আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা মোবাইলে ডাটা ব্যবহার করার মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্রাউজ করে থাকে।
কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন কারণে ইন্টারনেট ডাটা প্যাক গুলো খুব দ্রুত ফুরিয়ে যায়। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন মোবাইলের ডাটা খরচ কমানোর উপায় সম্পর্কে।

যদি আপনার মোবাইল প্রচুর পরিমাণে ডাটা খরচ করে থাকে তাহলে এই পোষ্টের কিছু টিপসের মাধ্যমে খুব সহজে সেই ডাটা খরচের পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারবেন।

আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন, তাহলে খুব সহজে মোবাইলের ডাটা খরচ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক যে, কিভাবে মোবাইলে ডাটা খরচ কমানো যায়? বা মোবাইলের ডাটা খরচ কমানোর উপায় সমূহ সম্পর্কে।

বর্তমান সময়ে আমাদের মধ্যে সবচেয়ে কমন একটি সমস্যা হল স্মার্টফোনে মোবাইল ডাটা চালু করা মাত্রই প্রচুর পরিমানে ডাটা ফুরিয়ে যায়। সেই সাথে ডাটা ফুরিয়ে গিয়ে সিমে থাকা টাকাও সব কেটে নিয়ে যাওয়া হয়। আর তাই মোবাইলে ডাটা খরচ কমানোর খুবই প্রয়োজন হয় কেননা এ ভরা ডাটাগুলো প্রচুর টাকা খরচ করে কিন্তু হয় আর যদি কোনো কারণে একা একাই ডাটাগুলো ফুরিয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আফসোস করা ছাড়া আর কোন উপায়।

সেটিংসের সাহায্যে ডাটা খরচ কমানোর উপায়

আপনার ফোনের ডাটা খরচ কমানোর জন্য সেটিংস এর সাহায্য নিতে পারেন। কেননা সেটিংস এর কিছু অপশন চালু অথবা বন্ধ করার মাধ্যমে আপনার ফোনে ডাটা খরচ অনেকাংশে কমিয়ে ফেলতে পারবেন। যদি আপনি সেটিংস এর সাহায্যে ডাটা খরচ কমানোর উপায় সম্পর্কে না জানেন তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে সেটিংসে সাহায্যে ডাটা খরচ কমানো যাবে।

তো আপনি যদি আপনার সেটিংস এর সাহায্যে ডাটা খরচ কমাতে চান তাহলে, প্রথমে আপনাকে চলে যেতে হবে স্মার্ট ফোনের সেটিংস (Settings)। সেটিংসে যাওয়ার পর যেতে হবে অ্যাপস এন্ড নোটিফিকেশন (Apps and Notification) নামক অপশনে। অ্যাপস এন্ড নোটিফিকেশন অপশনে ক্লিক করার পর দেখতে পাবেন Unrestricted Data অপশন।

এটা তে ক্লিক করার পর দেখতে পাবেন স্পেশাল অ্যাপস এক্সেস (Special Apps Access) লিখা একটা অপশন। এই অপশনে ক্লিক করলে একেবারে নিচে দোখগে পাবেন রেস্ট্রিস্ট অ্যাপস ডাটা Restrict App Data লেখা।

এরপরে আপনি রেস্ট্রিক্ট অ্যাপস ডাটা লেখাতে ক্লিক করলে আপনার ফোনে থাকা সব অ্যাপস চলে আসবে। এরপরে সব গুলো অ্যাপসের ডাটা সেভ চালু করে দিতে হবে। এরপরে দেখবেন কোন অ্যাপস আপনার নিজের অজান্তেই ডাটা খরচ করতে পারবে না।

আপনি উপরের টিপসগুলো সহজ ভাবে অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনার ফোনের মোবাইলের ডাটা খরচ অনেকাংশে কমিয়ে ফেলতে পারবেন। যেই সব অ্যাপস গুলো বেশি ডাটা ব্যবহার করে সেইসব অ্যাপসগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা বন্ধ করার মাধ্যমে আগের তুলনায় অনেকাংশেই মোবাইলের ডাটা খরচ কমানো যাবে।

 

অটো আপডেট বন্ধ

আমরা অনেক সময় অটো আপডেট সিস্টেম চালু করে রাখে। আর যেই কারনে যদি কোন অ্যাপস এর আপডেট ভার্সন প্রকাশ করা হয় তাহলে অটোমেটিকভাবে উক্ত অ্যাপসটি অটো আপডেট হয়ে যায়। আর এই অটো আপডেট হওয়ার কারণে আমাদের প্রচুর পরিমাণে ডাটা খরচ হয়ে থাকে।

তো আপনি যদি চান তাহলে অটো আপডেট সিস্টেম টি বন্ধ করার মাধ্যমে আপনার ফোনের বা মোবাইলের ডাটা খরচ অনেকাংশেই কমিয়ে ফেলতে পারবেন। আর তাই আপনি যদি চান মোবাইল এর ডাটা খরচ কমাতে তাহলে অবশ্যই অটো আপডেট সিস্টেম টি আপনার ফোন থেকে বন্ধ করে দিতে হবে।

যাতে করে কখনো অটো আপডেট না হয়ে আপনার মোবাইলের ডাটা খরচের পরিমাণ বাড়িয়ে না দেয়। তবে আপনি যখন ব্যবহার করবেন তখন চাইলে নিজে আপডেট করে এগুলো ব্যবহার করবেন। এভাবে আপনি অনেকাংশে ইন্টারনেট খরচ খরচ কমিয়ে ফেলতে পারবেন।

সেলুলার ডাটা চালু/বন্ধ

আমাদের মধ্যে অনেক ব্যবহারকারী রয়েছে যারা সেলুলার নেটওয়ার্ক ডাটা ব্যবহার করার পর আর বন্ধ করে না। আর এই বন্ধ না করার কারণে অনেক সময় দেখা যায় ডাটা চালু থাকায় একা একাই বিভিন্ন অ্যাপস ডাটা ব্যবহার করে ফেলে। এতে করে আমরা খুব তাড়াতাড়ি ডাটা ফুরিয়ে যাওয়ার সংকটে পড়ি।

আর এই জন্য এই বিপদ থেকে বাঁচতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হল প্রতিবার ডাটা ব্যবহার করার পর সাথে সাথে কানেকশন বন্ধ করে দিবেন। আবার যখন ব্যবহার করবেন তখন চাইলে আবার ডাটা কানেকশন চালু করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করবেন।

এভাবে যদি আপনি বিভিন্ন কাজে ডাটা চালু বন্ধ করে ব্যবহার করেন অনেকাংশেই আপনার মোবাইলের ডাটা সেভ করতে পারবেন। আর যদি কোনো কারণে ডাটা কানেকশন চালু রাখতেই হয় তাহলে অন্যান্য বেশি ডাটা গ্রহনকারী অ্যাপস গুলোকে ফ্রিজ করে রেখে যেটা আপনার প্রয়োজন সেটা কে চালু রেখে ডাটা কানেকশন চালু করে রাখতে পারেন।

এই সব টিপস গুলো ফলো করার মাধ্যমে আপনি আপনার সেলুলার নেটওয়ার্ক ডাটা খরচ অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে পারবেন। মোবাইলের ডাটা খরচ কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম এবং সহজ একটি উপায় হল ডাটা কানেকশন চালু এবং বন্ধ করে ব্যবহার করা।

আশাকরি এখন আপনি মোবাইলের ডাটা খরচ কিভাবে কমাতে হয় সেটা ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। এখন থেকে যে কোন সিমের এমবি বা ডাটা এভাবেই সেভ করতে পারবেন। এর পরও যদি রকেট একাউন্টের পিন পরিবর্তন করতে না পারেন। তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে আপনাকে আবারও টিপস দেওয়ার চেষ্টা করব যে, কিভাবে আপনি ফোনের ডাটা খরচের পরিমান অনেকাংশে কমিয়ে আনতে পারেন। তাহলে হয়ত মোবাইলের ডাটা খরচ কমানোর নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারবেন।

জানতে ও জানাতে চাই।