mobile diye taka income

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার নানাবিধ উপায় আছে। ফ্রিল্যান্সিং করতে পিসি লাগলেও মোবাইল দিয়েও অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজ করে টাকা আয় করা যায়। যে কোন একটা কাজ ভাল করে শিখতে পারলে প্রতি মাসে বেশ ভাল পরিমাণ টাকা আয় করা সম্ভব। কিন্তু সেটা কীভাবে?  এ প্রশ্নের জবাব দিতেই আজকের টিউটোরিয়াল। তো যারা মোবাইল দিয়ে আয় করার উপায় জানতে তারা মনযোগ সহকারে প্রবন্ধটি পড়ুন৷

মোবাইল দিয়ে আয় করার উপায়

মোবাইল দিয়ে কাজ করার সীমাবদ্ধতা থাকলেও অনেক কাজই করা যায়। আপনি জানেন কি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়েই আয় করা সম্ভব? প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় সব কিছুই অনলাইন নির্ভর হচ্ছে৷ তাতে মোবাইল দিয়ে কাজের সুযোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ আমরা এখন মোবাইল দিয়ে আয় করার বিভিন্ন পদ্ধতি আলাচনা করব। চলুন তাহলে দেখে নেই।

আরও দেখুনঃ ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায়, জেনে নিন

ইউটিউব থেকে মোবাইল দিয়ে আয়

ইউটিউব বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখে থাকেন৷ এই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম কাজে লাগিয়ে আপনিও উপার্জন করতে পারেন মোবাইল দিয়েই। প্রথমে একটি চ্যানেল খুলে ফেলুন। তারপর আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করুন।

সেটা হতে রান্নাবান্না, শিক্ষামূলক টিউটোরিয়াল, কোন অনুসন্ধ্যানী রিপোর্ট, কোন ফ্যাক্ট কিংবা খেলাধুলার ভিডিও। আপনার মোবাইল দিয়েই ভিডিও করে আপলোড করবেন। আপনার ভিডিওতে মানুষ যখন বিজ্ঞাপন দেখবে তখন আপনার আয় হতে থাকবে। সেজন্য অবশ্য ইউটিউব থেকে মনিটাইজ নিতে হবে। প্রতি মাসে যা আয় হবে সেটা ইউটিউব আপনার ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দিবে।

ফেসবুক থেকে মোবাইল দিয়ে আয়

ইউটিউবের মত একই পদ্ধতিতে মোবাইল দিয়ে ফেসবুকেও আয় করতে পারবেন। কাজের ধরণও একই। পার্থক্য হল ইউটিউবে খুলতে হয় চ্যানেল আর ফেসবুকে খুলতে হয় পেজ। মোবাইলে ভিডিও করে আপনার ফেসবুক পেজে আপলোড করবেন। তবে আয় করতে হলে ফেসবুক থেকে পেজের মনিটাইজ নিতে হবে। তখন আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখলেই আয় হতে থাকবে।

ফটোগ্রাফি থেকে মোবাইল দিয়ে আয়

ফটোগ্রাফির কথা শুনে অনেকেই হয়ত ভাবছেন ফটোগ্রাফি করতে তো ডিএসএলআর ক্যামেরা লাগে। তা লাগে বটে। কিন্তু মোবাইলে ফটোগ্রাফি করেও আয় করতে পারবেন। ছবি তোলায় আপনার হাত ভাল হলে বিভিন্ন জিনিসের ছবি তুলে আন্তর্জাতিক ফোরামে বিক্রি করবেন। বেশ কিছু সাইটে ফটোগ্রাফি কেনাবেচা হয়। আপনার ছবি যতবার বিক্রি হবে ততবার আপনার দেওয়া মূল্যের সম পরিমাণ টাকা পাবেন।

বিকাশ , লোড থেকে  আয়

বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং বেশ জনপ্রিয়। আপনার মোবাইল দিয়েই বিকাশ, নগদের ব্যবসা করতে পারেন৷ সেজন্য অবশ্য দোকান নিতে হবে। সাধারণত প্রতি হাজারে ৪ টাকা কমিশন থাকে। সাথে মোবাইলে রিচার্জের ব্যবসাও করতে পারেন৷

মাইক্রোওয়ার্কার্স সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে আয়

মাইক্রোওয়ার্কার্স (www.microworkers.com) বেশ ভাল মাধ্যম মোবাইল দিয়ে আয় করার। এ সাইট থেকে আয় করতে হলে তেমন দক্ষতাও লাগবে না। কাজগুলো খুবই সহজ। প্রথমে উপরে দেওয়া লিংক থেকে রেজিস্ট্রেশন করে নিন। তারপর বিভিন্ন ধরনের জব দেখতে পাবেন। কোন দেশের লোকজন কাজটা করতে পারে, কত টাকা পাওয়া যাবে সব দেওয়া থাকে। আপনি যে কাজটা ভাল পারেন সেটা করা শুরু করে দিন। আপনার উপার্জন ১ ডলার হলেই বিকাশে ট্রান্সফার করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে এফ-কমার্স

বাংলাদেশের মানুষ ইন্টারনেট বলতে ফেসবুককেই বুঝে থাকে। যে কারণে ফেসবুক ভিত্তিক একটা ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম গড়ে উঠেছে। যাকে বলা হয় এফ-কমার্স। আপনার মোবাইল দিয়েই এফ-কমার্স করতে পারেন। যে কোন একটি প্রোডাক্ট নির্বাচন করে মোবাইল দিয়ে ফটোগ্রাফি করে পেজে পোস্ট করুন। মানুষের ভাল লাগলে আপনার পেজে অর্ডার করবে। পেজ যদি জনপ্রিয় করতে পারেন তাহলে এক সময় প্রচুর বিক্রি হবে৷ তবে এফ-কমার্স করতে হলে প্রোডাক্ট নির্বাচনে সতর্ক হতে হবে। না হলে লোকসানে পড়তে হবে। বর্তমানে এফ-কমার্সে প্রচুর কমপিটিশন।

শেষ কথা

আশা করি আপনারা মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় পেয়েছেন। তাই বসে না থেকে আজই কাজে লেগে যান। তবে যে কোন কাজে দক্ষতার বিকল্প নেই৷

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.