বর্তমান সময়ে আমরা কিন্তু সবাই কম বেশি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে থাকি। আর প্রত্যেকটা স্মার্টফোন নিরাপদ রাখতে আমরা লক করে রাখি। হয়তো কখনো পিনকোড অথবা অথবা প্যাটার্ন লক দিয়ে আমাদের ফোনগুলো লক করে থাকি। যখন এই প্যার্টান লক অথবা পিন কোড দিয়ে লক করার পর আমরা লকটি ভুলে যাই।

তাহলে ফোনের লক খোলার জন্যে আবার মেকানিকের কাছে নিয়ে ঠিক করতে হয়। এতে করে কিন্তু আমাদের টাকা ও খরচ হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় মেকানিকেরা মোবাইল ফোনের লক খুলতে না পেরে মুঠোফোনটি ফ্লাশ মেরে দেয়। আর এই ফ্লাশ মারার কারনে ফোনের গতি আগের তুলনায় কমে যায়।

মোবাইল ফোনের লক ভূলে যাওয়ার কারণে একদিকে যেমন এটা ঠিক করার জন্য আপনার টাকা খরচ হচ্ছে। আবার অন্যদিকে আপনার ফোনের ও বারোটা বেজে যাচ্ছে। কিন্তু আপনি চাইলে খুব সহজেই যেকোনো মোবাইলের লক ভুলে গেলে আবার খুলতে পারবেন।

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে কোন মোবাইল ফোনের লক হয়ে গেলে খোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে। যদি আপনার অথবা অন্য কারো স্মার্ট ফোন লক হয়ে যায় তাহলে খুব সহজেই আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে নিজে নিজেই যে কোন ফোনের লক খুলতে পারবেন।

তো চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে মোবাইলের লক ভুলে গেলে আবার খুলবেন!

রিকভারি মোড

আপনি যদি কখনো মনে ভুলে আপনার ফোনের পিন লক অথবা প্যাটার্ন লক ভুলে যান। তাহলে খুব সহজেই সে ফোনের রিকোভারি মোড চালু করে আনলক করতে পারবেন। এই পদ্ধতি অনুসরন করে খুব সহজেই যে কোন এন্ড্রয়েড ফোনের লক আনলক করা যায়।

তবে এই পদ্ধতি অনুসরণ করে যদি আপনি স্মার্ট ফোনের লক আনলক করার চেষ্টা করেন। তাহলে আপনার ফোনে থাকা সকল তথ্য ও ফাইল গুলো ডিলিট হয়ে যাবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে রিকভারি মোড ব্যবহার করে আপনার ফোনের লক আনলক করবেন।

রিকভারি মোড ব্যবহার করে আপনার ফোনে লক আনলক করার জন্য প্রথমে আপনার স্মার্টফোনটি বন্ধ করতে হবে। স্মার্ট ফোনটি বন্ধ করার পর কয়েক মিনিট সময় দিবেন স্মার্টফোনটি যেন লিস্টে থাকে। মানে ফোনটি বন্ধ করার দুই মিনিট থেকে তিন মিনিট পর্যন্ত ফোনটি চালু করবেন না।

এরপরে আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হলো আপনার ফোনের পাওয়ার বাটন যেটার সাহায্যে সাউন্ড বাড়ান সে বাটন একসাথে চেপে ধরবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত পাওয়ার বাটন ও সাউন্ড বাড়ানোর বাটনটি চেপে ধরবেন যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনার ফোনটি চালু না হয়।

এভাবে চেপে ধরার কারণে কতক্ষণ পর আপনার মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে রিকভারি মোড দেখা যাবে এবার আপনি সাউন্ড বাটন কমালে নিচে কতগুলি অপশন যাবে। আবার যদি সাউন্ড বাটন বাড়ান তাহলে উপরে কতগুলো অপশন যাবে। আর যদি পাওয়ার অন অফ বাটন টাচ করেন তাহলে এটা ওকে হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

এবার আপনাকে একেবারে নিচে আসতে হবে। যখন দেখবেন ওয়াইপ ডাটা ও ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট নামক একটি অপশন। এখন আপনাকে ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট করতে সাউন্ড বাটন কমানো এবং বাড়ানোর মাধ্যমে ও পাওয়ার অন অফ বাটন ওকে হিশেবে ব্যবহার করে ফোনটির ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট করতে হবে।

এবার আপনার ফোনটি রিবুট সিস্টেমে ট্যাপ করে রিবুট করতে হবে। রিবুট করার পর আপনার স্মার্টফোনটি একেবারে আগের তুলনায় একদম ফ্রেশ হয়ে যাবে। এভাবে আপনি যেকোন ফোনের লক খুব সহজেই আনলক করতে পারেন। তবে অবশ্যই পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনার ফোনে থাকা সকল তথ্য ইনফরমেশন ডিলিট হয়ে যাবে এটা কিন্তু ভুলে যাবেন না।

যদি ধরনের স্মার্ট ফোন লক হয়ে যায়, তাহলে উপরের টিপস এবং ট্রিকস গুলো ফলো করার মাধ্যমে খুব সহজেই ফোনের লক আনলক করতে পারবেন। কারণ আমাদের অনেকেরই স্মার্ট ফোন লক দেওয়ার পরে যদি আমরা ভুলে যাই তাহলে সে লোকটি আর দিতে পারি না।

আশাকরি উপরের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে আপনি এখন মোবাইলের লক হয়ে গেলে কিভাবে খুলতে হয়। এটা ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। এখন হয়তো আপনার অথবা আপনার পরিবারের কারও স্মার্টফোন এর প্যাটার্ন লক অথবা পিন কোড লক হয়ে গেলে তাহলে খুব সহজেই সেসব লক গুলো খুলতে পারবেন।

তো এর পরও যদি আপনি কোন কারণে মোবাইল ফোনের লক গুলো খুলতে না পারেন তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে আপনার সমস্যাটি কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। যাতে করে আমরা আপনার সমস্যাটির সমাধান করে দিতে পারি। সেই সাথে আপনি যেন যেকোনো স্মার্টফোনের অথবা মোবাইল ফোনের লক আনলক করতে পারেন।

 

জানতে ও জানাতে চাই।