islamic pic

https://i.imgur.com/OR424vv.jpeg

অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ

মনে কর তোমার ঘনিষ্ঠ একজন সহপাঠীর আচরণে মুনাফিকের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়, তকে প্রকৃত মুমিন বান্দা হতে সহায়তা করার জন্য তুমি কী কী উদ্যোগ নিতে পারো- এ  সম্পর্কিত একটি কর্মপরিকলপনা তৈরি করো।

সংকেত
১। সহপাঠীর কোন কোন আচরণে মুনাফিকের যেতে পারেলক্ষণ তার উল্লেখ ।
২। উক্ত আচরণগুলো কেন ক্ষতিকর তার ব্যখ্যা।
৩। উত্ত বিষয়ের কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি
৪ । সহপাঠীর মুনাফিকী আচরণ দূর করার উপায়।
৫। সহপাঠীকে মুমিন হওয়ার জন্য তোমার পদক্ষেপ।

নির্দেশনা

  • পাঠপুস্তক থেকে উক্ত বিষয়ে ধারণা নেয়া যেতে পারে
  • প্রয়োজনে অভিভাবকের সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে
  • মোবাইল বা যে কোন তার্চু়াল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয় শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে
  • ইন্টারনেটের সাহায্য নেয়া যেতে পারে
  • আ্যাসাইনমেন্ট স্বহস্তে লিখতে হবে

উত্তর :

আমার ঘনিষ্ঠ সহপাঠীর আচরণে কপটতা, ভন্ডামি ও দ্বিমুখী নীতি প্রভৃতি লক্ষণ প্রতিফলিত হয়েছে। যাদের মধ্যে এসব বৈশিষ্ট্য রয়েছে তারা-ই মুনাফিক।। নৈতিক ও মানবিক আদর্শের বিপরীত কাজ করাই এদের ধর্ম। মুনাফিকরা মুখে ভাল কথা বললেও তাদের অন্তর থাকে কুফরিতে পূর্ণ। এমন মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আমার সহপাঠীর আচরণে।। আমার সহপাঠী প্রায়ই মিথ্যা কথা বলে এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। এগুলাে মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য। কারণ মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি। মিথ্যা বলা, ওয়াদা ভঙ্গ করা এবং আমানতের খিয়ানত করা। এই লক্ষণগুলাে যখন কারও মধ্যে দেখা। যায় তখন তাকে মুনাফিক বলে। সুতরাং আমার সহপাঠী আচরণে মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে। হাদিসে মুনাফিকদের চরিত্রকে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে

“মুনাফিকের নির্দশন তিনটি – যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে  তা ভঙ্গ করে এবং যখন তার নিকট কোনাে কিছু গচ্ছিত রাখা হয় তখন তার  খিয়ানত করে।” (সহিহ বুখারি ও সহিহ্ মুসলিম)।

নিফাক একটি মারাত্মক পাপ। এটি নৈতিকতা ও মানবিকতার বিপরীত কাজ। নিফাকের ফলে মানুষ অন্যায় ও অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ফলে মানুষের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবােধ বিনষ্ট হয়। নিফাকের দ্বারা মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস ও সন্দের সৃষ্টি হয়। ফলে মানব সমাজে মারামারি, হানাহানি ও অশান্তির সৃষ্টি। হয় মুনাফিকরা ইসলামের চরম শত্র। তারা বন্ধুবেশে মুসলমানদের বড় ধরনের। ক্ষতি সাধন করে। এর কারণে সমাজে নানা ধরনের অন্যায় ও অনৈতিক কাজের। | প্রসার ঘটে। এজন্যই দুনিয়াতে মুনাফিকরা ঘৃণিত মনে হয় এবং আখেরাতেও। তাদের জন্য কঠোর আযাব প্রস্তুত রয়েছে। আমার সহপাঠী প্রায়ই মিথ্যা কথা বলে এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। এগুলাে । মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য। আমার ঘনিষ্ঠ সহপাঠীর আচরণে এ বিষয়টিই ফুটে উঠেছে। উপরের আলােচনা থেকে বলা যায় যে, আমার সহপাঠীর মুনাফিকির পরিনাম
অত্যন্ত ভয়াবহ।

মুনাফিকদের অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন – “যখন তারা (মুনাফিকরা) ইমানদারদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে। আমরা ইমান এনেছি। আর যখন তারা গােপনে তাদের শয়তানদের সাথে মিলিত হয তখন বলে, আমরা তােমাদের সাথেই আছি। আমরা শুধু তাদের সাথে ঠাট্টাতামাশা করে থাকি।” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৪)।

মুনাফিকির পরিণাম সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “নিশ্চয়ই মুনাফিকদের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে।” (সূরা আন-নিসা, আয়া-১৪৫)।

মুনাফিকির আচরণ দূর করার উপায়:

১. কথা বলার সময় সত্য কথা বলবে, মিথ্যা কথা বলবে না।

২. কাউকে কথা দিলে তা রক্ষা করবে।

৩. আমানত রক্ষা করবে। যেমন কারাে কাছে কোনাে জিনিস ও সম্পদ আমানত রাখলে তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবে এবং ফেরত দিবে। কারাে সাথে কথা দিলে তা রক্ষা করবে। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবে না।।

আমার সহপাঠীকে মুমিন করার জন্য আমার কর্মপরিকল্পনা:

১। সহপাঠীকে সত্য কথা বলার জন্য উৎসাহিত করব এবং সত্য কথা বলার। সুফল বােঝানাের চেষ্টা করব।

২। তাকে মিথ্যা বলতে নিরুৎসাহিত করব এবং মিথা বলার পরিণতি সম্পর্কে। ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

৩। কারাে সাথে ওয়াদা করলে তা রাখার গুরুত্ব বােঝাব এবং ওয়াদা না রাখার পরিণাম সম্পর্ক ধারণা দিব।

৪। আমানতের গুরুত্ব বােঝানাের চেষ্টা করব এবং আমানতের খেয়ানত করার। কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব।।

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.