নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের বেসরকারি বিমানসংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ৪ ক্রুসহ ৬৭ আরোহীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

নেপাল সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৫০ জনের নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে নেপালের পুলিশের মুখপাত্র মনোজ নুপেন প্রাথমিকভাবে ৪০ জনের প্রাণহানির তথ্য জানিয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ৩১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে নেয়ার পর আরো ৯ জন মারা গেছেন।

 

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিধ্বস্ত বিমানের আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট টার্বোপ্রোপ বিমানটি ৬৭ আরোহী ও চার ক্রু নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল।’

তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ পুরুষ, ২৭ নারী ও দুই শিশু ছিল। এদের মধ্যে অন্তত ৩৩ জন নেপালের নাগরিক।’

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বোম্বারডায়ার ড্যাশ-৮ বিমানটি দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে এতে আগুন ধরে যায়।

All Result BD

নেপালের বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সানজিব গৌতম বলেন, বিমানটির পাইলটকে বিমানবন্দরের দক্ষিণ-প্রান্ত থেকে রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমানবন্দরের উত্তর অংশ থেকে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে পাইলট। এ সময় হঠাৎ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আছড়ে পড়ে বিমানটি।

বিমান বিধ্বস্তের পরপরই ঘটনাস্থলে উদ্ধাকারী দল, সেনাবাহিনী ও অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছায়। বিমাবন্দরের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, বিমানটি বিধ্বস্তের আগে আকাশে কাঁপতে শুরু করে।

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.