আপনি কি আপনার সন্তানের নাম জান্নাতুল রাখতে চান। কিন্তু জানেন না যে, জান্নাতের নামের অর্থ কি? এমন হতে পারে যে জান্নাতুল নামটি ইসলামিক নাম কিনা এটা ও হয়তো আপনি জানেন না। যদি আপনার পরিবারের বা আত্মীয়স্বজনের কোন মেয়ে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় আর তার নাম যেহেতু রাখা বাধ্যতামূলক। তাই তার নাম যদি রাখতে চান জান্নাতুল।

তবে জান্নাতুল নামের অর্থ যদি না জানেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জান্নাতুল নামের অর্থ জানতে পারবেন। এছাড়াও আরও জানতে পারবেন জান্নাতুল নামের আরবি অর্থ ও জান্নাতুল নামটি ইসলামিক নাম কি না।

জান্নাতুল কি ইসলামিক নাম?

আমাদের দেশে অন্যান্য নামে চাইতে জান্নাতুল নামটি খুবই জনপ্রিয় হওয়ায় অনেকেই হয়তো বলে থাকবেন যে জান্নাতুল নামটি ইসলামিক কিনা।

আসলে জান্নাতুল শব্দটি একটি আরবি শব্দ থেকে আগত। আর এর আরবি শব্দের অর্থ খুবই সুন্দর। আর এই কারণে বলা যায় যে জান্নাতুল নামটা একটি ইসলামিক নাম।

হ্যাঁ আপনার মেয়ে সন্তান অথবা আপনার আত্মীয় স্বজনের কারো নাম যদি রাখতে চান তাহলে তার নাম জান্নাতুল রাখতে পারেন। কেননা জান্নাতুল একটি ইসলামিক মুসলিম মেয়েদের জন্য সবচেয়ে পারফেক্ট ও সুন্দর একটি নাম। অনেক মুসলিম মেয়েদের নাম জান্নাতুল রাখা হয়ে থাকে।

আরও দেখুনঃ রাজিয়া নামের অর্থ কি?

জান্নাতুল নামের অর্থ কি?

জান্নাতুল একটি আরবী শব্দ। এর সংক্ষিপ্ত শব্দ হলো জান্নাত। যার আরবির অর্থ বাংলায় করলে দাড়ায় বাগান বা উদ্যান হয়। সহজ ভাষায় জান্নাতুল নামের অর্থ হল বাগান বা উদ্যান। জান্নাতুল একটি আরবী শব্দ এর বাংলা অর্থ বাগান অথবা উদ্যান বলা যায়।
জান্নাতুল ও জান্নাত কিন্তু একই শব্দ থেকে আগত আর তা এ দুটোর অর্থ একই দাড়ায়।

জান্নাতুল নাম একটি আধুনিক ইসলামিক নাম। আর এই কারণে আমাদের দেশে জান্নাতুল নামটি খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও জান্নাতুল নামের অর্থটি ও খুব সুন্দর। আর তাই এই নামটির জনপ্রিয়তা অন্যান্য দেশের চাইতে আমাদের দেশে একটু বেশি। আমাদের দেশের অনেক মেয়েদের নাম ই জান্নাতুল রাখা হয়ে থাকে।

জান্নাতুল নাম কাদের

এটা খুব সাধারণ প্রশ্ন হলেও অনেকে জানতে চাই যে জান্নাতুল নামটি ছেলেদের নাকি মেয়েদের। আসলে ছেলেদের নামের সাথে কিন্তু জান্নাতুল নামটা একেবারেই যায় না। কেননা জান্নাতুল নামের ছেলে আজ পর্যন্ত কোথাও আপনি পাবেন না। শুধুমাত্র মেয়েদের কেই মনে হয় জান্নাতুল নামটি রাখলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়।

মেয়েদের সাথে জান্নতুল নামটি খুবই মানানসই হয়। যদি আপনি ছেলেদের নাম জান্নাতুল রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আমরা বলব না রাখাটাই ভালো। আপনি চাইলে অন্যান্য নাম রাখতে পারেন। তবে জানাতুল নামটি শুধু মাত্র মেয়েদের জন্য সবচেয়ে সেরা ও সুন্দর।

বিভিন্ন ভাষায় জান্নাতুল নামের বানান

বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় জান্নাতুল নাম আলাদা আলাদা ভাষায় লেখা হয়ে থাকে। তার মধ্যে জনপ্রিয় অন্যতম কয়েকটি ভাষায় জান্নাতুল নামের বানান নিচে দেওয়া হল।
উর্দু ভাষায় জান্নাতুল নামের বানান হলো جنت)۔), ইংরেজি ভাষা জান্নাতুল নামের বানান হলো (Zannatul or Jannatul), হিন্দি ভাষায় জান্নাতুল নামের বানান হলো (स्वर्ग), আরবি ভাষায় জান্নাতুল নামের বানান হলো ( جنة)।

আমাদের বাংলাদেশের অনেক মেয়েদের নাম জান্নাতুল। জান্নাতুল একটি জনপ্রিয় নাম বলা যায়। খুব সুন্দর এবং মিষ্টি একটি নাম হলো জান্নাতুল। আমাদের বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, ওমান, কাতার, কুয়েত, ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্কের অনেক মেয়েদের নাম জান্নাতুল রাখা হয়।

তবে এসব দেশ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নাম জান্নাতুল রাখা হয় আমাদের বাংলাদেশ এর মেয়েদের। আমাদের বাংলাদেশে এই নামটি খুবই জনপ্রিয় একটি ইসলামিক নাম। আপনার মেয়ে সন্তান অথবা কোন আত্মীয়-স্বজনের কারো মেয়ে সন্তানের নাম জান্নাতুল রাখতে পারেন। জান্নাতুল নামটি খুবই একটি সুন্দর মিষ্টি নাম।

জান্নাতুল (Jannatul) শব্দ দিয়ে কিছু নাম

প্রিয় পাঠক, আপনার যদি জান্নাতুল নামটি পছন্দ হয়ে থাকে তবে নামটি আপনার সন্তানের জন্য রাখতেই পারেন। তাই জান্নাতুল দিয়ে ঠিক কোন কোন নাম রাখা যায় তার একটি সাজেশন / তালিকা নিচে দেয়া হলো৷ আশা করি ভালো লাগবে।

  • জান্নাতুল জান্নাতুল,
  • জান্নাতুল জান্নাতুল,
  • জান্নাতুল কেমি;,
  • আলেসা জান্নাতুল,
  • জান্নাতুল আক্তার দলা,
  • জান্নাতুল রহমান,
  • জান্নাতুল আক্তার কামি,
  • জান্নাতুল জান্নাতুল,
  • জান্নাতুল আক্তার,
  • জান্নাতুল মিম,
  • মিম জান্নাতুল,
  • জান্নাতুল ইসলাম,
  • জান্নাতুল,
  • জান্নাতুল সুমি,
  • আল জান্নাতুল,
  • জান্নাতুল আক্তার অন্নি,
  • জান্নাতুল জান্নাত,
  • জান্নাতুল চৌধুরী,
  • মেহবুবা জান্নাতুল,
  • জান্নাতুল রুমা,
  • জান্নাতুল ফারজানা,
  • জান্নাতুল আক্তার জান্নাতুল,
  • জান্নাতুল রুমি,
  • জান্নাতুল মাহমুদ,
  • জান্নাতুল আনজুম,

সুন্দর নাম রাখার ব্যাপারে হাদিস

সন্তান জন্ম হবার পর তার একটি সুন্দর ইসলামীক অর্থপূর্ণ নাম রাখা পিতামাতার কর্তব্য। এই কর্তব্যে কোন অভিভাবক যদি অবহেলা করেন তবে তার জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, কিয়ামতের দিন তোমাদের নিজ নাম ও পিতার নামে ডাকা হবে। সুতরাং তোমরা সুন্দর নাম রাখো। (আবু দাউদ)

জানতে ও জানাতে চাই।