বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় জাতীয়তা সনদের মতো প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি ডিজিটাল কার্ড ( প্লাস্টিকের এটি এম/ স্মার্ট কার্ডের মতো ) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । পাঁচ বছর বয়সী প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থী থেকে ১৭ বছর বয়সের দ্বাদশ শ্রেণির সব ছাত্র-ছাত্রী পাবে এই ইউনিক আইডি। এই আইডিতে ১০ বা ১৬ ডিজিটের শিক্ষার্থী শনাক্ত নম্বর থাকবে, যা পরবর্তীতে হবে ওই শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে আলাদা করে তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন হবে না। ২০২৫ সাল থেকে শিক্ষার্থী শনাক্ত করার ইউনিক আইডি দেওয়া শুরু হবে।
ইউনিক আইডি কি?
ইউনিক আইডি দেখতে অনেকটা ভোটার আইডি কার্ড এর মতো। এই আই ডিতে ডিজিটাল ভাবে শিক্ষার্থীর যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। এই আই ডির নাম ইউনিক আই ডি (Student Unique Id Card )। সেখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা একটা রোল নম্বর থাকবে। এই রোল নম্বরটি সারাজীবন প্রত্যেক ক্লাসে ব্যবহার করতে হবে এবং একই থাকবে ।
এখন থেকে ক্লাসে কোন রোল এক, দুই , তিন থাকবে না। এটা হবে বিশাল বড় একটা রোল নম্বর যেটা মোবাইল নম্বরের মতো।
এই মহৎ ও কঠিন কাজ করার জন্য চার পৃষ্ঠার একটা ফরম পূরণ করে শীঘ্রই স্কুলে জমা দিতে হবে ( স্কুল থেকে বলবে )।
অনেক স্কুলে কাজ শুরু হয়ে গেছে। তাই বলার আগে রেডি করে রাখতে পারেন অথবা প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র প্রস্তুত করে রাখতে পারেন ।
unique id ki
এখানে সমস্যা হতে পারে শুধু জন্মনিবন্ধন নিয়ে। কারণ, যাদের বাসায় হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন সনদ আছে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। ডিজিটাল লাগবে। তার মানে , জন্মনিবন্ধন অবশ্যই অনলাইন করা থাকতে হবে। যাদের জন্মনিবন্ধন অনলাইন করা নাই। তারা শীঘ্রই করে নিবেন ।
- আর একটা কথা মনে রাখবেন, ছবির বেকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হতে হবে।
- রক্তের গ্রুফ প্রমাণের জন্য মেডিকেল বা প্যাথলজি সার্টিফিকেট লাগবে।।
ইউনিক আইডি ফরম ডাউনলোড
শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের পাশাপাশি নিন্মোক্ত ডকুমেন্ট সংযুক্ত করে দিতে হবে-
১. শিক্ষার্থীর সদ্য তােলা পাসপাের্ট সাইজের ২ কপি ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড রঙ্গিন ছবি, যা সম্মুখভাগ থেকে তােলা যেন দুই চোখ একই সাথে দৃশ্যমান হয়);
২. শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদ (Birth Registration Certificate) এর অনুলিপি;
৩. শিক্ষার্থীর মাতা, পিতা এবং প্রযােজ্যক্ষেত্রে অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি;
৪. শিক্ষার্থীর মাতা, পিতা এবং প্রযােজ্যক্ষেত্রে অভিভাবকের জন্ম নিবন্ধনের অনুলিপি(যদি থাকে);
ইউনিক আইডি ফরম পূরণের নিয়ম ও নির্দেশনা :
শিক্ষার্থীরা তাদের ইউনিক আইডি সংগ্রহের জন্য অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করে ফরমটি পূরণ করতে হবে। সেগুলো নিচে আলোচনা করা হল-
১. শিক্ষার্থীদের মৌলিক তথ্য প্রদান: শিক্ষার্থীরা তাদের ইউনিক আইডি ফরমে তাদের মৌলিক তথ্যাদি যেমন- নাম ও জন্ম তারিখ অবশ্যই তাদের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন অনুসরণ করে প্রদান করতে হবে।
কারো যদি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন না থাকে তাহলে অবশ্যই রেজিষ্টারের কার্যালয় থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধন করে নিতে হবে। যা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন পোর্টালে থাকবে।
২. পিতা ও মাতার তথ্য প্রদান : শিক্ষার্থীদের পিতা ও মাতার তথ্য অবশ্যই পিতা ও মাতার জাতীয়পরিচয়পত্র অনুসরণ করে লিপিবদ্ধ করতে হবে। যদি কারও তথ্য পিতা মাতার আইডি কার্ডের সাথে না মেলে তাহলে তা সংশ্লিষ্ট কার্যালয় থেকে সংশোধন করে নিতে হবে।
৩. শিক্ষা ও অন্যান্য তথ্যাদি : যথাযথ সতর্কতা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বর্বতী ও বর্তমান শিক্ষাগত তথ্য প্রদান করবেন। শ্রেণি শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান প্রধান তা দেখে সত্যায়ন করবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাতথ্য ভিত্তিক ডেটাবেইজ তৈরি এবং ইউনিক আইডি প্রদান কার্যক্রম এবং ৬ষ্ঠ থেকে ১২শ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি ফরম ও পূরণের নিয়মাবলি সংক্রান্ত আর কোনো তথ্য প্রয়োজন হলে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ফেসবুক পেইজটি লাইক ও ফলো করে মেসেজ করুন এবং গ্রুপে যোগ দিন।
স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ইউনিক আইডি ফরম / School Student’s Unique ID Form Pdf (৪ পৃষ্ঠা) :
অনলাইন থেকে ডাউনলোডকৃত শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি ফরম যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সহায়তায় পূরণ করতে হবে। ফরম পূরণ করার সময় অবশ্যই শিক্ষার্থীদের পিতা/মাতা জাতীয় পরিচয়পত্র এবং শিক্ষার্থীর অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুসরণ করে তথ্যাদি পূরণ করা লাগবে।