মেডিকেল ভর্তি তথ্য

আগামী ৫ অক্টোবর (শুক্রবার) ২০২৪ তারিখে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার দিন সব শিক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৯ টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীসহ কর্তব্য পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মোবাইল ফোনসহ কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ও ঘড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশপত্রের সঙ্গে উল্লিখিত নির্দিষ্ট ধরনের কলম নিয়ে প্রবেশ করতে হবে।

সোমবার (০১ অক্টোবর) সচিবালয়ে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত ওভারসাইট কমিটির সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, আসন্ন এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাকে সর্বোচ্চ কঠোর ও নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। তাই পরীক্ষা নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগ এবারও থাকবে না। গত কয়েক বছর যাবত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে সব মহলে যে প্রশংসা অর্জিত হয়েছে এবারের পরীক্ষায়ও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, জনগণের কাছে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে যেন প্রকৃত মেধাবীরাই ভর্তির সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করতে সরকার কোনো আপোষ করবে না।

ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস বাণিজ্য বা গুজব প্রতিরোধে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকে সচেতন থাকার জন্য আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসত্য তথ্য সংবলিত পোস্ট ও ভুয়া অন লাইন পোর্টালের উপর মনিটরিং জোরদার করতে সব সচেতন নাগরিক এবং আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের প্রতিও আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে কেউ কোনো তথ্য পেলে তা সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

শিক্ষার্থীরা যেন সময়মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে পারে সে লক্ষ্যে তাদের সহায়তা করার জন্য ট্রাফিক পুলিশের প্রতিও অনুরোধ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম।

এছাড়াও পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর একটি কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার নম্বর গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিএমডিসির পরিচালক অধ্যাপক ডা. সহিদুল্লা, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, ওভারসাইট কমিটির সদস্য কলামিস্ট সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ, আমাদের অর্থনীতি’র সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম, গাজী মিডিয়ার চিফ এডিটর ইশতিয়াক রেজাসহ ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার, মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.