অনুমোদন নেই এমন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাম্পাস অথবা অননুমোদিত কোর্স বা প্রোগ্রামে কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হলে তার দায় নেবে না বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) এবিষয়ে সতর্কতা জারি করে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে এমন ২০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছে ইউজিসি।
তালিকায় থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে ইবাইস, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, ,সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ও সাউদার্ণ ইউনিভার্সিটি, কেরানীগঞ্জের রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ রূপায়ণ একেএম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়, জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস, রাজশাহীর আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীর শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশালের ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি, কুইন্স ইউনিভার্সিটি, গণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়।
উচ্চ শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেন কেউ প্রতারণা করতে না পারে সে লক্ষ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ অবস্থান তুলে ধরে ইউজিসি। সেই কাজের অংশ হিসেবে সাম্প্রতিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জিত ডিগ্রীর সার্টিফিকেটে মূল স্বাক্ষরকারী হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ৯৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২০টিতে উপাচার্য নেই। ইউজিসির ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য রয়েছে বলে জানানো হয়।
এছাড়া এখনো পর্যন্ত কোন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা, ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনার অনুমতি ইউজিসি বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেয়নি উল্লেখ করে এ ধরনের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে প্রতারণার শিকার না হতে ছাত্রছাত্রীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এবিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। মানহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে শিক্ষার্থীরা যেন প্রতারিত না হয় সেজন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আমরা সতর্ক থেকে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিতে পরামর্শ দিচ্ছি।