে। সেই সব কাজ গুলো বা সেই সব লেনদেন গুলো এখন অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে সম্পন্ন করতে পারবেন।

আপনি যদি না জানেন ইন্টারনেট ব্যাংকিং কি? অথবা অনলাইন ব্যাংকিং কি! তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মূলত আপনার জন্য। কেননা আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন অনলাইন ব্যাংকিং কি অথবা ইন্টারনেট ব্যাংকিং কি?

এছাড়াও আরও জানতে পারবেন অনলাইন ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো অথবা ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ইন্টারনেট ব্যাংকিং কি ও এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো কি কি!

ইন্টারনেট ব্যাংকিং কি?

বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহের যেসব লেনদেন হিসাবে কাজ গুলো আগে ব্যাংকের মাধ্যমে করা হতো। সেই সব কাজগুলো অথবা লেনদেন গুলো এখন অনলাইনের এই যুগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে করাই হলো ইন্টারনেট ব্যাংকিং। ইন্টারনেট ব্যাংকিং অথবা অনলাইন ব্যাংকিং দুটো একই অর্থ বহন করে।

আরও সহজভাবে বলতে গেলে ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা তাদের নিকটস্থ শাখায় না গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে যেকোনো স্থান থেকে যে কোন সুবিধা গ্রহণ করা এবং ব্যবহার করাকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং অথবা অনলাইন ব্যাংকিং বলা হয়। ইন্টারনেট ব্যাংকিং কে আবার অনলাইন ব্যাংকিং, নেট ব্যাংকিং, ই-ব্যাংকিল ইত্যাদি বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে।

ইন্টারনেট ব্যাংকিং কিভাবে ব্যবহার করবেন?

আপনি যেকোনো ব্যাংকে একাউন্ট খুলেন, আর যদি চান তাদের অনলাইন ব্যাংকিং হিসেবে গ্রহণ করতে তাহলে অবশ্যই আপনাকে আগেই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আগে থেকেই আপনাকে ওই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকা সত্ত্বেও যদি আপনি ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করতে চান।

তাহলে একাউন্ট খোলার পরে রেজিস্ট্রেশন করে তারপর ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করতে পারবেন। ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করার জন্য উক্ত ব্যাংক কতৃপক্ষ আপনাকে কাস্টমার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিবে। যেটার সাহায্যে আপনি অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে লগইন করে বিভিন্ন লেনদেন করতে পারবেন।

আরও দেখুনঃ এসি কেনার আগে যা জানা উচিত

ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের সুবিধা

ঘরে বসেই অথবা যেকোনো স্থান থেকে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, গ্যাস বিল, ইন্টারনেট বিল, টাকা পাঠানো, টাকা উঠানো, ইন্সুইরেন্স, মোবাইল রিচার্জ, ফান্ড, ডিপোজিট সহ যেকোনো কিছুর জন্য টাকা লেনদেন করা যায়।

এছাড়াও অফলাইনের ব্যাংকে গিয়ে দাড়িয়ে থাকার ঝামেলা থাকে না। যেকোনো সময়ে যেকোনো কিছুর জন্য টাকা লেনদেন করা যায়। এতে করে বাড়তি ঝামেলায় সময় যেমন বাঁচে তেমনি বাড়ে বাড়ে ব্যাংকে যেতে হয় না। এছাড়াও আরো অনেক সুযোগ সুবিধা এই ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে পাওয়া যায় যা অফলাইনের ব্যাংকিয়ে পাওয়া যায় না।

ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের অসুবিধা

অনলাইন ব্যাংকিয়ে যেমন প্রচুর সুযোগ সুবিধা রয়েছে তেমনি অনলাইন ব্যাংকিং কিছু অসুবিধা ও আছে৷ তার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ফোন নিরাপর রাখা। যদি কোন কারনে আপনার ফোন হ্যাকারের খপ্পরে পড়ে তাহলে অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার তেমনি অনলাইন ব্যাংকিংয়ে লেনদেন করতে হলে সব সময়ে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।

নয়ত অনলাইন ব্যাংকিংয়ে লেনদেন করতে পারবেন না। এছাড়াও অনেকের ফোনের নেটওয়ার্ক না থাকায় সমস্যা হয় সব সময়ে লেনদেন করতে। আবার যারা অনলাইন ব্যাংকিংয়ে একেবারেই নতুন তাদের জন্য প্রথমে অনলাইনে সকল ব্যাংকিং কার্যক্রম করতে কিছুটা বুঝতে না পারায় অসুবিধা হয়।

আশা করি ইন্টারনেট ব্যাংকিং কি এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো ভালো ভাবে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। এখন আপনি ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে নিরাপদে খুব সহজেই যেকোনো ব্যাংকিং বিষয়ক লেনদেন করতে পারবেন।

এরপরে ও যদি কোন ভাবেই ইন্টারনেট ব্যাংকিং কি ও এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো বুঝতে না পারেন তাহলে অবশ্যই আমাদের কে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে ইন্টারনেট ব্যাংকিং কি ও এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

জানতে ও জানাতে চাই।