যেভাবে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার বিমানটি

নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। দেশটির বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সঞ্জীব গৌতম বলেন, রানওয়েতে অবতরণের সময় বিমানটির পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। খবর কাঠমাণ্ডু পোস্ট।

নেপালের স্থানীয় দৈনিক কাঠমাণ্ডু পোস্ট বলছে, ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই বিমানটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়।

সঞ্জীব গৌতম বলেন, ইউএস-বাংলার বিমানটিকে বিমানবন্দরের দক্ষিণপ্রান্ত থেকে রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমানটি বিমানবন্দরের উত্তর অংশ থেকে অবতরণের চেষ্টা করে। এ সময় হঠাৎ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

বিমানটির পাইলটের ক্যাপ্টেন হাফিজের কাছে গ্রাউন্ড থেকে সঠিক তথ্য পৌঁছাতে দেরি হয়।

সঞ্জীব গৌতম আরও বলেন, অস্বাভাবিক এ অবতরণের পেছনের কারণ এখনও আমরা জানতে পারিনি।

তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন হাফিজের কাছে গ্রাউন্ড থেকে সঠিক তথ্য পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

নেপালের ভ্রমণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সুরেশ আচার্য জানান, সোমবার বিকেলে বিধ্বস্ত হওয়া এই বিমানে ৪ ক্রুসহ ৭১ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী ও দুটি শিশু।

এই ঘটনায় সব ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করেছে টিআইএ।

ঘটনাস্থলে রেডক্রিসেন্ট, নেপাল সেনাবাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকারী অন্যান্য টিমের সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন।

আরও পড়ুন:

About Author

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.