বাংলাদেশ

উন্নত বিশ্বের মতো সবার জন্য সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর জন্য একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। জানান, চলতি বছরে স্বল্প পরিসরে হলেও এই ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছেন তিনি।

বুধবার জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য ইয়াসিন আলীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

ওই সংসদ সদস্য জানতে চেয়েছিলেন ব্যাংকে সঞ্চয়ের ডিপিএস নতুন করে চালু করতে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না। এ বিষয়ে উত্তর দেয়ার পাশাপাশি পেনশন নিয়ে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

এখন পর্যন্ত কেবল সরকারি চাকুরেরা অবসরের পর বাকি জীবনের জন্য পেনশন সুবিধা পান। কিন্তু বেসরকারি চাকুরেদের জন্যও এই সুবিধা চালুর বিষয়ে চলতি অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের সময়ই কথা বলেছিলেন।

মুহিত বলেন, ‘পেনশন স্কিম আরও বড় করা হচ্ছে, আমরা সারাদেশের জন্য, গোটা জাতির জন্য পরিচালনার একটা খসড়া প্রণয়ন করেছি। এটা সম্ভবত ২০২৪ সালে চালু করা সম্ভব হবে না। আমার খুব চেষ্টা যেন অন্তত টোকেনভাবে আগামী বাজেটেই এটা চালু করা যায়।’

এর আগে ডিপিএসের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ডিপিএস আমিই এই দেশে প্রবর্তন করি এবং ডিপিএস বেশ ভালোভাবে চলছে, এটার স্বাস্থ্যও বেশ ভালো আছে।’

‘আগে যেভাবে সুদ পাওয়া যেত এখন তা পাওয়া যাবে না। কারণ আগে ১৬ পারসেন্ট ইন্টারেস্ট রেট ছিল, এখন ইন্টারেস্ট রেট ১৬ পারসেন্ট না, অনেক নিচে। যেটা দেখা উচিত, ইন্টারেস্ট রেটটা মূল্যস্ফীতির রেট যেটা আছে, তার চেয়ে যেন বেশি থাকে। ’

‘আগের মতো লাভ পাবেন না। কিন্তু মূল্যস্ফীতি যেহেতু কম সুতরাং আপনার লাভের শেয়ারটা যদি আরও কমে যায়, আহলে দুঃখ পাওয়ার কোনো কারণ আমরা দেখি না।’

সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাব মুহিত বলেন, দেশে এখন ব্যাংকের শাখা নয় হাজার। কিন্তু আরও বেশি হওয়া প্রয়োজন। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলো গ্রাম এলাকায় শাখা খুলতে চায় না। এ জন্য সরকার আইন করে দিয়েছে যে তিনটি শাখা খুললে দুইটি খুলতে হবে গ্রাম এলাকায়।

আরও পড়ুনঃ

‘প্রশ্ন ফাঁস হলেই পরীক্ষা বাতিল, প্রয়োজনে একই পরীক্ষা ১০ বার’

এক সেটে সারা দেশে প্রশ্ন, ফাঁস হলে বাতিল

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.