আমাদের মধ্যে অনেকেরই একটা অ্যাপস ক্লোন করে ব্যবহার করার ইচ্ছা থাকে থাকে। এমন কিছু অ্যাপস অথবা এমন কিছু গেমস রয়েছে যেগুলো ক্লোন করা আমাদের জন্য খুবই জরুরী হয়ে পড়ে। যদি আপনি কখনো অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ক্লোন করে অথবা ডুবলিকেট করে চালাতে চান।

তাহলে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে খুব সহজেই যে কোন অ্যাপস অথবা সফটওয়্যার ক্লোন করে ব্যবহার করতে পারেন। সবচেয়ে মজার একটি বিষয় হলো যে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ফোনে সবচেয়ে সেরা একটি ফিচারের মধ্যে কাস্টমাইজেশন হলো অন্যতম একটি ফিচার।

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের এই ফিচারের মাধ্যমে বিভিন্ন এপস সফটওয়্যার খুব সহজেই ক্লোন করে ব্যবহার করা যায়। এই কাস্টমাইজেশনের মাধ্যমে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোনো ভাবে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি কাস্টমাইজ করে ব্যবহার করা যায়।

আমাদের এমন কিছু সোশ্যাল মিডিয়া অথবা এমন কিছু গেমস রয়েছে যেগুলোকে ডুবলিকেট করা খুবই প্রয়োজন পড়ে। কেননা বিভিন্ন কারণে এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কারণে এসব জরুরী অ্যাপস গুলো ক্লোন করে ব্যবহার করতে হয়।

আপনি যদি কোন প্রয়োজনীয় অ্যাপস ক্লোন করে অথবা ডুবলিকেট করে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটা না জানেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানতে পারবেন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ক্লোন অথবা ডুবলিকেট করে ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে।

আশাকরি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যদি আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে খুব সহজেই যেকোন সফটওয়্যার অ্যাপস গেমস ক্লোন অথবা ডুবলিকেট করে ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে যে কোন অ্যাপস সফটওয়্যার গেমস ক্লোন অথবা ডুবলিকেট করে ব্যবহার করবেন।

থার্ড পার্টি ক্লোনার অ্যাপস

এন্ড্রয়েড ফোনের যেকোনৌ অ্যাপস অথবা সফটওয়্যার ক্লোন করার জন্য আপনাকে কিছু ক্লোন করার third-party সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। যেগুলোর সাহায্যে আপনি যে কোন অ্যাপস অথবা সফটওয়্যার খুব সহজে ক্লোন বা ডুবলিকেট করে ব্যবহার করতে পারেন।

নিচে আমরা কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপস ক্লোন করার সফটওয়্যার সম্পর্কে বলবো যেগুলো ব্যবহার করা খুবই নিরাপদ। কেননা আপনি যদি কখনো গুগলে সার্চ করার মাধ্যমে কোন third-party অ্যাপ স্টোর ডাউনলোড করেন তাহলে সেগুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস থাকতে পারে। যা আপনার ফোনে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

আর এই কারনেই আমরা গুগল প্লে স্টোরে থাকা দুটি জনপ্রিয় অ্যাপ ক্লোন করার অ্যাপস নিয়ে আলোচনা করেছি, যা ব্যবহার করা নিরাপদ। তো চলুন নিচে থেকে জেনে নিই কিভাবে কোন সফটওয়ারের মাধ্যমে যে কোন অ্যাপস ক্লোন করে ব্যবহার করবেন

প্যারালাল স্পেস

আমরা এর আগে ও এই ওয়েবসাইটে প্যারালাল স্পেস সফটওয়্যারটি নিয়ে কথা বলেছি। এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনি যেকোন অ্যাপস অথবা গেমস ডুবলিকেট করে ব্যবহার করতে পারবেন। যদি কখনো কোনো অ্যাপস ডুবলিকেট করে ব্যবহার করতে চান তাহলে প্যারালাল স্পেস সবচেয়ে সেরা থার্ড পার্টি ক্লোন অ্যাপস।

প্যারালাল স্পেস এর জন্য গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে “প্যারালাল স্পেস” লিখে সার্চ দিলে প্রথমে যে অ্যাপসটি আসবে সেটা ইন্সটল করে নিবেন। ইন্সটল করে নেওয়ার পর অ্যাপটি ওপেন করার মাত্রই আপনি যেই অ্যাপসটি ক্লোন অথবা ডুবলিকেট করতে চান। সেটিতে ক্লিক করার সাথে সাথে সেই অ্যাপটির একটি কপি ভার্সন প্যারালাল স্পেস সফটওয়্যার এর ভিতরে কপি হয়ে যাবে।

এরপর আপনি যেমন আপনার ফোনে অরিজিনাল একটি অ্যাপস ব্যবহার করতে পারবেন এবং সেইসাথে প্যারালাল স্পেস অ্যাপস এর ভিতরে ঢুকে তার একটি ক্লোন / ডুপ্লিকেট / কপি অ্যাপস অথবা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবেন।

আরও দেখুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় (লক্ষ টাকা আয় করুন ঘরে বসে)

ডুয়াল স্পেস

প্যারালাল স্পেস এর মত আরো একটি জনপ্রিয় থার্ড পার্টি ক্লোন অ্যাপ অথবা ডুবলিকেট করার সফটওয়্যার হলো ডুয়াল স্পেস। এই ডুয়াল স্পেস এর মাধ্যমে আপনি যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের গেমস গুলো কেও ক্লোন করে ব্যবহার করতে পারবেন।

যদি আপনার কখনো একটি অ্যাপস দুইবার ব্যবহার করার ইচ্ছা বা প্রয়োজন হয় তাহলে এই ডুয়াল স্পেস সফটওয়্যার ব্যবহার করে খুব সহজেই ক্লোন অ্যাপস অথবা ডুবলিকেট করে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সবচেয়ে মজার একটা বিষয় হলো যে, এই ডুয়াল স্পেস এর মাধ্যমে আপনি যেকোন সফটওয়্যার খুব কম এমবিতে ক্লোন করে ব্যবহার করতে পারবেন।

ডুয়াল স্পেস অ্যাপসটি ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে প্রথমে চলে যেতে হবে গুগল প্লে স্টোরে। গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে ডুয়াল স্পেস লিখে সার্চ দেওয়ার পরে প্রথমে যে অ্যাপসটি আসবে সেই অ্যাপস টি কে আপনাকে ইনস্টল করে নিতে হবে। এরপরে প্যারালাল স্পেস মতই প্রথমে লগইন করে যে অ্যাপসটি আপনি ক্লোন করে ব্যবহার করতে চান সেটিতে ক্লিক করার সাথে সাথে ক্লোন করে ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনারা যদি কখনো কোনো অ্যাপস অথবা সফটওয়্যার দুবার অথবা কপি করে ব্যবহার করতে চান তাহলে উপরের যেকোন একটি থার্ড পার্টি ক্লোন অ্যাপস ব্যবহার করার মাধ্যমে যেকোনো অ্যাপস গুলোকে ডুবলিকেট করে ব্যবহার করতে পারবেন।

আশা করি আপনারা এখন বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে এন্ড্রয়েড ফোনের বিভিন্ন অ্যাপস অথবা সফটওয়্যার ক্লোন / কপি / ডুবলিকেট করে ব্যবহার করতে হয়। এরপরও যদি আপনি জানতে বা বুঝতে না পারেন যে কিভাবে এন্ড্রয়েড ফোনের বিভিন্ন অ্যাপস অথবা সফটওয়্যার ক্লোন / কপি/ ডুবলিকেট করে ব্যবহার করতে হয়।

তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে আপনার সমস্যাটা সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করব। যাতে করে আপনি যেকোন ধরনের এন্ড্রয়েড ফোনের অ্যাপস অথবা সফটওয়্যার ক্লোন বা ডুপ্লিকেট করে ব্যবহার করতে পারেন।

জানতে ও জানাতে চাই।