labour

তোমাদের জন্য ৫ম সপ্তাহের সপ্তবর্ণা পাঠ্যবইয়ের অ্যাসাইনমেন্ট শতভাগ মূল্যায়নের জন্য অনুসরণ করে অ্যাসাইনমেন্ট লেখার গাইডলাইন অনুযায়ী একটি নমুনা উত্তর দেওয়া হল। এটা অনুসরণ করে ৭ম শ্রেণীর ৫ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট এর উত্তর লিখলে তোমাদের শতভাগ নম্বর পাওয়ার নিশ্চয়তা রয়েছে।

৭ম শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ বাংলা (সপ্তবর্ণা)

২০২৪ শিক্ষাবর্ষে এটি ৭ম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের ২য় এ্যাসাইনমেন্ট এর আগে প্রথম সপ্তাহে ৭ম শ্রেণি বাংলা বিষয়ের ১ম এ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছিল। ৫ম সপ্তাহের বাংলা সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচী হিসেবে কাজী নজরুল ইসলাম এর কুলি-মুজুর পদ্য বা কবিতা থেকে নির্বাচন করে এ্যাসাইনমেন্ট প্রস্তুত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা কুলি মুজুর কবিতাটি অধ্যয়ন করে বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষের বিষয়ে জানতে পারবে এবং সমাজে তাদের অবদান বুঝতে পারবে।

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রম: এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-২, অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরােনাম: পদ্য বা কবিতা, পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তু পাঠ নম্বর- কুলি মুজুর, কবি: কাজী নজরুল ইসলাম

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ:

 একটি কর্মপত্র তৈরি করণ: নিচের ছকটি তুলে পূরণ কর

ক্রম শ্রমজীবীর নাম সমাজে তাদের অবদান তাদের কিভাবে মূল্যায়ন করবো
০১ কুলি
০২ রাজমিস্ত্রি
০৩ কামার
০৪ মুচি

নির্দেশনা: পাঠ্য বইয়ের কুলি মজুর কবিতা থেকে সহায়তা নিয়ে এবং উৎসের সহায়তা নিয়ে প্রয়ােজনে একাধিক উৎসের সহায়তা নিয়ে উত্তর লিখবে। অবদান ৪-৫ বাক্যে এবং মূল্যায়ন অনধিক ১০ বাক্যে লিখতে হবে।

৭ম শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ বাংলা উত্তর

২০২৪ সালের সপ্তম শ্রেণি পঞ্চম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট একটি বাছাই করার নমুনা উত্তর তোমাদেরকে অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনা অনুসরণ করে দেওয়া হল। এখানে উল্লেখিত সমাজের ৪ শ্রেণীর শ্রমজীবী মানুষ যেমন- কুলি, রাজমিস্ত্রি, কামার, মুচি উনাদের সমাজে অবদান এবং যেভাবে তাদের মূল্যায়ন করা যায় সে বিষয়ে একটি কর্মপত্র দেওয়া হল।

এটি অনুসরণ করার মাধ্যমে তোমরা সাবধান শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের পঞ্চম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট এর উত্তর সুন্দর ভাবে লিখতে পারবে এবং অতি উত্তম হিসেবে চিহ্নিত হতে পারো।

সমাজের বিভিন্ন শ্রমজীবি মানুষের অবদান এবং তাদের মূল্যায়ন করার কৌশল

ভূমিকাঃ আমাদের সমাজে অনেক শ্রমজীবী মানুষ রয়েছে সামাজিক যারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। উনাদের কাজের জন্য আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খুব সহজে সমাধান করা সম্ভব হয়। সমাজে কুলি, রাজমিস্ত্রি, কামার, ও মুচি এই চারজনের শ্রমজীবী মানুষের গুরত্ব বলে শেষ করা যাবেনা। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চার শ্রেণীর মানুষের অবদান অনেক। প্রতিটি স্টেপে তাদের কার্যক্রম আমাদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। কিন্তু আমরা এই চার শ্রেণীর মানুষকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারিনা। আমাদের উচিত তাদের কর্মকাণ্ড করলো কে এবং তাদেরকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা।

সমাজে কুলি, রাজমিস্ত্রি, কামার, ও মুচি এই চারজনের শ্রমজীবী মানুষের অবদান ও মূল্যায়ন করার কিছু পদ্ধতি

আমরা দেখতে পাই প্রত্যাহিক জীবনে এসাইনমেন্ট উল্লেখিত ৪ শ্রেণীর মানুষ  কুলি, কামার, রাজমিস্ত্রি ও মুচি মানুষদের অনেক অবদান রয়েছে। শ্রমজীবী মানুষ ভালো না থাকলে আমাদের দৈনন্দিন জীবন আরো অনেক বেশি কঠিন হয়ে উঠত। এ সকল মানুষের অবদান ও আমরা যেভাবে তাদের মূল্যায়ন করতে পারি সে বিষয়ে কিছু আলোচনা উল্লেখ করা হলো।

সমাজে ‘কুলি’ শ্রমজীবী মানুষদের অবদান ও মূল্যায়ন

কুলিঃ ভাড়াটে শ্রমিক অথবা বোঝা বহনকারী অর্থে শব্দটি ব্যবহূত হয়। উনিশ শতক ও বিশ শতকের প্রথমদিকে

মাদাগাস্কার, মরিশাস, ফিজি, পশ্চিম ভারতীয় দেশসমূহ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহে চাষাবাদের জন্য ভারত ও চীন থেকে শ্রমিকদের চুক্তিপত্র সম্পাদনের মাধ্যমে নেওয়া হতো। এ শ্রমিকদেরকে সাধারণভাবে কুলি আখ্যা দেওয়া হয়।

যুগ যুগ ধরে কুলি-মজুরের মতো লাখোকোটি শ্রমজীবী মানুষের হাতে গড়ে উঠেছে মানব সভ্যতা। এই শ্রমজীবি মানুষের প্রতি সবার আচরণ পরিশীলিত হওয়ার কথা কবি বলেছেন।

সমাজে কুলিদের অবদান: 

আমাদের সমাজে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী কুলিদের অনেক বেশি ভূমিকা রয়েছে। নিম্নে কুলিদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবদান আলোচনা করা হলো-

১. যাত্রীদের মালামাল পরিবহন করা করি দেশের অন্যতম কাজ। কুলিরা অত্যন্ত কম টাকায় রেলওয়ে স্টেশন বাস স্টেশন সহ বিভিন্ন জায়গায় যাত্রীদের ভারী মালামাল এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যায়।

২. মানুষের কষ্ট লাগবঃ ভারী বোঝা পরিবহন বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে গিয়ে আমাদের কষ্ট লাঘব করে কুলিরা।

৩. আমাদের নিয়মিত পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করে তোলে এই পেশাজীবী মানুষরা।

৪. কুলিরা মালামাল পরিবহনের মাধ্যমে যাত্রীদের সময় এবং কষ্ট অনেক কমিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে খুবই উপকার করে থাকে।

labour

কুলি শ্রমজীবী মানুষদের মূল্যায়নঃ

যেহেতু কুলি পেশার শ্রমজীবী মানুষ ওরা আমাদের অনেক উপকার করে থাকে সুতরাং আমাদের উচিত কুলি শ্রমজীবী মানুষদের যথাযথ মূল্যায়ন করা। যে সকল উপায়ে কুলি মজুর এর যথাযথ মূল্যায়ন করা যেতে পারে তার কয়েকটি নিম্নে আলোচনা করা হল।

১. ন্যায্য পাওনা দেওয়ার মাধ্যমেঃ আমরা অনেক সময় কুলিদের ন্যায্য পাওনা দিতে অনীহা প্রকাশ করি। আমাদের উচিত কলি পেশায় যারা কাজ করছেন তাদের সঠিক এবং ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা।

২. সম্মান দেখানোঃ এ পেশায় যারা কাজ করেন তাদেরকে আমরা সাধারণত অন্য চোখে দেখি। তাদেরকে সম্মান দেখাতে চাইনা। আমাদের উচিত কুলি পেশায় যারা কাজ করছেন তাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা এবং তাদের সাথে ভালো আচরণ করা।

৩. অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেওয়াঃ আমরা অনেক সময় এ ধরনের শ্রমজীবী মানুষদের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বেশি কাজ আদায় করে নিতে চাই যা কোনোভাবেই উচিত নয়। আমরা পরিমিত কাজ প্রদানের মাধ্যমে তাদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে পারি।

৫. প্রণোদনা দেওয়াঃ আমরা মাঝেমধ্যে কুলি শ্রমজীবী মানুষদের কাজের বিনিময় কিছু বাড়তি প্রণোদনা দিতে পারি। তাহলে তারা কাজে উৎসাহ পাবে এবং নিজেকে ছোট মনে করবে না।

৬. উৎসাহ প্রদান করাঃ এই পেশায় কর্মরত পেশাজীবীদের যথাযথ উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি এবং কাজের মূল্যায়ন করা যেতে পারে।

৭. ভালো ব্যবহার করাঃ কুলি মজুর এর সাথে আমাদের ভালো ব্যবহার করা উচিত। এর মাধ্যমে আমরা তাদের কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করা করতে পারি।

৮. পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদানঃ কুলি মজুর পেশায় কর্মরত শ্রমজীবীদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সমাজে তাদের অবদানের মূল্যায়ন করা যেতে পারে।

৯. বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণঃ বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণঃ কুলি মজুর পেশায় কর্মরত শ্রমজীবী মানুষদের আত্মউন্নয়নের জন্য বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে। বিভিন্ন সামাজিক তহবিল সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে তাদের আত্মউন্নয়ন করে তাদের অবদান মূল্যায়ন করা যায়।

১০. নাগরিক সুবিধার সমতাঃ দেশের যত রকম নাগরিক সুবিধা রয়েছে তার সবগুলোই একজন কুলি মজুর পেশায় কর্মরত শ্রমজীবী মানুষের দেওয়া উচিত। কোনভাবেই তাদের কাজের জন্য তাদেরকে ছোট ভাবে দেখা যাবে না এবং তাদেরকে সকলের মত সমান অধিকার দিতে হবে।

সমাজে ‘রাজমিস্ত্রি’ শ্রমজীবী মানুষদের অবদান ও মূল্যায়ন

রাজমিস্ত্রিঃ যে সব শ্রমিক ভবন, সড়কপথ, রেল, বিমানবন্দর, স্টেডিয়াম সহ বড় বড় স্থাপনা নির্মান, বিদ্যুত-পানি-গ্যাস-টেলিফোন লাইন স্থাপন ও মেরামত, জলাশয়, বাঁধ, জলাধার ও সুড়ঙ্গসহ যে কোন প্রকার উন্নয়ন প্রকল্পে যে কোন রকম স্থাপনা নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এমনকী ভাঙার কাজ করছেন তাঁরাই নির্মাণ কর্মী বা রাজমিস্ত্রি। একজন রাজমিস্ত্রির অধীনে কয়েকজন শ্রমিক কাজ করে থাকে।

Construction worker

সমাজে রাজমিস্ত্রি অবদান:

১. সভ্যতার বিনির্মাণঃ একজন রাজ মিস্ত্রি এবং রাজ শ্রমিক সভ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। বড় বড় শহরের বড় বড় অট্টালিকা তৈরি

পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে একজন রাজমিস্ত্রির। বলা যায় সভ্যতার বিনির্মাণ শুরু হয় রাজমিস্ত্রির হাত ধরে।

২. রাস্তা-ঘাট নির্মাণঃ আমাদের চলাচলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট নির্মাণ করে রাস্তাঘাট নির্মাণ করে রাজমিস্ত্রিরা। তারা সঠিকভাবে কাজ করে রাস্তাঘাট নির্মাণ করে বলেই আমরা অনায়াসে একস্থান থেকে অন্যস্থানে খুব দ্রুত যেতে পারি।

৩. অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভূমিকাঃ একটি দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে রাজমিস্ত্রি শ্রমজীবী মানুষদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে যে কোন ধরনের স্থাপনা যেমন বিমান বন্দর, সমুদ্র বন্দর, স্টেডিয়াম, ভাস্কর্য, সেতু, উড়াল সড়ক, রাস্তা, বাঁধ, কৃত্রিম জলাধার, পানি-গ্যাস-তেল সঞ্চালন লাইন, পয়োনিষ্কাশন লাইন সহ নগরায়নের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে একজন নির্মাণ শ্রমিকের কাজ।

৪. জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করাঃ একজন রাজমিস্ত্রি রাজমিস্ত্রি শ্রমিক যখন উঁচু উঁচু ভবন নির্মাণের কাজ করেন তখন তাদের জীবনের অনেক ঝুঁকি থাকে। ১০/১৫ তলা ভবনের কাজে যখন একজন নির্মাণ শ্রমিক রাজমিস্ত্রি বিভিন্ন জিনিসপত্র ওঠানামার করেন তখন যে কোন মুহূর্তে তাদের মৃত্যু হতে পারে।

রাজমিস্ত্রি শ্রমজীবী মানুষদের মূল্যায়নঃ

নিজেদের জীবনের মা রান্না করে যারা পৃথিবীর সভ্যতা নির্মাণের কাজ করে যাচ্ছে সে সকল রাজমিস্ত্রিদের সঠিক মূল্যায়ন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। যেভাবে তাদের মূল্যায়ন করতে পারে তার কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।

১. কাজের সঠিক পারিশ্রমিক দেওয়াঃ রাজমিস্ত্রি পেশায় কাজ করা শ্রমজীবী মানুষদের কাজের পর্যাপ্ত পারিশ্রমিক দিয়ে তাদের কাজের মূল্যায়ন করা যেতে পারে।

২. প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করাঃ রাজমিস্ত্রি কাজ অর্থাৎ নির্মাণকাজ যেহেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সেহেতু রাজমিস্ত্রি কাজ করা লোকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের কর্ম দক্ষতা উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

৩. অতিরিক্ত কাজের সম্মানী প্রদানঃ যখন আমরা রাজমিস্ত্রির শ্রমজীবী মানুষদের দিয়ে অতিরিক্ত কোন কাজ করায় সাথে সাথে তাদের সেই কাজের অতিরিক্ত সম্মানী প্রদান করতে হবে।

৪. ঝুঁকিভাতা প্রদানঃ রাজমিস্ত্রি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করে থাকে। তাই তাদের কাজের যুগে অনুযায়ী তাদেরকে প্রয়োজনীয় ঝুঁকি ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫. নিরাপত্তা প্রদানঃ রাজ কাজে জড়িত মিস্ত্রিদের জীবনের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বিধানের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. পারিবারিক নিশ্চয়তাঃ কোন রাজমিস্ত্রি বা নির্মাণ শ্রমিক কাজ করতে গিয়ে যদি মারা যায় তাহলে তাদের পরিবারের ভরণ পোষণের জন্য রাষ্ট্রীয় বা সামাজিকভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।

৭. সামাজিক অধিকারের নিশ্চয়তাঃ নির্মাণ কাজে জড়িত কোন রাজমিস্ত্রি বা নির্মাণ শ্রমিককে কোনোভাবেই সামাজিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। সকল সামাজিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তাদের কাজের মূল্যায়ন করতে হবে।

৮. পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম প্রদানঃ একজন নির্মাণশ্রমিকের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সামগ্রী প্রদান করে তাদের কাজকে আরও সহজ ও গতিশীল করা যেতে পারে।

৯. অতিরিক্ত চাপ থেকে বিরত রাখাঃ একজন নির্মাণশ্রমিক যেহেতু অনেক বেশি কায়িক পরিশ্রম করেন তাদেরকে অবশ্যই অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া উচিত। তাদের কাজকে সহজ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

সমাজে ‘কামার’ শ্রমজীবী মানুষদের অবদান ও মূল্যায়ন

কামারঃ কামার একটি প্রাচীন পেশার নাম যার কাজ লোহার জিনিসপত্র তৈরি করা। মূলত হিন্দু ধর্মের জনগোষ্ঠী এই পেশায় জড়িত। একসময় গৃহস্থালি ও কৃষিকাজে ব্যবহৃত অধিকাংশ লৌহযাত যন্ত্রপাতি কামাররা প্রস্তুত করতেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল দা, বটি, পেরেক, শাবল, কুড়াল, ছুরি ইত্যাদি।

কামারের কর্মস্থলকে বলে কামারশালা। কামারশালায় হাপর দিয়ে কয়লার আগুন-কে উস্কে রাখা হয়। এই আগুনে লোহা গরম করে তাকে পিটিয়ে বিভিন্ন আকারের জিনিস তৈরি হয়।

সমাজে কামারদের অবদান:

১. বাংলার ঐতিহ্যের ধারকঃ কামার পেশায় কর্মরত শ্রমজীবী মানুষ সারা বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত বিভিন্ন জিনিস বানিয়ে বাংলার ঐতিহ্য ধারণ করার কাজ করে যাচ্ছেন।

২. দৈনন্দিন যন্ত্রপাতি প্রস্তুতঃ কামার পেশায় কর্মরত ব্যক্তিরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেমন দা, কাঁচি, বঁটি, কুড়াল ইত্যাদি বানিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন।

৩. স্বল্পমূল্যে যন্ত্রপাতি সরবরাহঃ কামার রা কায়িক শ্রমের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি অল্প মূল্যে আমাদের নিকট সরবরাহ করে থাকে।

কামার পেশাজীবীদের অবদান মূল্যায়ন:

যেহেতু কামার পেশার শ্রমজীবী মানুষ ওরা আমাদের অনেক উপকার করে থাকে সুতরাং আমাদের উচিত কামার শ্রমজীবী মানুষদের যথাযথ মূল্যায়ন করা। যে সকল উপায়ে কামার এর যথাযথ মূল্যায়ন করা যেতে পারে তার কয়েকটি নিম্নে আলোচনা করা হল।

১. ন্যায্য পাওনা দেওয়ার মাধ্যমেঃ আমরা অনেক সময় কামার ন্যায্য পাওনা দিতে অনীহা প্রকাশ করি। আমাদের উচিত কামার পেশায় যারা কাজ করছেন তাদের সঠিক এবং ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা।

২. সম্মান দেখানোঃ এ পেশায় যারা কাজ করেন তাদেরকে আমরা সাধারণত অন্য চোখে দেখি। তাদেরকে সম্মান দেখাতে চাইনা। আমাদের উচিত কামার পেশায় যারা কাজ করছেন তাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা এবং তাদের সাথে ভালো আচরণ করা।

৩. অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেওয়াঃ আমরা অনেক সময় এ ধরনের শ্রমজীবী মানুষদের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বেশি কাজ আদায় করে নিতে চাই যা কোনোভাবেই উচিত নয়। আমরা পরিমিত কাজ প্রদানের মাধ্যমে তাদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে পারি।

৫. প্রণোদনা দেওয়াঃ আমরা মাঝেমধ্যে কামার শ্রমজীবী মানুষদের কাজের বিনিময় কিছু বাড়তি প্রণোদনা দিতে পারি। তাহলে তারা কাজে উৎসাহ পাবে এবং নিজেকে ছোট মনে করবে না।

৬. উৎসাহ প্রদান করাঃ এই পেশায় কর্মরত পেশাজীবীদের যথাযথ উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি এবং কাজের মূল্যায়ন করা যেতে পারে।

৭. ভালো ব্যবহার করাঃ কামার এর সাথে আমাদের ভালো ব্যবহার করা উচিত। এর মাধ্যমে আমরা তাদের কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করা করতে পারি।

৮. পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদানঃ কামার পেশায় কর্মরত শ্রমজীবীদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সমাজে তাদের অবদানের মূল্যায়ন করা যেতে পারে।

৯. বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণঃ কামার পেশায় কর্মরত শ্রমজীবী মানুষদের আত্মউন্নয়নের জন্য বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে। বিভিন্ন সামাজিক তহবিল সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে তাদের আত্মউন্নয়ন করে তাদের অবদান মূল্যায়ন করা যায়।

১০. নাগরিক সুবিধার সমতাঃ দেশের যত রকম নাগরিক সুবিধা রয়েছে তার সবগুলোই একজন কামার পেশায় কর্মরত শ্রমজীবী মানুষের দেওয়া উচিত। কোনভাবেই তাদের কাজের জন্য তাদেরকে ছোট ভাবে দেখা যাবে না এবং তাদেরকে সকলের মত সমান অধিকার দিতে হবে।

সমাজে ‘মুচি’ শ্রমজীবী মানুষদের অবদান ও মূল্যায়ন

মুচিঃ জুতা তৈরি এবং জুতা মেরামতের কাজ করেন। ত্রুটিযুক্ত বা পুরানো জুতা-সেন্ডেল মেরামত করে রং মাখিয়ে চাকচিক্য সৃষ্টি করাও এদের কাজ। মুচি ও চামার প্রকৃত অর্থে পৃথক দুটি সস্প্রদায় হলেও তারা একে অপরের ঘনিষ্ঠ। চামার সস্প্রদায় পশুচামড়া সংগ্রহ করেন।

এরা গ্রামের বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে এমনকি ঈদুল আযহার সময় মুসলিম পরিবারসমূহ থেকেও পশুচামড়া সংগ্রহ করেন।

সমাজে মুচি অবদান:

মুচি হিসেবে কাজ করা শ্রমজীবী মানুষ রা আমাদের জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিম্নে তা আলোচনা করা হল।

১. পুরাতন জুতা মেরামত করার মাধ্যমে মুচি সম্প্রদায়ের মানুষেরা আমাদের অর্থ সাশ্রয় করে থাকে।

২. অল্প টাকায় কাজ করে তারা আমাদের জুতা চামড়াজাত পণ্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার কাজ করে থাকে।

৩. চামড়া এবং চামড়া দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাকচিক্য ধরে রাখার জন্য তাদের অবদান অনস্বীকার্য।

৪. ওদের কাজের মাধ্যমে আমাদের সৌন্দর্য এবং সভ্য হতে সাহায্য করে।

মুচি পেশাজীবীদের অবদান মূল্যায়ন:

যেহেতু মুচি পেশার শ্রমজীবী মানুষ ওরা আমাদের অনেক উপকার করে থাকে সুতরাং আমাদের উচিত কামার শ্রমজীবী মানুষদের যথাযথ মূল্যায়ন করা। যে সকল উপায়ে কামার এর যথাযথ মূল্যায়ন করা যেতে পারে তার কয়েকটি নিম্নে আলোচনা করা হল।

১. ন্যায্য পাওনা দেওয়ার মাধ্যমেঃ আমরা অনেক সময় কামার ন্যায্য পাওনা দিতে অনীহা প্রকাশ করি। আমাদের উচিত মুচি পেশায় যারা কাজ করছেন তাদের সঠিক এবং ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা।

২. সম্মান দেখানোঃ এ পেশায় যারা কাজ করেন তাদেরকে আমরা সাধারণত অন্য চোখে দেখি। তাদেরকে সম্মান দেখাতে চাইনা। আমাদের উচিত মুচি পেশায় যারা কাজ করছেন তাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা এবং তাদের সাথে ভালো আচরণ করা।

৩. অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেওয়াঃ আমরা অনেক সময় এ ধরনের শ্রমজীবী মানুষদের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বেশি কাজ আদায় করে নিতে চাই যা কোনোভাবেই উচিত নয়। আমরা পরিমিত কাজ প্রদানের মাধ্যমে তাদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে পারি।

৫. প্রণোদনা দেওয়াঃ আমরা মাঝেমধ্যে মুচি শ্রমজীবী মানুষদের কাজের বিনিময় কিছু বাড়তি প্রণোদনা দিতে পারি। তাহলে তারা কাজে উৎসাহ পাবে এবং নিজেকে ছোট মনে করবে না।

৬. উৎসাহ প্রদান করাঃ এই পেশায় কর্মরত পেশাজীবীদের যথাযথ উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি এবং কাজের মূল্যায়ন করা যেতে পারে।

৭. ভালো ব্যবহার করাঃ মুচি এর সাথে আমাদের ভালো ব্যবহার করা উচিত। এর মাধ্যমে আমরা তাদের কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করা করতে পারি।

৮. পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদানঃ মুচি পেশায় কর্মরত শ্রমজীবীদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সমাজে তাদের অবদানের মূল্যায়ন করা যেতে পারে।

৯. বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণঃ মুচি পেশায় কর্মরত শ্রমজীবী মানুষদের আত্মউন্নয়নের জন্য বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে। বিভিন্ন সামাজিক তহবিল সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে তাদের আত্মউন্নয়ন করে তাদের অবদান মূল্যায়ন করা যায়।

১০. নাগরিক সুবিধার সমতাঃ দেশের যত রকম নাগরিক সুবিধা রয়েছে তার সবগুলোই একজন মুচি পেশায় কর্মরত শ্রমজীবী মানুষের দেওয়া উচিত। কোনভাবেই তাদের কাজের জন্য তাদেরকে ছোট ভাবে দেখা যাবে না এবং তাদেরকে সকলের মত সমান অধিকার দিতে হবে।

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.