জনাব “খ” এর কার্যক্রমটি তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর
আলোচ্য উদ্দীপকে জনাব “খ” তার এলাকার অসুস্থ পিরিত পশুপাখি বিপন্ন গাছগাছারী সুন্দর করে পরিচর্যার জন্য একটি বহুমুখী ইনস্টিটিউশন পরিচালনা করেন। এখানে জনাব “খ” এর মধ্যে সৃষ্টির সেবা করা গুণটি প্রকাশ পায়। ইসলামী পরিভাষায় আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে আদর যত্ন করার নামই হলো সৃষ্টির সেবা। সৃষ্টিকুলের সব কিছু যেমন জীবজন্তু, পশুপাখ্ কীটপতঙ্গ ,পাহাড়-পর্ব্ গাছপালা ইত্যাদি মানুষের উপকারের জন্যই আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। যে সৃষ্টির প্রতি দয়া ও সহানুভূতি প্রদর্শন করে আল্লাহ তার প্রতি খুশি হয়ে রহমত বর্ষণ করেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেছেন “তোমরা জমিনের অধিবাসীদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করবে। তাহলে আসমানের অধিপতি মহান আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়া করবেন” (তিরমিযি)
সমগ্র সৃষ্টিজগতের হলো আল্লাহর পরিবার আর আল্লাহর কাছে সেই ব্যক্তি প্রিয় যে তার পরিবারের প্রতি বেশি অনুগ্রহ করে। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, কুকুর-বিড়াল প্রভৃতি সকল প্রাণীরও আমাদের মতো ক্ষুধা ও পিপাসা আছে। এদেরকে খেতে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। জীব জন্তুর মতো উদ্ভিদের প্রতিও সদয় হতে হবে। অকারণে গাছ কাটা উচিত নয়, গাছের পাতা ছেঁড়া বা চারা গাছ উপড়ে ফেলা উচিত নয় বরং আমাদের উচিত গাছপালা যত্ন নেওয়া কারণ বৃক্ষলতা ও মহান আল্লাহপাকের তাসবিহ পাঠ করে।
আলোচ্য উদ্দীপকে জনাব “খ” পশুপাখি ও গাছগাছারী পরিচর্যার মধ্য দিয়ে সৃষ্টির সেবা করেছেন। তাই আমাদেরও উচিত সমগ্র সৃষ্টিজগতের প্রতি যত্নশীল হওয়া।
আরও দেখুনঃ
জনাব ‘ক’ এর মধ্যে আখলাকে হামিদাহর কোন গুণটি বিদ্যমান ব্যাখ্যা কর