m fola

শ্রেণী: আলিম দ্বিতীয় বর্ষ, বিষয়ঃ বাংলা ২য় পত্র, অ্যাসাইনমেন্ট নং-২, সর্বমোট মার্কঃ ২০;

অ্যাসাইনমেন্টঃ ব-ফলা ম-ফলা ও য-ফলার উচ্চারণ সূত্র এবং গদ্য কবিতা থেকে বাছাইকৃত ফলা যুক্ত শব্দের উদাহরণ।

অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনা ( সংকেত/ধাপ/পরিধি):

  • ব-ফলার উচ্চারণ সূত্র লেখা।
  • পুনবিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির গদ্য কবিতা থেকে ব-ফলা যুক্ত শব্দ বাছাই করে উচ্চারণ লেখা।
  • ম-ফলার উচ্চারণ সূত্র লেখা।
  • পুনবিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির গদ্য কবিতা থেকে বাছাই করে উচ্চারণ লেখা।
  • য-ফলার উচ্চারণ সূত্র লেখা।
  • পুনর্বিন্যাসের গদ্য কবিতা থেকে য-ফলা যুক্ত শব্দ বাছাই করে উচ্চারণ সহ লেখা।

অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের শিক্ষার্থীরা ০ থেকে ৬ নম্বর পেলে অগ্রগতি প্রয়োজন, ৭ থেকে ১০ নম্বর পেলে ভালো, ১১ থেকে ১৪ নম্বর পেলে উত্তম, এবং ১৫ থেকে ১৮ নম্বর পেলে অতি উত্তম হিসেবে চিহ্নিত হবে।

এইচএসসি, আলিম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট বাংলা ২য় পত্রের উত্তর

ব-ফলার উচ্চারণের সূত্র

ব-ফলার উচ্চারণের সূত্রগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ

  • শব্দের আদিতে ব-ফলা যুক্ত হলে ‘ব’ অনুচ্চারিত হয়, তবে যে বর্ণ সংযুক্ত হয় সে বর্ণ উচ্চারণে একটু
    শ্বাসাঘাত লাগে। যেমন- স্বামী, স্বাধীকার, জ্বলছে, দ্বিতীয়।
  • শব্দের শেষে বা মধ্যে ব-ফলা থাকলে সেই ব ফলা অনুচ্চারিত এবং যে বর্ণে যুক্ত সেই বর্ণ দ্বিত্ব হয়। যেমনঃ বিশ্বাস, ভূস্বামী, বিশ্ব।
  • উৎ উপসর্গের সাথে ব যুক্ত হলে ব উচ্চারিত হয়। যেমনঃ উদ্বেগ,উদ্বেলিত, উদ্বাস্তুু,উদ্বোধন।
  • শব্দের মধ্যে বা শেষে বা এর সঙ্গে ব, ম এর সঙ্গে ব যুক্ত হলে ঐ ‘ব’ উচ্চারিত হয়। যেমনঃ সাব্বাস, আব্বা, নব্বই।
  • সন্ধি সূত্রে আগত ‘ক’ স্থলে ‘গ’ হলে সেই ‘গ’ এর সাথে যুক্ত হলে সে ‘ব’ উচ্চারিত।যেমনঃ দিগ্বালিকা,দিগ্বধ।
  • যুক্ত ব্যঞ্জন এ ব-ফলা যুক্ত হলে ব উচ্চারিত হয় না। যেমনঃ দ্বন্দ্ব, সান্তনা, উজ্জ্বল, উচ্ছ্বাস।

ম-ফলার উচ্চারণ সূত্র

ম ফলা উচ্চারণের সূত্রগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ

  • শব্দের আদিতে ম-ফলা যুক্ত হলে সেই ম অনুচ্চারিত থাকে। যেমন স্মৃতি, স্মরণ ।
    কিন্তু ম এর কারণে যে বর্ণের সাথে ম যুক্ত হয় সেই বর্ণটি একটু অনুনাসিক হয়। স্মৃতি, শ্মশান।
  • শব্দের মধ্যে বা শেষে ম যুক্ত হলে দ্বিত্ব হবে,শেষ বর্ণটি একটু অনুনাসিক হবে। যেমনঃপদ্মা, ছদ্মবেশ, আত্মীয়।
  • গ,ঙ,ট,ণ,ন,ম,ল এর সাথে যুক্ত হলে ম রক্ষিত হবে, কিন্তু দ্বিত্ব হবে না। যেমনঃ

গ্ম- বাগ্মী,যুগ্ম।
ঙ্ম- বাঙ্ময়,পরাঙ্মুখ।
ট্ম-কুট্মালিত তরু কুঞ্জে গাঁথিব মালিকা।
ন্ম- জন্ম,উন্মাদ,মৃন্ময়,।
ম্ম- সম্মানিত
ল্ম- গুল্ম,বাল্মীকি,শাল্মলী (শিমুল)।

  • যুক্তব্যঞ্জনের মধ্যে বা শেষে ম উচ্চারিত হয় না, দ্বিত্ব হয় না, কিন্তু নাসিক্য হয়।যেমন- যক্ষ্মা, লক্ষ্মণ।
  • কৃৎ ঋণ শব্দের আদিতে ম উচ্চারিত।যেমনঃস্মিতাপাতিল,সুষ্মিতা,

য-ফলার উচ্চারণ

য-ফলার উচ্চারণ গুলো নিচে দেওয়া হলঃ

  • শব্দের প্রথমে অ-কারান্ত বা আ-কারান্ত বর্ণে য -ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণ অ্যা হয়।যেমনঃ ব্যয়, খ্যাত, ব্যাথা, ব্যাকরণ।
  • য-ফলা যুক্ত বর্ণের পর ই-কার থাকলে এ উচ্চারিত হয়। যেমনঃব্যাক্তি
  • শব্দের অন্তে বা মধ্যে য-ফলা থাকলে দ্বিত্ব হবে। যেমনঃ উদ্যান,বিদ্যা, তথ্য।
    মহাপ্রাণ হলে প্রথমটি অল্পপ্রাণ দ্বিতীয়টি মহাপ্রাণ।
  • হ এবং য ফলা যুক্ত হলে হ লোপ পায়। যেমনঃ সহ্য।
  • যুক্ত ব্যঞ্জনে য ফলা যুক্ত হলে তার উচ্চারণ থাকে না, অ রক্ষিত।যেমনঃ স্বাস্থ্য, কন্ঠ, বন্দ্যোপাধ্যায়।

ব-ফলা ম-ফলা ও য-ফলা উচ্চারণ সূত্র এবং ফলাযুক্ত শব্দের উদাহরণ।

পূর্ণবিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির গদ্য ও কবিতা থেকে ‘ব’ ফলা যুক্ত শব্দের উচ্চারণঃ

সম্বন্ধ – শম্ বন্ ধো
অদ্বিতীয় – অদ্ দিতিয়ো
সরস্বতী – শরোশ্ শোতি
নিঃশ্বাস – নিশ্ শাশ
দাসত্ব – দাশোত্ তো
স্বস্তি – শোস্ তি
উদ্বিগ্ন – উদ্ বিগনো
সন্ধান – শন্ ধান
শ্বাপদ – শাপদ্
জ্বালা – জালা

পূর্ণবিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির গদ্য ও কবিতা থেকে ‘য’ ফলা যুক্ত শব্দের উচ্চারণঃ

ব্যতীত – ব্যাতিতো
ব্যস্ত – ব্যাস্ তো
বিদ্যা – বিদ্ দা
সহ্য – শোজ্ ঝো
প্রত্যেক – প্রোত্ তেক
শয্যাগত – শোয্ যাগত
অসাধ্য – অশাদ্ ধো
ভাগ্য – ভাগ্ গো
মিথ্যা – মিত্ থা
দিব্যি – দিব্ বি
ব্যবস্থা – ব্যাবোস্ থা
ধন্য – ধোন্ নো

পূর্ণবিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির গদ্য ও কবিতা থেকে ‘ম’ ফলা যুক্ত শব্দের উচ্চারণঃ

সম্মার্জনা – শম্ মারজোনা
উন্মনা – উন্ মনা
আত্মপ্রকাশ – আত্ তোঁপ্রোকাশ্
অকস্মাৎ – অকোশ্ শাঁত
সবিস্ময় – শোবিশ্ ময়
আত্মহত্যা – আত্ তোঁহোত্ তা
সম্মুখ – শম্ মুখ
আজন্ম – আজন্ মো
স্মৃতি – সৃতি
স্মরণ – শঁরোন

এই ছিল তোমাদের এইচএসসি, আলিম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বাংলা ২য় পত্রের বাছাইকৃত নমুনা উত্তর

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.