বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৫-১৯ প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা নিম্নোক্ত শর্তাবলী মেনে আবেদন করতে পারবেন।
বাংলাদেশের একমাত্র টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় যা দাঁড়িয়ে আছে শহরের তেজগাও শিল্প এলাকায় ১১.৬৭ একর যায়গা নিয়ে। বুটেক্স ক্যাম্পাস ছোট হলেও এখানে পড়া শিক্ষার্থীদের চাকুরি বাজার ভালোই চড়া। ভালো না হবেই বা কেন? এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রতি বছর যেখানে ৫২০ জনের মত স্টুডেন্ট ভর্তি করায় সেখানে আজ বাংলাদেশে প্রায় ৪০০০ ছোট বড় টেক্সটাইল রিলেটেড ন্যাশনাল,মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি আছে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) আবাসিক সংকট অনেক বেশি। কারন হল ছেলেদের জন্য তিনটা আর মেয়েদের জন্য একটা।
নিচে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স)[ Textile Admission Circular 2025-19] এর ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
বুটেক্স অধিভুক্ত সরকারী টেক্সটাইল কলেজে ভর্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৫-১৯ [BUTEX Admission Circular 2025-19]
গুরুত্ত্বপূর্ন তারিখ ও সময়ঃ
আবেদন শুরু- ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টা থেকে
আবেদন শেষ- ১৫ অক্টোবর রাত ১২ টা পর্যন্ত
ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ- ৯ নভেম্বর (শুক্রবার) ২০২৫ সকাল ০৯ঃ৩০ থেকে ১১ঃ৩০ পর্যন্ত
রেজাল্ট প্রকাশের তারিখ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫
ভর্তি বিষয়ক তথ্যের লিংক : https://www.butex.edu.bd
ইউনিট ও আসন সংখ্যাঃ
ইউনিট | বিভাগ | আসন সংখ্যা |
ক ইউনিট |
(১) ইয়ার্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং | ৮০ |
(২) ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং | ৮০ | |
(৩) ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং | ৮০ | |
(৪)ডাইস এন্ড কেমিক্যালস ইঞ্জিনিয়ারিং | ৪০ | |
ক ইউনিটের আসন সংখ্যা | ২৮০ | |
খ ইউনিট |
(১) এ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং | ৮০ |
(২) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট | ৮০ | |
(৩) টেক্সটাইল ফ্যাশন এন্ড ডিজাইন | ৪০ | |
(৪) ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং | ৪০ | |
(৫) টেক্সটাইল মেশিনারী ডিজাইন এন্ড মেইনটেনেন্স | ৪০ | |
খ ইউনিটের আসন সংখ্যা | ২৮০ |
ফরমের মূল্যঃ
ভর্তি ফি ৩০০ টাকা(প্রথমে নির্ধারিত পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে সবাই ৩০০ টাকা দিয়ে ফর্ম তুলতে পারবে)। তারপর ভর্তি কমিটির বাছাইকৃত ১০০০০ জন(ফলাফলের ভিত্তিতে) যারা নির্বাচিত হবেন তাদের পুনরায় ১২০০ টাকা দিয়ে আবেদন চূড়ান্ত করতে হবে
ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের নূন্যতম যোগ্যতাঃ
- আবেদনকারীকে বাংলাদেশের যে কোন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ৫.০০ এর স্কেলে কমপক্ষে জিপিএ ৪.৫০ পেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট/দাখিল/সমমানের পরীক্ষায় পাশ অথবা বিদেশী শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড পেয়ে পাশ হতে হবে।
- ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড হতে বিজ্ঞান বিভাগে এইচ. এস. সি কিংবা উহার সমমানের পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতিতে ৫.০০ এর স্কেলে কমপক্ষে জিপিএ ৪.৫০ সহ গনিত, পদার্থ, রসায়ন ও ইংরেজী বিষয়ে আলাদা ভাবে নূন্যতম জিপি ৪.০০ সহ সর্বমোট কমপক্ষে ১৮.০০ গ্রেড পয়েন্ট পেতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন ও সময়ঃ
- পদার্থবিজ্ঞান – ৬০
- রসায়ন – ৬০
- গণিত -৬০
- ইংরেজী -২০
- মোট নম্বর -২০০
- পরীক্ষার সময় ২ ঘন্টা
- ভর্তি পরীক্ষা হবে ২০০ নাম্বারের। প্রশ্ন থাকবে ১০০ টি।প্রতি প্রশ্নে ২ করে ২০০ নাম্বার
- ১০০ টি প্রশ্নে কোনো অপশন থাকবে না। অর্থাৎ প্রশ্নের ব্যাখ্যা ও অংক খাতায় করে দিতে হবে
প্রার্থী নির্বাচনঃ
- ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের সাথে এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ৮ গুণ এবং এইচ.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১২ গুণযোগ করে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
- লিখিত পরীক্ষায় ৪০% এর নীচে নম্বর প্রাপ্তদের (সব ধরনের কোটাসহ সকলের জন্য প্রযোজ্য) মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে না। তবে ‘ক’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ১৫০০ জন ও ‘খ’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ১৫০০ জনের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভর্তি কমিটি বাস্তব প্রয়োজনে নির্ধারিত ৪০% নম্বর পরিবর্তন করতে পারবে।
কোটায় ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য:
- মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ‘ক’ ইউনিটে ৪ বিভাগে ৪টি ও
- ‘খ’ ইউনিটে ৫ বিভাগে ৫টি এবং
- উপজাতীয় কোটায় ‘ক’ ইউনিটে ১ টি ও
- ‘খ’ ইউনিটে ১টি আসন সংরক্ষিত থাকবে।
- সংরক্ষিত আসনের জন্য এস.এম.এস এর মাধ্যমে আবেদন করার সময় নিজ নিজ কোটার অপশন উল্লেখ করতে হবে।