যেকোনো অফিসের কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় মাইক্রোসফট অফিস, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট ও মাইক্রোসফট এক্সেল। এগুলো আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার। যেগুলোর সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের অফিস ভিত্তিক কাজগুলো করা হয়ে থাকে।

যদি আপনি microsoft-এর এইসব অ্যাপস বা সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করেন তাহলে এর বিকল্প হিসেবে কী ব্যবহার করবেন সেটা কি কখনো জানেন। যদি জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন মাইক্রোসফট অফিস এর বিকল্প কি কি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে।

গুগল ডকস

Microsoft-এর বিভিন্ন সফটওয়্যার গুলো সবচেয়ে বিকল্প ভাবা হয় গুগোল ডকস কে। গুগল কর্পোরেশনের একটি অসাধারন সফটওয়্যার গুগল ডকস। এই গুগল ডকস আপনি একেবারে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।

গুগল ডকস আপনি খুব সহজেই microsoft-এর যে কোন ফরমেটে বিভিন্ন ডকুমেন্টস এক্সপোর্ট ও ইমপোর্ট করতে পারবেন। সেই সাথে গুগল ডকস ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং আরামদায়ক। আপনি একবার ব্যবহার শুরু করেন তাহলে খুবই ভালো লাগতে পারে আপনার কাছে। কেননা বর্তমানে আমি ও গুগল ডকস ব্যবহার করতেছি।

গুগল ডকস মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর বিকল্প হলেও মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট এর বিকল্প হল গুগল স্লাইডস। আবার একই ভাবে আপনি যদি মাইক্রোসফট এক্সেল এর কোন কাজ করতে চান তাহলে তার জন্য গুগল শিটস ব্যবহার করতে পারেন। যেহেতু আপনি জানেন গুগল একটি বিশাল টেক জায়ান্ট কোম্পানি। তাদের এসব সফটওয়্যার গুলো খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারেন একেবারে নিরাপদ ভেবে।

লিব্রা-অফিস

যদি আপনি কখনো মাইক্রোসফট অফিসের বিকল্প ফ্রি কোন ডেক্সটপ অল্টারনেটিভ খুঁজেন। তাহলে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে ভালো ও সহজে ব্যবহারযোগ্য সফটওয়্যার হলো লিব্রা অফিস।

আপনি জানলে অবাক হবেন যে লিনাক্স, ম্যাকবুক ও উইন্ডোজ এর মতো বিভিন্ন প্লাটফর্মে খুবই জনপ্রিয় ভাবে লিব্রা অফিস ব্যবহার করা হয়। আর সেখান মাইক্রোসফট অফিস খুবই কম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

মাইক্রোসফট অফিসের অসাধারণ কিছু নতুন নতুন ফিচার যোগ হয়েছে যেমন নতুন নেভিগেশন যুক্ত হেল্প সিস্টেম, পারফর্মেন্স ইম্প্রভেমেন্ট ও বাক্স ফিক্সড সহ ইত্যাদি। আপনি যদি কখনো মাইক্রোসফট অফিসের বিকল্প কিছু চিন্তা করে থাকেন তাহলে লিব্রা অফিস আপনার জন্য সবচেয়ে সেরা হবে।

WPS-অফিস

বর্তমানে খুবই একটি জনপ্রিয় অফিস স্যুট অ্যাপস হল WPS অফিস। আপনি WPS অফিস অনেক অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যবহার করে দেখতে থাকবেন। আপনি এই অ্যাপসটি একেবারে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। এই অ্যাপসে রয়েছে অনেক গুলো আলাদা ফিচার যেমন পিডিএফ ভার্শন, পিডিএফ মার্জিং, ডকুমেন্টস এনক্রিপশন, ফন্টস, টেমপ্লেট ও ডকুমেন্ট সিগনেচার সহ আরও বিভিন্ন ধরনের অসাধারণ কিছু ফিচার পাবেন এই WPS অফিস সফটওয়্যারে।

আপনি যদি মাইক্রোসফট এর বিকল্প কোন সফটওয়্যার খুঁজে থাকেন তাহলে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে এই সফটওয়্যারে কয়টি সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো এখানে প্রচুর অ্যাড শো করে। যেহেতু এটি একটি ফ্রি ভার্সন তাই আপনাকে কিছু এডস দেখে প্রায় ত্রিশ মিনিটের জন্য যে কোন ফিচার আনলক করে ব্যবহার করতে হবে।

কেন মাইক্রোসফট এর বিকল্প ব্যবহার করবেন?

যদি কখনো microsoft-এর সফটওয়্যার গুলোর বিকল্প খুঁজতে থাকেন। তাহলে উপরের এই সফটওয়্যার গুলো ব্যাবহার করার মাধ্যমে আপনার কাজ গুলো সম্পাদন করতে পারবেন। আর হ্যাঁ এটা কিন্তু অবশ্যই বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করবেন। যদি আপনার মাইক্রোসফট ব্যবহার করতে ভালো না লাগে।

অথবা যদি মাইক্রো সফটওয়্যার সফটওয়্যার গুলো আপনার কাছে না থাকে তাহলে এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু কখনই মাইক্রোসফট থাকার পরে ও এগুলো ব্যবহার না করাই ভালো। কেননা মাইক্রোসফট এর সফটওয়্যার গুলো সবচেয়ে সহজ। সেই সাথে ঐ গুলো সবচেয়ে সাধারণ উপায়ে ব্যবহার করা যায়।

যেকোনো কাজের জন্য সফটওয়্যার গুলো অবশ্যই খুব সহজেই যে কেউ ব্যবহার করতে পারে। আর উপরে ওইদিক সব সফটওয়্যার রয়েছে এগুলো আপনাকে আগেই প্রথমে ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে হবে। নয়তো আপনি এগুলো ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না।

আশা করি মাইক্রোসফট এর বিকল্প সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে আপনি এখন ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। এখন হয়তো microsoft-এর বিকল্প হিসেবে এই সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে আপনি যেকোনো কাজ খুব সহজেই সম্পাদন করতে পারবেন। এর পরও যদি আপনি বুঝতে না পারেন যে মাইক্রোসফট এর বিকল্প সম্পর্কে।

তাহলে অবশ্যই আমাদের কে কমেন্ট বক্সে আপনার সমস্যাটি কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে আপনার সমস্যাটি সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করব। যাতে করে আপনি মাইক্রোসফট এর বিকল্প এই সফটওয়্যার গুলো দিয়ে যেকোনো কাজ ভালোভাবে করতে পারেন।

 

জানতে ও জানাতে চাই।