প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় সব কিছু যেমন অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গেছে তেমনি আয়টাও করা যাচ্ছে অনলাইনেই। ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায় অনেক আছে। তবে আয় করতে হলে অবশ্যই যে কোন একটি বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনারা হয়ত এ ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম তথ্য পেয়ে বিভ্রান্ত হয়েছেন। তাই আজ আমরা ঘরে বসে আয় করা নিয়ে সঠিক গাইডলাইন দিব। আশা করি সবাই এ থেকে উপকৃত হবেন। চলুন তাহলে দেখে নেই কীভাবে কি করতে হবে।
ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায়
এখন আর ঘরে বসে আয় করা কঠিন কিছু নয়। মানুষ প্রতিনিয়ত অনলাইনে আয় করে যাচ্ছে। সঠিক দিক নির্দেশনা পেলে আপনিও পারবেন আয় করতে। ফ্রিল্যান্সিং কিংবা ই-কমার্স আরও অনেক উপায়ই আছে অনলাইনে আয় করার। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা কিছু পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব৷ ঘরে বসে আয় করার পদ্ধতিগুলো উল্লেখ করা হল।
দেখুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং
ঘরে বসে আয়ের কথা বললে সবার আগে চোখের সামনে ভেসে উঠে ফ্রিল্যান্সিং এর কথা। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করছে। ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক দিক আছে। যেমন এফিলিয়েট মার্কেটিং, ডিজাইন, রাইটিং, ব্লগিং, প্রোগ্রামিং, এডিটিং, ভ্লগিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি। ফ্রিল্যান্সিং এ কাজের কথা বলে শেষ করা যাবে না।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে যে কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করুন। নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে কাজের অভাব হবে না। দক্ষতা অর্জন করে আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার প্রভৃতি মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিতে পারবেন। এ ছাড়া এনভাটো, গ্রাফিক্সরিভারে আপনার তৈরি করা প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কমিশন নিয়েও অনলাইনে আয় করা যায়। ব্লগার হলে গুগল এডসেন্সকে বেছে নিতে পারেন।
ই-কমার্স
যারা ফ্রিল্যান্সিংকে ঝামেলা মনে করেন তারা চাইলে ই-কমার্সে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। বাংলাদেশে ই-কমার্স দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। ক্রেতারা এখন আগের চেয়ে বেশি কেনাকাটা করেন অনলাইনে। বিশেষ করে বাংলাদেশে এফ-কমার্স বেশ প্রসারিত হয়েছে। আপনি পছন্দের প্রোডাক্ট নিয়ে ফেসবুকে একটি পেজ খুলে শুরু করতে পারেন। তবে বুঝেশুনে আগাতে হবে। না হয় শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়বে সব। আপনার প্রোডাক্টের ছবি তুলে পেজে পোস্ট করে মার্কেটিং করতে হবে। সেটা পেইড বা ফ্রি দুটোই হতে পারে। তারপর কেউ অর্ডার করলে ক্রেতার ঠিকানায় প্রোডাক্ট পাঠাতে হবে।
রিমোট জব
বর্তমানে পরিমাণে কম হলেও রিমোট জব পাওয়া যাচ্ছে। রিমোট জব হল ঘরে বসেই ভার্চুয়ালি অফিস করা। যদি ঘরে বসেই জব করতে চান তাহলে রিমোট জব খুঁজুন। আশা করি আপনার কাঙ্ক্ষিত জব পেয়ে যাবেন।
অনলাইন কনসালটেন্সি
বর্তমানে অনলাইন কনসালটেন্সির চাহিদা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ে কনসালটেন্সি দিতে পারেন। ধরুন আপনি বিজনেসটা খুব ভাল বুঝেন তাহলে সে বিজনেস নিয়েই অনলাইনে মানুষকে পরামর্শ দিতে পারেন। অথবা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হলে কনস্ট্রাকশন নিয়ে পরামর্শ দিতে পারেন, আইনজীবী হলে আইন নিয়ে, আর্কিটেক্ট হলে ইন্টেরিয়র নিয়ে কনসালটেন্সি খুলতে পারেন। নির্দিষ্ট পরিমাণ সার্ভিস ফি নিয়ে পরামর্শ দিবেন।
ইতিকথা
খালি চোখে ঘরে বসে আয় করা যতটা সহজ মনে হয় বাস্তবে ততটাই কঠিন। এখানে আয় করতে হলে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে যে কোন কাজে। দক্ষতা ছাড়া এ কাজে নামবেন না। এ ছাড়া প্রচুর ধৈর্যও লাগবে। সব কিছু বুঝেশুনে শুরু করবেন।