Science Assignment

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি সবাই ভালো আছো। তোমরা কি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১২ তম সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে- উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য, কোষের সকল শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণকারী অঙ্গাণুর গঠন চিত্রসহ বর্ণনা।

  • পোস্টার পেপারে/ ক্যালেন্ডারের উল্টো পাতায়/ আর্ট পেপারে উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের চিহ্নিত চিত্র আঁক।

  • এদের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য উল্লেখ করো।
  • কোষের সকল শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণকারী অঙ্গাণুর গঠন চিত্রসহ বর্ণনা করো।

https://i.imgur.com/P2i3AhW.jpg

৬ষ্ঠ শ্রেণির দ্বাদশ সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

cell

একটি প্রাণিকোষ ও একটি উদ্ভিদকোষ এর চিহ্নিত চিত্র

উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য :

প্রাণী কোষ উদ্ভিদ কোষ
কোষ প্রাচীর অনুপস্থিত উপস্থিত (সেলুলোজ গঠিত)
আকৃতি গোল (অনিয়মিত আকার) আয়তক্ষেত্রাকার (স্থির আকৃতি)
দেহাবয়বে বায়ু বা রসপূর্ণ গহ্বর এক বা একাধিক ছোট শূন্যস্থান (গাছের কোষের তুলনায় অনেক ছোট)। এক, বৃহত সেন্ট্রাল ভ্যাকুওল সেল ভলিউমের 90% অবধি গ্রহণ করে।
সেন্ট্রিওল সমস্ত প্রাণী কোষে উপস্থিত কেবল নিম্ন গাছের ফার্মগুলিতে উপস্থিত (যেমন ক্ল্যামিডোমোনাস)
ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত উপস্থিত (উদ্ভিদ কোষগুলিতে নিজস্ব খাবার তৈরির জন্য ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে।)
সাইটোপ্লাজম উপস্থিত উপস্থিত
রাইবোসোম উপস্থিত উপস্থিত
মাইটোকনড্রিয়া উপস্থিত উপস্থিত
প্লাস্টিড অনুপস্থিত উপস্থিত
এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম (মসৃণ এবং রুক্ষ) উপস্থিত উপস্থিত
পার-অক্সিসোম উপস্থিত উপস্থিত
গলগি বডি উপস্থিত উপস্থিত
রক্তরস ঝিল্লি কেবল সেল ঝিল্লি কোষ প্রাচীর এবং একটি ঘর ঝিল্লি
মাইক্রোটিবুলস / মাইক্রোফিলামেন্টস উপস্থিত উপস্থিত
ফ্লাজেলা কিছু কোষে উপস্থিত (যেমন স্তন্যপায়ী শুক্রাণু কোষ) কিছু কোষে উপস্থিত (যেমন ব্রায়োফাইটস এবং টেরিডোফাইটস, সাইক্যাডস এবং জিঙ্কগো এর বীর্য)
লাইসোসোম লাইসোসোম সাইটোপ্লাজমে ঘটে। লাইসোসোমগুলি সাধারণত স্পষ্ট হয় না।
নিউক্লিয়াস উপস্থিত উপস্থিত
নেত্রলোম উপস্থিত বেশিরভাগ উদ্ভিদ কোষে সিলিয়া থাকে না।

কোষের সকল শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণকারী অঙ্গাণুর গঠন চিত্রসহ বর্ণনা করা হলো-

কোষের সকল শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণকারী অঙ্গাণুটি হলো নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াস  হল প্রোটোপ্লাজমের সবচেয়ে ঘন, পর্দাঘেরা এবং প্রায় গোলাকার অংশ।যা কোষের সব জৈবনিক ক্রিয়া বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে তাকে বলা হয় নিউক্লিয়াস ৷ রবার্ট ব্রাউন (Robert Brown) সর্বপ্রথম ১৯৬৭ সালে কোষে নিউক্লিয়াস দেখতে পান এবং এর নামকরণ করেন। তিনিই এটি আবিষ্কার করেন সর্বপ্রথম। এটি ৪ টি অংশে বিভক্ত।

Nucleus
নিউক্লিয়াসের গঠন

এর আকৃতি গোলাকার, ডিম্বাকার, নলাকার, উপবৃত্তাকার, প্যাঁচানো থালার মত এবং শাখান্বিত হতে পারে ৷ রাসায়নিকভাবে নিউক্লিয়াস মূলত প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড দ্বারা গঠিত। এতে অন্যান্য উপাদানও থাকে। যেমনঃ প্রোটিন (Protein), আরএনএ(RNA), ডিএনএ(DNA) । সিভকোষ বা লোহিত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে না৷ নিউক্লিয়াসে বংশগতির বৈশিষ্ট্য নিহিত ৷ এটি কোষে সংঘটিত বিপাকীয় কার্যাবলিসহ সব ক্রিয়া-বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে ৷ সুগঠিত নিউক্লিয়াসে নিচের অংশগুলো দেখা যায়:

নিউক্লিয়ার ঝিল্লি বা নিউক্লিওপর্দা :-

নিউক্লিয়াস কে ঘিরে রাখে যে ঝিল্লি তাকে নিউক্লিয়ার ঝিল্লি বলে ৷ এটি দ্বিস্তরবিশিষ্ট ঝিল্লি ৷ এ ঝিল্লি লিপিড ও প্রোটিন এর সমন্বয়ে গঠিত ৷ এ ঝিল্লীতে মাঝে মাঝে কিছু ছিদ্র থাকে, একে নিউক্লিয়ার রন্ধ্র বলে ৷ এই ছিদ্রের মাধ্যমে কেন্দ্রিকা ও সাইটোপ্লাজম এর মধ্যে কিছু বস্তু চলাচল করে ৷ এই ঝিল্লী সাইটোপ্লাজম থেকে কেন্দ্রিকার অন্যান্য বস্তুকে পৃথক করে ও বিভিন্ন বস্তুর চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে ৷

নিউক্লিওপ্লাজম :-

কেন্দ্রিকা ঝিল্লির অভ্যন্তরে জেলির ন্যায় বস্তু বা রসকে কেন্দ্রিকারস বা নিউক্লিওপ্লাজম বলে ৷ কেন্দ্রিকা রসে নিউক্লিক অ্যাসিড, প্রোটিন , উৎসেচক, আরএনএ, বিভিন্ন এনজাইম, (ডিএনএ পলিমারেজ, আরএনএ পলিমারেজ, নিউক্লিওটাইড ট্রাইফসফাটেজ, নিউক্লিওসাইড ফসফোরাইলেজ, কাইS নেজ, ডিহাইড্রোজিনেজ, এন্ডোনিউক্লয়েজ), আরএনপি দানা, অল্প পরিমাণে লিপিড ও কতিপয় খনিজ লবণ থাকে ৷

নিউক্লিওলাস :-

নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রিকার মধ্যে ক্রোমোজম এর সাথে লাগানো গোলাকার বস্তুকে নিউক্লিওলাস বা কেন্দ্রিকাণু বলে ৷১৭৮১ সালে বিজ্ঞানী ফনটানা (Fontana) সর্বপ্রথম নিউক্লিওলাস আবিষ্কার করেন। ক্রোমোজোমের রঙঅগ্রাহী অংশের সাথে এরা লেগে থাকে ৷ এরা RNA ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত ৷ এরা নিউক্লিক অ্যাসিড মজুত করে ও প্রোটিন সংশ্লেষণ করে ৷ ক্রোমোজোমের যে স্থানে নিউক্লিওলাস সংযুক্ত থাকে তাকে বলা হয় SAT বা স্যাটেলাইট।

ক্রোমাটিন জালিকা বা নিউক্লিও জালিকা :

কোষের বিশ্রামকালে কেন্দ্রিকায় কুন্ডলী পাকানো সূক্ষ্ম সুতার ন্যায় অংশই হল ক্রোমাটিন জালিকা ৷ কোষ বিভাজনের সময় এরা মোটা ও খাটো হয় তাই তখন তাদের আলাদা ক্রোমোজোম দেখা যায় ৷

এই ছিল তোমাদের ৬ষ্ঠ শ্রেণির দ্বাদশ সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট এর বাছাইকরা উত্তর- উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য, কোষের সকল শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণকারী অঙ্গাণুর গঠন চিত্রসহ বর্ণনা।

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.