যারা ফাইবারে বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের পেমেন্ট উইথড্র করার সবচেয়ে সেরা উপায় হল পেওনিয়ার একাউন্ট। আমাদের দেশের সবচেয়ে বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সাররা ফাইবার থেকে এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে সেখানের পেমেন্ট গুলো পেওনিয়ার একাউন্ট এর মাধ্যমে নিয়ে থাকে।

আপনি যদি অনলাইনে মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন আর আপনি যদি পেওনিয়ার একাউন্ট এর মাধ্যমে টাকা উইথড্র করতে চান। কিন্তু জানেন না যে কিভাবে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে হয় তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। যাতে করে নতুন পেওনিয়ার একাউন্ট খুলে অনলাইনে লেনদেন করতে পারেন। তো চলুন জেনে নেয়া যাক নতুন পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে অথবা কিভাবে একটি নতুন পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে হয়?

পেওনিয়ার হল অনলাইন একটি পেমেন্ট সিস্টেম
যেটা নিউইয়র্ক ভিক্তিক ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানির মাধ্যমে অনলাইনে মানি ট্রান্সফার করা যায়। বিশ্বের প্রায় দুইশ দেশে পেওনিয়ারের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা যায়। এমনকি আমাদের দেশের বিকাশের সাথে পেওনিয়ার একাউন্টের লেনদেন করা যায়।

পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম

পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে আপনাকে তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর সেখানে রেজিস্ট্রেশন নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন। সেই রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করলে আপনার সামনে একটা রেজিস্ট্রেশন পেজ ওপেন হবে।

সেখানে প্রথমে আপনার কাছে জানতে চাওয়া হবে আপনার পেশাকে যদি আপনি ফ্রিল্যান্সার হন তাহলে ফ্রিল্যান্সার অপশনে ক্লিক করবেন। এছাড়া যদি আপনার সাথে কোন অপশন না মিলে তাহলে আপনি ব্যক্তি (Person) সিলেক্ট করে ওপেন ইয়োর অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

এরপরে আপনার কাছে জানতে চাইবে আপনি কি কারনে পেওনিয়ার একাউন্ট চালু করতে চান। আপনি যেই কারনে পেওনিয়ার একাউন্ট চালু করতে চান সেটাতে সিলেট করে দিবেন। তারপরে আপনার মাসিক যে আর পরিমাণ সেটাতে ক্লিক করে রেজিস্ট্রার অপশন এ ক্লিক করতে হবে।

এইবার আপনার কাছে জানতে চাওয়া হবে আপনি কি ইন্ডিভিজুয়াল (Individual) নাকি কোম্পানি (Company) হিসেবে একটি পেওনিয়ার একাউন্ট খুলবেন। যদি আপনি ব্যক্তিগতভাবে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে চান তাহলে এখানে আপনি ইন্ডিভিজুয়াল (Individual) অপশনটা ক্লিক বা সিলেক্ট করে দিবেন।

এইসব তথ্য গুলো সঠিকভাবে দেওয়ার পর আপনার সামনে এখন ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য পূরণ করার অপশন আসবে। আর এখানে অবশ্যই আপনাকে আইডি কার্ড অথবা পাসপোর্ট এর নাম, জন্ম তারিখ ও ইমেইল এড্রেস থাকবে সেগুলো মিলিয়ে দিতে হবে। এখানে কিন্তু নাম ও জন্ম তারিখ পাসপোর্ট অথবা আইডি কার্ড এর সাথে মিলিয়ে দিবেন। নয়তো বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

এইসব তথ্যগুলো সঠিক ভাবে দেওয়ার পর এবার আপনাকে দিতে হবে আপনি কোন দেশে বসবাস করছেন, আপনার বর্তমান ঠিকানা ও পোস্টাল কোড সঠিকভাবে দিতে হবে। এসব তথ্য সঠিকভাবে দেওয়ার পরে ফোন ভেরিফাই করতে হবে।

ফোন ভেরিফাই করার জন্য একটা ফোন নাম্বার দিতে হবে। এমন একটা নাম্বার দিবেন যেটা আপনার আর যদি কখনো পাসওয়ার্ড ভুলে যান তখন যেন খুব সহজেই পাসওয়ার্ড রিকোভার করতে পারেন। তো নাম্বার দেওয়ার পরে ঐ নাম্বারে একটা ভেরিফাই কোড যাবে। সেই ওটিপি কোডটি দিয়ে পরবর্তীতে ক্লিক করতে হবে।

এরপরের পেজে আপনার আইডেন্টিটি ভেরিফাই করতে হবে। আর এজন্যে আপনার আইডি কার্ড অথবা পাসপোর্ট এর প্রয়োজন পড়বে। এই পেজে আপনার সিকিউরিটি তথ্য বাংলায় দিয়ে পরবর্তীতে ক্লিক করতে হবে।

এখন আপনি যদি পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে ডলার আপনার ব্যাংক একাউন্টে নিতে চান তাহলে এজন্যে ব্যাংক একাউন্ট এর ধরন, ব্যাংকের নাম ও যেই একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করবেন সেই নাম ও একাউন্ট নাম্বার দিতে হবে। সব কিছু ঠিকঠাক মত দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

নয়তো পরে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। সব তথ্য সঠিক ভাবে দেওয়ার পরে পেওনিয়ারের টার্ম গুলো ভালোভাবে পড়ে “রাজি আছি ( Agree )” তে সাবমিট (Submit) ক্লিক করে দিবেন। সব তথ্য দেওয়ার পরে কিন্তু আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট তৈরী হয়ে যায়নি। এখন সব তথ্য দেওয়ার পরে পেওনিয়ার আপনার একাউন্ট খোলার রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করলে একাউন্ট চালু হয়ে যাবে।

আরও দেখুনঃ নগদ একাউন্ট এর কিছু সেরা সুবিধা

এরপরে পেওনিয়ার আপনার নতুন একাউন্ট খোলার রিকোয়েস্টটি তিন দিনের মধ্যে যদি আপনার সব তথ্য ঠিকঠাক পায় তাহলে এক্টিভ করে দিবে। আর যদি কোন তথ্যে গড়বড় পায় তাহলে আর আপনার একাউন্ট এক্টিভ করে দিবে না।

তবে আপনার অ্যাকাউন্টি এক্টিভেট হবে কি হবে না এটা আপনাকে ইমেইল এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। যদি আপনার একাউন্ট চালু হয়ে যায় তাহলে আপনার একাউন্ট এপ্রুভ করা হয়ে একটা মেইল পাবেন। আর এক্টিভ হয়ে গেলে আপনাকে পেওনিয়ার একাউন্ট আপ টু ডেট রাখতে হবে। এরপরে যেকোনো সময়ে আপনার পেওনিয়ার একাউন্টে লগইন করতে পারবেন।

আশাকরি পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আপনার আপনারা জানতে বা বুঝতে পেরেছেন। এরপরে ও যদি কেউ পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে না পারেন তাহলে অবশ্যই আমাদের কে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

আমরা আপনাকে পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার বিষয় সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বোঝানোর এবং জানানোর চেষ্টা করব।

যাতে করে আপনি নতুন একটি পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারেন। তো আজকে পর্যন্ত ছিল দেখা হবে আবার নতুন কোন আর্টিকেলে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত আশা করি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

 

জানতে ও জানাতে চাই।