শিক্ষা সংবাদ,

ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদনে শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততা ঠেকাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতি সেমিস্টারে ন্যূনতম তিনটি কোর্স আবশ্যিক করার সুপারিশ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউসিজি) এই প্রতিবেদনে কোর্স বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরচর্চা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার বিষয়টি উল্লেখ করে। এই প্রতিবেদনে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও উচ্চশিক্ষার জন্য বেশ কিছু সুপারিশ তৈরি করে রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করে।

গত দু’বছরে তরুণদের মধ্যে জঙ্গিবাদে জড়ানোর একটি উল্লেখযোগ্য প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো বিষয়ে না জড়ানোর জন্য কৌশল নির্ধারণ করে ইউজিসি।

সুপারিশে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালেয়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী একটি সেমিস্টারে শুধু দু’টি কোর্স নিয়ে পূর্ণকালীন শিক্ষার্থীর মর্যাদা পাচ্ছে। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শুধু দু’টি কোর্স গ্রহণের সুবিধা বিদ্যামান থাকায় তারা প্রচুর অবসর সময় পাচ্ছে।

‘এর ফলে শিক্ষার্থী পড়াশোনা ছাড়া অন্যদিকে সময় দেওয়ার সুযোগ পাওয়ায় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। সে জন্য শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে প্রতি সেমিস্টারে ন্যূনতম তিনটি কোর্স আবশ্যিক করা এবং শরীরচর্চা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দশ দেওয়া যেতে পারে।’

ইউজিসির প্রতিবেদনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিন্ডিকেট, সিনেট, একাডেমিক কাউন্সিলের নিয়মিত সভা না হওয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে না জড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে ইউজিসি।

‘বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থী কিংবা কর্মকর্তা কর্মচারী যাতে বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতির পরিপন্থী কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে না পারে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে।’

বেসরকারি বিশ্বিবিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভা আহ্বান করে না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষ নেই। তাদের নিরীক্ষিত বার্ষিক হিসাবও ইউজিসিতে দেয় না। এ বিষয়ে আইনের লঙ্ঘন উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে ইউজিসি।

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.