বর্তমান সময়ের এই ডিজিটাল যুগে আমাদের দেশের অনেক তরুণ প্রজন্মেরা বিভিন্ন ভাবে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে থাকে। তারা ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টরে আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করে টাকা আয় করে। আপনি ও চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। আর এই জন্য প্রথমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে এবং বুঝতে হবে।

নয়তো আপনি কিছুতেই ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। আজকের এই আর্টিকেলের মূলত আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সমূহ সম্পর্কে। আশা করি আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে হয়তো খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অনেক তথ্যই ভালো ভাবে জানতে এবং বুঝতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সমূহ।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রীলান্সিং শব্দের অর্থই হলো মুক্তপেশা। এখানে আপনি আপনার নিজের ইচ্ছা স্বাধীন মত যে কোন কোম্পানির হয়ে কাজ করতে পারবেন। আর এটা কে মূলত ফ্রীলান্সিং বলা হয়। এখন আপনি যে কোম্পানির জন্য কাজ করবেন এ কাজটা করতে হবে অনলাইন ভিত্তিক। যাতে আপনি ঘরে বসেই কাজটা করতে পারেন। এখানে একটি মজার বিষয় হলো যে ফ্রীল্যান্সিং এ আপনার যখন ইচ্ছা হবে তখনি কাজ করতে পারবেন।

এখানে কেউ আপনাকে বলবে না আমার কাজটা এখন করে দাও, আমার কাজটা করতেই হবে, আমার কাজটি করার জন্য সকাল পাঁচটা বাজে তোমাকে উঠতে হবে, আমার কাজটি করার জন্য বিকাল পাঁচটা বাজে তোমাকে চলে যেতে হবে। এখানে দায়ভারের বা এসবের কিছুই নেই। আপনার যখন ইচ্ছা হবে তখন আপনি একটি কাজের অর্ডার নেওয়ার মাধ্যমে যখন সময় পাবেন তখনই কাজটা করে কাজটা কমপ্লিট করার পর ক্লায়েন্ট কে জমা দিবেন। আর এটাকে মূলত ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।

ফ্রিল্যান্সিং এ বিভিন্ন ক্যাটাগরির রয়েছে এসব ক্যাটাগরিতে আলাদা আলাদা ভাবে নানান ধরনের কাজ করা হয়ে থাকে। আর এভাবেই বিভিন্ন ভাবে মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে। ফ্রিল্যান্সিং এর প্রত্যেকটা সেক্টরেই আলাদা আলাদা। আর তাই আলাদা হওয়ার কারণে একটি সেক্টরে যদি বেশি টাকা ইনকাম করা যায় অন্য একটা সেক্টরে তুলনামূলক ভাবে কম টাকা ইনকাম করা হয়।

আর এটা হয়ে থাকে বিভিন্ন সেক্টরের কাজের চাহিদার উপর নির্ভর করে। যেমন ফ্রিল্যান্সিংয়ের একটা সেক্টরের চাহিদা যদি প্রচুর পরিমাণে থাকে অন্যান্য সেক্টরের চাহিদা ভাবে একটু কম থাকে। আর তাই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে বর্তমান ফ্রীলান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তাহলে হয়তো হয়ত আপনি খুব দ্রুত সফলতার মুখ দেখতে পাবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করার যা করতে হবে

ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কোন একটি সেক্টর কে বেছে নিতে হবে। এরপর সেই সেক্টরে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করার পরেই আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এমন অনেক ধরনের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর রয়েছে যেগুলোর চাহিদা বর্তমানে দিন দিন বেড়েই চলছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো; গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইত্যাদি। তবে এগুলোর মধ্যে সবচাইতে বেশি চাহিদা রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন ওডিজিটাল মার্কেটিং এর। তবে অন্যান্য সেক্টর গুলোর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এই দুটোর চাহিদা সবচাইতে বেশি আছে।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? 

ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সেক্টর নির্বাচন করতে হবে। এর পরে সেই ফ্রীলান্সিং সেক্টর অনুযায়ী আপনি বিভিন্ন ধরনের ইউটিউবে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ যদি বলা যায় আপনি ফ্রীলান্সিং সেক্টরের গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শিখতে চান। তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত ইউটিউবের বিভিন্ন ধরনের টিউটোরিয়াল ভালো ভাবে ফলো করে কাজ করতে হবে। যদি আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মূল টিউটোরিয়াল গুলো ইউটিউব এর মাধ্যমে দেখে দেখে প্র্যাক্টিস করতে পারেন।

তাহলে আশা করা যায় এভাবে আপনি ছয় থেকে এক বছরের ভেতরে পুরোপুরি ভাবে গ্রাফিক্সের কাজ শিখে যেতে পারবেন। যদিও এটা হলো ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়। আপনি চাইলে টাকা খরচ করে বিভিন্নভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। তবে এই সেক্টরে প্রথমে কোন টাকা খরচ না করে বিনামূল্যে ইউটিউব এর মাধ্যমে টিউটোরিয়াল দেখতে পারেন। শুরুতে এভাবে বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখা সবচাইতে ভালো হয়। এতে করে আপনি খুব সহজেই গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

আশাকরি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আপনি অনেক তথ্যই ভালো ভাবে জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। এখন আপনি হয়তো খুব সহজে ফ্রিলান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টর গুলো সম্পর্কে ভাল ভাবে জ্ঞান অর্জন করার পর ফ্রীলান্সিং সেক্টর থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এরপর যদি আপনি কোন ভাবে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কোন কিছু জানতে বা বুঝতে না পারেন।

তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টে বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এতে করে আমরা আপনার সমস্যার সমাধান করে দেয়ার চেষ্টা করব। আর আপনি যাতে করে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে খুব সহজেই কাজ করতে পারেন। তো আজকের মত এ পর্যন্তই ছিল দেখা হবে আবার নতুন কোন আর্টিকেলে নতুন কোন বিষয় নিয়ে, ততক্ষণ পর্যন্ত আশা করি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

জানতে ও জানাতে চাই।