রাজিয়া নাম কি ইসলামিক?

আপনার সন্তানের নাম যদি রাজিয়া রাখতে চান আর যদি না জানেন যে রাজিয়া ইসলামিক নাম কিনা। তাহলে বলে রাখি রাজিয়া একটি ইসলামিক নাম। আপনার প্রিয় সন্তানের নাম রাজিয়া রাখতে পারেন। অনেক মুসলিম মেয়েদের নাম রাজিয়া রাখা হয়। রাজিয়া এমন একটি নাম যার খুবই সুন্দর ও অর্থবহল জনপ্রিয় নাম। আপনার পরিবারের কিংবা আত্মীয় স্বজন এর প্রিয় সন্তানের নাম চাইলে রাজিয়া রাখতে পারেন। রাজিয়া একটি আধুনিক ইসলামিক জনপ্রিয় নাম।

রাজিয়া নামের অর্থ কি?

রাজিয়া একটি আরবী শব্দ। ইসলামী পরিভাষায় রাজিয়া শব্দটি কয়েকবার উল্লেখিত হয়েছে। রাজিয়া নামের অর্থ হলো সন্তুষ্ট। অন্যভাবে বললে বলা যায় যে রাজিয়া নামের আরেকটি অর্থ হলো সম্মত মানে ইচ্ছুক অথবা রাজি। যে যেকোন বিষয়ে রাজি থাকা বা সম্মতি প্রদান করে তাকে মূলত আরবি ভাষায় রাজিয়া বলা হয়। আপনার প্রিয় সন্তানের জন্য এই আধুনিক ইসলামিক মুসলিম জনপ্রিয় নামটি রাখত একেবারেই ভুলবেন না।

 

রাজিয়া নাম ছেলেদের নাকি মেয়েদের?

রাজিয়া এমন একটি নাম যে নামটি শুধুমাত্র মেয়েদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মেয়েদের যদি রাজিয়া নাম রাখা হয় তাহলে খুবই ভালো হয়। আপনার যদি মেয়ে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় অথবা আপনার পরিবার কিংবা আত্মীয় স্বজনের কোন মেয়ে সন্তানের জন্য যদি আধুনিক ইসলামিক নাম খুঁজে থাকেন, তাহলে রাজিয়া নামটি রাখতে পারেন।

রাজিয়া নামটি কিন্তু একটি আধুনিক ইসলামিক মুসলিম মেয়েদের নাম। তবে কখনো ছেলেদের নাম রাজিয়া রাখতে যাবেন না। রাজিয়া হল শুধুমাত্র মেয়েদের একটি নাম। অনেকে আবার ছেলেদের নাম রাজিয়া রাখতে চায় তাদেরকে বলে রাখি যে, রাজিয়া একটি মেয়েদের নাম। সব সময় মেয়েদের জন্য রাজিয়া নামটি রাখার চেষ্টা করবেন।

তবে ছেলেদের জন্য কখনোই রাজিয়া নামটি রাখার চেষ্টা করবেন না। ছেলেদের ক্ষেত্রে অন্যান্য নাম গুলো রাখতে পারেন। যেমন রাজ নাম রাখতে পারেন অথবা রাকিব নামে ডাকতে পারেন। এই নাম গুলো ও কিন্তু ছেলেদের নাম। আর রাজিয়া নামটি শুধুমাত্র মেয়েদের নাম। আপনার প্রিয় মেয়ের নাম অবশ্যই রাজিয়ার রাখতে একেবারে ভুলবেন না

বিভিন্ন ভাষায় রাজিয়া নামের বানান

বর্তমানে বিশ্বের প্রতিটি দেশেই মুসলমানরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবাস করছে। আর প্রতিটা মুসলিম দেশের ভাষা আলাদা আলাদা হওয়ার কারণে তারা রাজিয়া নামটিও তাদের নিজস্ব ভাষায় বানান করে থাকে। আমরা যেমন বাংলা ভাষায় রাজিয়া বানান করে লিখে থাকি। ঠিক তেমনি অন্যান্য মুসলিম দেশ গুলো তাদের নিজস্ব ভাষায় রাজিয়া নামটি লিখে এবং বানান করে থাকে।

বর্তমান সময়ে কয়েকটি জনপ্রিয় ভাষায় রাজিয়া নামের বানান এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো; আরবী ভাষায় রাজিয়া নামের বানান হলো (راضية), উর্দু ভাষায় রাজিয়া নামের বানান হলো (رضیہ۔), ইংরেজি ভাষায় রাজিয়া নামের বানান হলো (Razia), হিন্দি ভাষায় রাজিয়া নামের বানান হলো আরবী ভাষায় রাজিয়া নামের বানান হলো (रज़िया)।

 

রাজিয়া নামের জনপ্রিয় দেশসমূহ

বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম দেশেই মুসলমানরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আর এই কারণে প্রত্যেকটা দেশের তাদের প্রিয় সন্তানের নাম অনেক বাবা মায়েরা রাজিয়া রেখে থাকে। আমাদের বাংলাদেশে খুব ইউনিক একটা নাম হল রাজিয়া। এই নামটি আমাদের বাংলাদেশে তেমন কোন মেয়েদের রাখার নজির দেখা যায় না।

কিন্তু মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশে রাজিয়া নামটি খুবই জনপ্রিয় একটি ইসলামিক আধুনিক নাম। এর মধ্যে পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরাক, ইরান, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, আফগানিস্তানের মতো দেশ গুলোতে অনেক মেয়েদের নাম রাজিয়া রাখা হয়।

যদি আপনি কোন মুসলিম একটি সুন্দর নাম আপনার প্রিয় সন্তানের জন্য রাখতে চান তাহলে রাজিয়া নামটা কিন্তু রাখতে পারেন। রাজিয়া নামটি যেমন খুব সুন্দর ও অর্থবহুল। সেইসাথে রাজিয়া নামটি একটি ইসলামিক আধুনিক মুসলিম সন্তানদের জনপ্রিয় নাম। তাই আপনার প্রিয় সন্তানের নাম চাইলে রাজিয়া রাখতে পারেন।

 

জানতে ও জানাতে চাই।