Home Assignment বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠীর মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণের পথে অন্তরায়...

বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠীর মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণের পথে অন্তরায় গুলি চিহ্নিত করে সেগুলো দূরীকরণের গৃহীত পদক্ষেপ বর্ণনা

0
social work

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রণীত তৃতীয় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের নৈর্বাচনিক বিষয় সমাজ কর্ম দ্বিতীয় পত্র তৃতীয় এসাইনমেন্ট হিসেবে পাঠ্য বইয়ের ১ম অধ্যায় বাংলাদেশের মৌলিক মানবিক চাহিদা এর বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠীর মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণের পথে অন্তরায় গুলি চিহ্নিত করে সেগুলো দূরীকরণের গৃহীত পদক্ষেপ বর্ণনা সংক্রান্ত একটি অ্যাসাইনমেন্ট করতে দেয়া হয়েছে।

এখানে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের তৃতীয় সপ্তাহের মানবিক বিভাগের সমাজকর্ম ২য় পত্র অ্যাসাইনমেন্ট এবং সমাধান সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করা হলো। মানবিক বিভাগ থেকে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সমাজ কর্ম দ্বিতীয় পত্রের অ্যাসাইনমেন্ট যথাযথ নির্দেশনা অনুসরণ করে সম্পন্ন করার পর সংশ্লিষ্ট বিষয় শিক্ষকের নিকট জমা দিতে হবে।

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪ তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাজ কর্ম

সকল সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য সমাজকর্ম দ্বিতীয় পত্র দ্বিতীয় এসাইনমেন্ট নেয়া হয়েছে পাঠ্য বইয়ের ১ম অধ্যায় সকল সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য সমাজকর্ম দ্বিতীয় পত্র দ্বিতীয় এসাইনমেন্ট নেয়া হয়েছে পাঠ্য বইয়ের ১ম অধ্যায় বাংলাদেশের মৌলিক মানবিক চাহিদা থেকে।

নিচের ছবিতে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মানবিক বিভাগের সমাজ কর্ম দ্বিতীয় পত্র দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো

https://i.imgur.com/fpLIQJk.jpg

বিষয়ঃ সমাজকর্ম ২য় পত্র, অ্যাসাইনমেন্ট নং-০২, অধ্যায় ও শিরোনামঃ প্রথম (বাংলাদেশে মৌলিক মানবিক চাহিদা)

অ্যাসাইনমেন্টঃ বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠীর মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণের পথে অন্তরায় গুলি চিহ্নিত করে সেগুলো দূরীকরণের গৃহীত পদক্ষেপ বর্ণনা

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):

  • ক. দৃষ্টান্তসহ মৌলিক মানবিক চাহিদা ধারণা;
  • খ. মৌলিক মানবিক চাহিদার বিবরণ;
  • গ. নিম্নবিত্তদের মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণে বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিতকরণ;
  • ঘ. সমস্যা নিরূপনে গৃহীত পদক্ষেপ;

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪ তৃতীয় সপ্তাহের সমাজ কর্ম অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস রোগের মহামারী বলতে বাংলাদেশে এটির প্রাদুর্ভাব ও দ্রুত বিস্তারের চলমান ঘটনাটিকে নির্দেশ করে, যা বর্তমানে চলমান বিশ্বজুড়ে মহামারীর একটি অংশ। করোনাভাইরাস রোগ ২০২৪ (কোভিড-১৯) নামক একটি রোগ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার কারণে এই বৈশ্বিক মহামারীটির সৃষ্টি হয়েছে। গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস (সার্স-কোভ) নামক সংক্রামক ধরনের একটি জীবাণুই প্রকৃতপক্ষে, মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়ে মানবদেহে এই রোগটি সৃষ্টি করে।

(ক ) মৌলিক মানবিক চাহিদার ধারণাঃ

সমাজে বসবাস করার জন্য মানুষকে বেশ কিছু চাহিদা পূরণ করতে হয়। এসব চাহিদা পূরণের মাধ্যমে মানুষের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক বিকাশ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হয়ে থাকে। এ চাহিদাগুলাে দু’প্রকার। যথা-
১. মৌলিক চাহিদা। ২. মানবিক চাহিদা।

মৌলিক চাহিদাঃ মানুষের মৌলিক চাহিদা কে অনেক সময় জৈবিক চাহিদাও বলা হয়ে থাকে। এ চাহিদা মূলত মানুষের দেহের বৃদ্ধি ও বিকাশের সাথে সম্পর্কিত। যেমন–খাদ্য, ঘুম, যৌন চাহিদা ইত্যাদি। খাদ্য ছাড়া যেমন মানুষ বেঁচে থাকা অসম্ভব, তেমনি ঘুম ছাড়াও মানুষ দিনের পর দিন জেগে থাকতে পারে না। তাই বেঁচে থাকার জন্য মানুষের এই চাহিদাগুলাে পূরণ করা জরুরি।

মানবিক চাহিদাঃ আদিম যুগে মানুষ বনেজঙ্গলে কিংবা পাহাড়ের গুহায় বসবাস করত। লজ্জা নিবারণের জন্য তারা গাছের ছাল বাকল পাতা ও পাখির পালক ব্যবহার করত। তখন মানবিক চাহিদার গুরুত্ব ছিল না। পরবর্তীকালে মানুষ যখন সমাজবদ্ধভাবে বসবাস শুরু করে অর্থাৎ সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে সামাজিক জীবন যাপনের জন্য যে চাহিদাগুলাে পরা অপরিহার্য সেগুলােই মানবিক চাহিদা। যেমন বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, চিত্তবিনােদন, নিরাপত্তা ইত্যাদি।

মৌলিক মানবিক চাহিদাঃ মানুষের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশ এবং সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে সকল চাহিদা পূরণ করতে হয় সেগুলােই মৌলিক চাহিদা। যেমন— খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিনােদন ইত্যাদি।

পরিশেষে বলা যায় প্রত্যেক মানুষের জন্য চাহিদাগুলাে পরণ করা অবশ্যক। এতে যদি কেউ ব্যর্থ হয় তাহলে নিরক্ষরতা, পুষ্টিহীনতা ও স্বাস্থ্যহীনতার নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

(খ )মৌলিক মানবিক চাহিদা গুলাে সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে হলে মানুষকে এমন কিছু চাহিদা ও প্রয়ােজন পূরণ করতে হয় যা ব্যতীত বেঁচে থাকাও সমাজে বসবাস করা সম্ভব নয়। আর এ সকল প্রয়ােজনীয় চাহিদা হল মৌলিক মানবিক চাহিদা।

  • খাদ্যঃ মানুষের প্রথম সবচেয়ে প্রয়ােজনীয় চাহিদা হলাে খাদ্য। যেমন শিশুর জন্মের পূর্ব থেকেই খাবারের প্রয়ােজন হয় যা সে তার মায়ের গ্রহণকৃত খাবার থেকে পায়। আর জন্ম গ্রহণের পরে তার বেঁচে থাকা, বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য প্রয়ােজন খাদ্য। খাদ্যের ছয়টি উপাদান এর উপস্থিতি জরুরী প্রতিটি মানুষের জন্য। কারণ এগুলাে আমাদের শরীরের বৃদ্ধি, কর্মশক্তি ও মেধাশক্তি দানের সাহায্য করে থাকে, তাই প্রয়ােজন খাবার গ্রহণ করা।
  • বাসস্থানঃ বর্তমান আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছে বাসস্থান। আর বাসস্থান কে কেন্দ্র করে পরিবার ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এটি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মানুষকে রক্ষা একটি মাধ্যম। এই বাসস্থানের কারণেই মানুষের প্রতি মানুষের পারস্পরিক সহানুভূতি, একত্মত, গােষ্ঠীবদ্ধ জীবনযাপন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। মানুষ কর্মক্ষেত্র থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য নিজ অবস্থলে ফিরে আসে। তাই সস্ত জীবনযাপন সামাজিক নিরাপত্তাথেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য নিজ অবস্থলে ফিরে আসে। তাই সুস্থ জীবনযাপন, সামাজিক নিরাপত্তা, বিপদ কালে সহায়তা, গােপনীয়তা থেকে রক্ষা পেতে মানুষ বাসস্থান গড়ে তােলে।
  • শিক্ষাঃ মানুষত্ব অর্জন করার একমাত্র উপায় হলাে শিক্ষা। শিক্ষা ব্যতীত একজন মানুষ তার জীবন ও জগৎ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা অর্জন করতে পারে। জগৎ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা অর্জন করতে পারে । তাই শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ড বলা হয়। শিক্ষাই পারে মানুষের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে। এর মাধ্যমেই একজন মানুষ তার ব্যক্তিত্ব গঠন ও মানবিক মূল্যবােধ অর্জন এবং সামাজিক দায়িত্ব কর্তব্য পালনের সচেতন হয়ে থাকে।
  • স্বাস্থ্যঃ সাধারণত স্বাস্থ্য বলতে কেবল শারীরিক সুস্থতা কাকে বােঝানাে হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে স্বাস্থ্য বলতে শারীরিক ও মানসিক উভয় সুস্থতাকে বােঝানাে হয়ে থাকে। প্রবাদে আছে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। কেননা শরীর ও মন যদি ভালাে না থাকে তাহলে যত অর্থবৃত্তে থাকুক না কেন কোনাে কিছুতেই শান্তি আসে না। স্বাস্থ্যহীনতা মানুষকে কর্মহীন করে তােলে। তাই বলা যায় ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় উন্নয়ন সু-স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে।
  • নিরাপত্তাঃ বর্তমানে মৌলিক চাহিদা হিসেবে নিরাপত্তাকেও বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ সংবিধানে ১৫ নং অনুচ্ছেদের (ঘ) উপ অনুচ্ছেদে সামাজিক নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে। সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য নিরাপত্তার প্রয়ােজন।

পরিশেষে বলা যায় প্রকৃতপক্ষে মৌলিক মানবিক চাহিদা প্রতিটি মানুষের জীবনে অপরিহার্য। কিন্তু সমাজের সর্বস্তরের মানুষ তা সমহারে পায় না।

(গ ) বাংলাদেশের মৌলিক মানবিক চাহিদার অপূরণ জনিত সমস্যাঃ

মানুষের বেঁচে থাকার জন্য মৌলিক মানবিক চাহিদা গুলাে পূরণ করা অপরিহার্য। কিন্তু বাংলাদেশের মতাে নিম্নআয়ের দেশে দরিদ্র, অধিক সংখ্যা, নিরক্ষরতা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা প্রভৃতি কারণে অনেকেই মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণ করতে পারেনা। নিম্নে বাংলাদেশের মৌলিক মানবিক চাহিদার অপূরণ জনিত সমস্যাগুলো তুলে ধরা হলোঃ

  • নিরক্ষরতা ও অজ্ঞতাঃ অক্ষরজ্ঞানহীন লােকদের নিরক্ষর বলা হয়। অজ্ঞতা হলাে জ্ঞানের অভাব। শিক্ষা অর্জন করতে না পারলে মানুষ নিরক্ষর হয় আর নিরক্ষরতা জ্ঞানের বিকাশের বাধা দেয়। এ দেশে প্রায় ৩৭.৭০% লােক এখনও নিরক্ষর। কারণে দেশে প্রায় ৩১.৫% লােক এই দরিদ্র সীমার নিচে বাস করে। খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের চাহিদা মেটাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। এক্ষেত্রে শিক্ষা অর্জন তাদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ে। নিরক্ষরতার কারণে তাদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ে। নিরক্ষরতার কারণে নানান সমস্যার জন্ম নেয় যেমন- অধিক জনসংখ্যা, দরিদ্র, বেকারত্ব, পুষ্টিহীনতায় ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য।
  • স্বাস্থ্য হীনতাঃ মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণ না হওয়ার কারণে স্বাস্থ্যহীনতা দেখা দেয়। ভালাে স্বাস্থ্যের জন্য প্রথমত প্রয়ােজন খাবার। কিন্তু আমাদের দেশে অনেক লােক ঠিকমতাে খাবার পায় না। আর পুষ্টিকর খাবার সংস্থান দরিদ্র লােকের জন্য অসম্ভব প্রায়।
  • বস্তি সমস্যাঃ ১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এদেশে ও ভাসমান লােকের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৫ হাজারের ওপরে। দ্রুত শিল্পায়ন ও নগরায়ন, নদী ভাঙ্গন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে গৃহহারা হয় এ শহরে এসে ঠাঁই নেয়, যা স্তির সৃষ্টির অন্যতম কারণ। এ দেশে প্রতিবছর ৪ লক্ষ লােকের গৃহের প্রয়ােজন হয়। কিন্তু সে অনুপাতে বাসস্থান বাড়ছে না। কাজেই দিনদিন গৃহ সমস্যা একটি প্রকট আকার ধারণ করছে।
  • অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধিঃ এদেশের যত রকমের অপরাধ সংঘটিত হয় তার বেশিরভাগ অভাব থেকেই হয়ে থাকে। অবৈধভাবে একজন লােক তার মৌলিক মানবিক চাহিদা গুলাে পূরণ করতে পারে না তখন সে অবৈধ পন্থা বেছে নেয়। যেমন– হত্যা, লুণ্ঠন, ছিনতাই, চাদাবাজি, অপহরণ, পাচার ইত্যাদি উৎপত্তি হয়।

পরিশেষে বলা যায় বাংলাদেশের মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণ করা অপরিহার্য। যা সমাজ ও জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনে। এবং সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠতে সাহায্য করে।

(ঘ ) বাংলাদেশে মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণে গৃহীত পদক্ষেপ গুলাে হলােঃ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ১৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হবে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদন শক্তির ক্রমবৃদ্ধি সাধন এবং জনগণের জীবনযাত্রা বস্তুগত ও সংস্কৃতিগত মানের দৃঢ় উন্নতি সাধন। যাতে নাগরিকরা নিম্নলিখিত বিষয় সমূহ, যেমন- অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিশ্রাম, বিনােদন ও অবকাশের অধিকার পায়। মূলত এ কাজ মৌলিক মানবিক অধিকার; যা পূরণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

  • খাদ্যঃ বাংলাদেশ সরকার খাদ্য ঘাটতি কমানাের জন্য খাদ্য উৎপাদনে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সেচ সুবিধা, কৃষি ঋণ প্রদান, উন্নত ও অধিক ফলনশীল বীজ সরবরাহ, উপকূলের পতিত জমি উদ্ধারসহ বহুমখী কৃষি পরিকল্পনা অন্যতম।
  • বস্ত্রঃ সকল মানুষের বস্ত্র সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সরকার ১৯৯৩ সালে প্রথম বস্ত্ৰনীতি ঘােষণা করে। এছাড়া পঞ্চম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী (১৯৯৭-২০০২) ২০০৫ সালের মাথাপিছু ১৭ মিটার বস্ত্র প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যার ফলে প্রতিবছর সরকারিভাবে কাপড় উৎপাদন বাড়ছে। উৎপাদন প্রতিবছর বৃদ্ধি পেলেও সরকারিভাবে প্রতিবছর কাপড় আমদানি করতে হয়।
  • শিক্ষাঃ শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক মানবিক অধিকার। বাংলাদেশের সংবিধানে ও সকল নাগরিকের শিক্ষা সুনিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এজন্য সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেছে। বর্তমানে প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিনামূল্যে সরকার বই বিতরণ করছে। মেয়েদের শিক্ষা ক্ষেত্রে আগ্রহী করে তােলার জন্য উপবৃত্তি চালু করা হয়েছে। বাড়ানাে হয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক খাতে বৃত্তির সংখ্যা। মেয়েদের শিক্ষা ক্ষেত্রে আগ্রহী করে তােলার জন্য উপবৃত্তি চালু করা হয়েছে।
  • স্বাস্থ্যঃ সকল নাগরিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের সাংবিধানিক দায় বদ্ধতা রয়েছে। যার কারণে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টিখাতকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইতিমধ্যে জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকার প্রত্যেক নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসাসেবা আধুনিকায়ন ও প্রসারের লক্ষে বিগত এক দশক ধরে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানাের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে মােবাইল ফোনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা চালু করা হয়েছে। দেশে প্রায় ৮০০ টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও প্রায় ৮০০ টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযােগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি, ভিটামিন এ ক্যাপসুল সপ্তাহ প্রভৃতি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মােবাইল ফোন এসএমএস এর মাধ্যমে প্রচারণা চালানাে হচ্ছে।

পরিশেষে বলা যায় মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণে বাংলাদেশের সরকার এদেশের মানুষের প্রতি সুদূরপ্রসারী কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার মধ্য দিয়ে এদেশের উন্নয়ন ও সুষ্ঠুতা বজায় রাখে।

আরও দেখুনঃ