যে উপনিষদে আমরা কোথা থেকে জন্মেছি, কীভাবে জীবন ধারণ করছি এবং প্রলয়ের পরে কোথায় থাকব এ সকল বিষয়ে আলােচনা রয়েছে তাকে। শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ বলে। বারােটি প্রধান উপনিষদের মধ্যে শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ একটি। এ উপনিষদে ব্রহ্মের স্বরূপও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ হিন্দু ধর্মের একটি গ্রন্থ। এটি কৃষ্ণযজুর্বেদীয় তৈত্তিরীয় শাখার অন্তর্গত। ঋষি শ্বেতাশ্বতর এর প্রবক্তা। শংকরানন্দ-এর মতে শ্বেতাশ্বতর শব্দের অর্থ সংযতেন্দ্রিয় (শ্বেত =শুদ্ধ এবং অশ্বতর ইন্দ্রিয়)। ভাষা ও বিষয়বস্তুর বিচারে ধারণা করা হয়, এটি সর্বশেষ উপনিষদ। এই উপনিষদে বৈদান্তিক ব্রহ্মবাদ, পৌরাণিক দেববাদ এবং সাংখ্যীয় যোগবাদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
পদ্যে রচিত এই উপনিষদ ছয়টি অধ্যায়ে বিভাজিত। এই উপনিষদের শুরু হয়েছে বিশ্বের উপাদানসমূহের উৎপত্তি, প্রলয়ের পরে তার স্থিতি সম্পর্কিত প্রশ্নাবলি দিয়ে। এর দ্বিতীয় অধ্যায়ে যোগ বিষয়ক উপদেশ নির্দেশ পাওয়া যায়। তৃতীয় অধ্যায়ে পরমব্রহ্ম সম্পর্কিত আলোচনা। চতুর্থ অধ্যায়ে বৈদিক রুদ্র এবং পৌরাণিক শিবের তুলনামূলক আলোচনা। পঞ্চম অধ্যায়ে স্রষ্টা এবং জীবের ভিতরের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ষষ্ঠ অধ্যায় হলো এই উপনিষদের উপসংহার।
আরও দেখুন