Hindu Religion Assignment

ঈশ্বরকে বোঝা যতটা সহজ, ততটাই কঠিন। তাই ঈশ্বরকে বুঝতে সাহায্য করা সব থেকে কঠিন। চেনা কোন কিছুর সাথেই ঈশ্বরের মিল নেই। মানুষ, জীব-জন্তু, প্রকৃতি, গ্রহ-নক্ষত্র, কিছুই না। তার কারণ, সব কিছুই মিলে মিশে ঈশ্বরের প্রকাশ।

আপনি একা যতটুকু করতে পারবেন, তার থেকে বেশি একটি যন্ত্রের সাহায্যে করতে পারবেন। আবার তার থেকেও বেশি করতে পারবেন যদি আরেকজন আপনাকে সাহায্য করে। মানুষ- মনুষ্য সমাজ- জীবজন্তু – প্রাকৃতিক শক্তি সমূহ – যন্ত্রপাতি – বোধবুদ্ধি এই রকম চেনা – অচেনা, জানা – অজানা সব কিছু মিলে আপনার প্রতিদিনকার জাগতিক উপস্থিতিকে সম্ভব করে রাখে। এর একটি বিকল হলেই জীবনে বিপদ নেমে আসে। অথচ এই ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করি আমরা পদে পদে। তবু আমাদের প্রয়োজন মত একে চালনা করবার ক্ষমতা আমাদের নেই, কারণ এর বিশালতা। তাই কারো ক্ষতি না করে যথা সম্ভব সহজে জীবন অতিবাহিত করবার চেষ্টায় সমাজের চিন্তাশীল মানুষজন সৃষ্টি করেছে ধর্ম।

এরই মধ্যে আবার মানুষের স্বার্থ দোষ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। জীবন রহস্য বোঝাতে গিয়ে বিভিন্ন আচার আচরণ তৈরি করা হয়। তৈরির সময় তার কয়েকটির প্রাসঙ্গিকতা থাকলেও কালক্রমে সেগুলি নষ্ট হয়ে কুসংস্কারে পরিণত হয়।

ঈশ্বর বাস করেন মানুষে অনুভব করার ক্ষমতায়। একটি এঁটুলি পোকা একটি কুকুরের লোমের ভিতর থাকে, কুকুরে রক্ত খেয়েই বাঁচে, আবার কুকুরের আচমকা আঁচড়েই মরে যায়। তার জগত কুকুরকে ঘিরে। ধরা যায় এই কুকুরটিই তার কাছে ঈশ্বরের রূপ। আবার এই কুকুরটি দেখছে মানুষ তার থেকে অনেক সহজে অনেক বেশি, অনেক সুস্বাদু শিকার (খাদ্য) জোগাড় করতে পারছে। পারছে গরম কালে ঠান্ডা শীত কালে গরম রাখতে নিজেদের। আবার সামান্য একটি সূঁচের খোঁচায় মরণ বাঁচন ঠিক করতে পারে মানুষ। তাই কুকুরের কাছে মানুষই ঈশ্বর।

একদিকে মানুষ যেমন চিন্তাশীল, তার চাহিদাও বেশি। তাই প্রাকৃতিক, অতিপ্রাকৃত শক্তিকেই সে ঈশ্বর জ্ঞান করে, পূজা করে বা অন্য ভাবে তার আনুগত্য স্বীকার করে। তাই ঈশ্বরের রূপ একেকজনের কাছে এক এক রকম। ঈশ্বর নিরাকার, বাস্তব। তবু বিশ্বাস গঠনের জন্য তার এক কল্পিত রূপ মানুষ চায়। সেই রূপই ঈশ্বরের রূপ।

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.