নতুন একটি সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে সেই সন্তানের একটি আধুনিক নাম রাখা প্রত্যেকটা পিতা মাতার কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। আর যেই কারনে প্রতিটি পিতা-মাতা সবসময় চেষ্টা করে তাদের প্রিয় সন্তানের নামটি খুবই সুন্দর রাখতে।
যদি আপনার প্রিয় সন্তানের নাম ইয়াস রাখতে চান। আর যদি না জানেন যে ইয়াস নামের অর্থ কি? তাহলে আমাদের এখান থেকে খুব সহজে জানতে পারবেন। এছাড়াও আরও জানতে পারবেন ইয়াস একটি ইসলামিক নাম নাকি ইসলামিক নাম না। তাহলে চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক ইয়াশ নামের অর্থ কি? ও ইয়াস ইসলামিক নাম নাকি ইসলামিক নাম নয়।
ইয়াশ নাম কি ইসলামিক?
প্রতিটা পিতা মাতাই তার প্রিয় সন্তানের নাম একটি অর্থবহল ইসলামিক নাম রাখতে চায়। আর যে কারনে বাবা মায়েরা একটা নাম ঠিক করার পর সেই নামটা ইসলামিক নাকি ইসলামিক না এসব বিষয় গুলোতে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যদি আপনার প্রিয় সন্তানের ইসলামিক নাম রাখেন তাহলে আপনি ইয়াস নামটি রাখতে পারেন।
ইয়াশ একটি আধুনিক ইসলামিক মুসলিম ছেলেদের নাম। আর এই কারনেই ইসলামিক নাম হওয়ায় আপনার প্রিয় সন্তানের নাম চাইলে ইয়াস রাখতে পারেন। ইয়াস নামটি কিন্তু খুবই জনপ্রিয় অর্থবহল মুসলিম ছেলেদের নাম।
ইয়াশ নামের অর্থ কী?
ইয়াশ একটি আরবী শব্দ। ইসলামী পরিভাষা থেকে ইয়াস নামটি এসেছে। ইয়াস নামের অর্থ হল যে সুখে দিনাতি পাত করছে অথবা যে সুখে দিন যাপন করছে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে যে ব্যক্তি সুখে-শান্তিতে সবসময় দিনাতিপাত করে তাকে মূলত আরবি ভাষায় ইয়াস বলে ডাকা হয়। আপনারা চাইলে আপনাদের প্রিয় সন্তানের নাম ইয়াস রাখতে পারেন। এছাড়া চাইলে পরিবারের কিংবা যে কোন ছেলে সন্তানের নাম ও ইয়াস রাখা যেতে পারে।
ইয়াস নামের বিস্তারিত বিবরণ
নাম | ইয়াস |
ইংরেজি বানান | Eyaas |
আরবি বানান | ياس |
লিঙ্গ | ছেলে |
নামের দৈর্ঘ্য ইংরেজিতে | 5 বর্ণ এবং 1 শব্দ |
আধুনিক নাম | হ্যাঁ |
ছোটো নাম | হ্যাঁ |
বাংলা অর্থ | ক্ষতিপূরণ |
উৎস | আরবি |
ইয়াশ নাম কাদের?
ইয়াস নাম হল ছেলেদের জনপ্রিয় নাম। তবে মাঝে মাঝে কিছু ক্ষেত্রে মেয়েদের ও ইয়াস নাম রাখা হয়। তবে সবসময় চেষ্টা করবেন মেয়েদের নাম ইয়াস না রাখার। কারণ শুধুমাত্র ছেলেদের একটি জনপ্রিয় ইসলামিক নাম হলো ইয়াস যা ছেলেদের সাথে সামঞ্জ্যপূর্ন।আপনার প্রিয় সন্তান কিংবা আত্মীয়-স্বজন এর যেকোনো ছেলে সন্তানের নাম চাইলে ইয়াশ রাখতে পারেন।
ইয়াস খুবই জনপ্রিয় একটি ছেলেদের নাম। তবে সব সময় চেষ্টা করবেন মেয়ে সন্তানদের নাম ইয়াস না রাখার জন্য। চাইলে আপনারা মেয়েদের জন্য অন্যান্য নামগুলো রাখতে পারেন। কিন্তু এটি শুধু ছেলেদের জন্য রাখবেন। বর্তমান সময়ের খুব আধুনিক একটি ইসলামিক মুসলিম ছেলেদের নাম হলো ইয়াস।
আরো দেখুনঃ হাসান নামের অর্থ কি?
বিভিন্ন ভাষায় ইয়াস নামের বানান
বিশ্বের প্রতিটি দেশে কম বেশি মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে। আর প্রতিটি মুসলিম বাবা মায়েরা তাদের প্রিয় সন্তানের নাম ইসলামিক রাখতে ভালোবাসে। প্রতিটা দেশে আলাদা আলাদা ভাষা হওয়ায় ইয়াশ নামের বানানো বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। আমাদের বাংলাদেশের বাংলা ভাষায় যেমন “ইয়াস” নাম লেখা হয়ে থাকে।
ঠিক তেমনি অন্যান্য দেশগুলোর বিভিন্ন ভাষা হওয়ার কারণে সেই সব দেশের ভাষা অনুযায়ী বানান করা হয়ে থাকে। সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েকটি ভাষায় ইয়াস নামের বানান এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো; ইংরেজি ভাষায় ইয়াস নামের বানান হলো (Yash), আরবি ভাষায় ইয়াস নামের বানান হলো (ياش), উর্দু ভাষায় ইয়াস নামের বানান হলো (یش۔), হিন্দি ভাষা ইয়াশ নামের বানান হলো (यश)।
ইয়াস নামের জনপ্রিয় দেশ সমূহ
ইয়াস নাম বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মতো দেশ গুলোতে খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও পাকিস্তানে ও এটি খুবই জনপ্রিয় একটি ইসলামিক মুসলিম নাম। সেইসাথে সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, ওমান, ইরাক, ইরান, সিরিয়া, লিবিয়া ও তুরস্কের মধ্যে জনপ্রিয় মুসলিম দেশ গুলোতে ইয়াস নামের এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী।
যদি আপনার প্রিয় সন্তানের নাম ইয়াস রাখতে চান তাহলে রাখতে পারেন। মুসলিম ছেলেদের জন্য ইয়াস নামটি কিন্তু খুবই সুন্দর একটি নাম। এছাড়াও চাইলে আপনার পরিবার কিংবা আত্মীয় স্বজনের যে কোন ছেলে সন্তানের নাম ইয়াস রাখতে পারেন। ইয়াস খুব সুন্দর ও অর্থ বহুল ইসলামিক মুসলিম ছেলেদের জনপ্রিয় নাম।