করোনা ভাইরাসের লক্ষণ

করোনা ভাইরাসের লক্ষণ ও তার প্রতিকার। দেহে করোনা সংক্রমণ হলে কীভাবে বোঝা সম্ভব? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনা সার্সের মতো নয়। সহজে এ ভাইরাস ধরা দেয় না। করোনা ভাইরাসের লক্ষণ গুলি কি কি তা জেনে নিন।

করোনা ভাইরাসের উপসর্গ ও লক্ষণ

উপসর্গ ও লক্ষণ প্রাথমিকভাবে সর্দি, কাশি থেকে নিউমোনিয়া। সঙ্গে প্রবল জ্বর, শ্বাসকষ্ট। এটাই প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। এতে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না বলে এই ভাইরাস কাবু করা কঠিন। প্রাথমিকভাবে এর উপসর্গও বোঝা শক্ত। করোনা ভাইরাস থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্যে সংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা। তেমনটা ঘটলে, পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে জরুরি বৈঠক সেরেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সার্স মোকাবিলা থেকে শিক্ষা নিয়েই তৈরি থাকতে চাইছেন চিকিৎসকরা।

Coronavirus Symptoms And Treatment (Symptoms Of Covid 19)

  • করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রধান লক্ষণ হলো শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
  • এর সঙ্গে সঙ্গে থাকে জ্বর এবং কাশি।
  • অরগ্যান ফেইলিওর বা দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া।
  • হতে পারে নিউমোনিয়া।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় পাঁচ দিন লাগে। প্রথম লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। তার পর দেখা দেয় শুকনো কাশি। এক সপ্তাহের মধ্যে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট।

বিদেশ থেকে আসলেই তারা করোনভাইরাসে আক্রান্ত নন

এই ভাইরাসটি কোন একটা প্রাণী থেকে মানুষের দেহে ঢুকেছে এবং একজন থেকে আরেকজনের দেহে ছড়াতে ছড়াতে আবার নিজের জিনগত গঠনে পরিবর্তন আনছে। কিন্তু এ ভাইরাসটির প্রকৃতি এবং কিভাবে তা রোধ করা যেতে পারে এ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা বিশদভাবে জানার চেষ্টা করছেন।

মনে করা হচ্ছে সার্স বা ইবোলার মতো প্রাণঘাতী ভাইরাসের মতোই করোনা ভাইরাস। তবে এটি নাকি সার্স বা ইবোলার চেয়েও অনেক বেশি বিপদজনক।

Coronavirus Bangladesh Update News Live Today (COVID-19)

বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনা ভাইরাসটি মানুষের দেহকোষের ভেতরে ইতিমধ্যেই ‘মিউটেট করছে’ অর্থাৎ গঠন পরিবর্তন করে নতুন রূপ নিচ্ছে এবং সংখ্যাবৃদ্ধি করছে। যার ফলে এটি বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

করোনা ভাইরাসটির আরেক নাম ২০২৪-এনসিওভি। করোনা ভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে। এর মধ্যে মাত্র ৭টি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে।

করোনা ভাইরাস যেভাবে ছড়ায়

বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, এ ভাইরাসটি একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে দ্রুত ছড়াতে পারে।
করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই এটি একজনের দেহ থেকে আরেকজনের
দেহে ছড়ায়। সাধারণত ফ্লু বা ঠাণ্ডা লাগার মতো করেই এ ভাইরাস ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে।

করোনা ভাইরাসের প্রতিকার

যেহেতু এই ভাইরাসটি নতুন, তাই এর কোন টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো নেই এবং এমন কোন চিকিৎসা নেই যা এ রোগ ঠেকাতে পারে। তবে-

* রক্ষার একমাত্র উপায় হলো, যারা ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে বা এ ভাইরাস বহন করছে- তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।

* ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়েছেন বার বার হাত ধোয়া, হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা, ঘরের বাইরে গেলে মুখোশ পরা।

* আপনি যদি অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে মুখোশ পরুন, আর নিজে অসুস্থ না হলেও, অন্যের সংস্পর্শ এড়াতে মুখোশ পরুন। কেননা চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে এসে কমপক্ষে ১৫ জন চিকিৎসাকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.