উপমহাদেশের কৃষিজাত ফসলগুলো অনেকাংশেই প্রকৃতি ও মৌসুমি বায়ুর ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষি আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ুও সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ফসল উৎপাদনের জন্য জলবায়ুর ভিত্তিতে সারা বছরকে প্রধান দুটি মৌসুম যথা—রবি মৌসুম ও খরিপ মৌসুম হিসেবে ভাগ করা হয়েছে। এই দুই মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের ফসল জন্মে। রবি মৌসুমেও অনেক ধরনের ফসল চাষাবাদ করা হয়। এই দুই মৌসুমের মধ্যে অনেকটা মিল থাকলেও তাদের মধ্যে পার্থক্যটা বিদ্যমান রয়েছে । নিচে দুই মৌসুমের পার্থক্য টা বিবেচনা করা হলো…
রবি মৌসুমঃ
আরবি ভাষায় রবি শব্দের অর্থ বসন্ত; কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শীতকালীন সময়টাকে রবি মৌসুমের মেয়াদকাল হিসেবে ধরা হয়। সাধারণত আশ্বিন থেকে ফাল্গুন মাস অর্থাৎ মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য মার্চ পর্যন্ত, মতান্তরে মধ্য নভেম্বর থেকে মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত সময়কালকে রবি মৌসুম বলে। এ সময়ে যে শস্য বা ফসলের চাষাবাদ করা হয় এদের রবিশস্য, রবি ফসল বা চৈতালি ফসল বলে। চাষাবাদকৃত এ ফসলের চারা শীতকালে রোপণ করা হলেও পরবর্তী সময়ে গ্রীষ্মকালে এ ফসল ঘরে তোলা হয়।
খরিপ মৌসুমঃ
চৈত্র থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত সময়কে খরিপ মৌসুম বলে। । খরিপ মৌসুমে বিশেষ করে আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাসের মধ্যে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় । খরিপ মৌসুমে তাপমাত্রা ও বায়ুর আর্দ্রতা বেশি পরিলক্ষিত হয়। খরিপ মৌসুমকে দুইভাগে ভাগ করা হয়।
ক) খরিপ- ১: চৈত্র মাস থেকে আষাঢ় মাস (১৬ মার্চ হতে ১৫ জুলাই) পর্যন্ত সময়কে খরিপ-১ বলা হয়। এইসময়কে গ্রীষ্মকালও বলা হয়।
খ) খরিপ-২ঃ শ্রাবণ মাস থেকে আশ্বিন মাস (১৬ জুলাই হতে ১৫ অক্টোবর) পর্যন্ত সময়কে খরিপ-২ বলে। এই সময় বর্ষাকাল ।
রবি মৌসুম ও খরিপ মৌসুমের মধ্যে পার্থক্য কী?
রবি মৌসুম | খরিপ মৌসুম |
---|---|
আশ্বিন থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত সময়কে রবি মৌসুম বলে। | চৈত্র থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত সময়কে খরিপ মৌসুম বলে। |
রবি মৌসুমের প্রথম দিকে কিছু বৃষ্টিপাত হয় তবে তা কম। | খরিপ মৌসুমে বিশেষ করে আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাসে পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। |
রবি মৌসুমে তাপমাত্রা ও বায়ুর আদ্রতা কম থাকে। | খরিপ মৌসুমে তাপমাত্রা ও বায়ুর আদ্রতা বেশি থাকে |
গ) মুরগির দেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান গুলো কী কী?
ঘ) মুরগির খামারে খাদ্য ও পানি কেন গুরুত্বপূর্ণ
২। নির্ধারিত কাজঃ কাঁঠাল গাছ সম্পর্কে নিচের ছকটি পূরণ কর