শিক্ষা সংবাদ

যেমন হবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা পদ্ধতি

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সারা দেশে (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান ছাড়া) প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। গত ৩০ আগস্ট শেষ হয়েছে আবেদনের সময়সীমা। আবেদনের আগে জেনে নিন নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি-

নম্বর: প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক এবং প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়বস্তু বিগত বছরের মতোই হবে। তবে এবার প্রশ্নের মান উন্নত হবে। আগে লিখিত পরীক্ষায় মাধ্যমিক পর্যায় থেকে প্রশ্ন করা হলেও এবার উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় থেকেও প্রশ্ন আসবে। ৮০ নম্বরের লিখিত এবং ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষাসহ মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে।

প্রশ্নসংখ্যা: লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে বহু নির্বাচনী বা এমসিকিউ পদ্ধতিতে। প্রশ্ন করা হবে বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে। প্রতিটি বিষয় থেকে ২০টি করে মোট ৮০টি এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১।

নম্বর কাটা যাবে: এবারও থাকবে নেগেটিভ মার্কিং। একটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ০.২৫ নম্বর। ফলে চারটি প্রশ্নের ভুল উত্তর দিলে ১ নম্বর কাটা যাবে। তাই মনে রাখতে হবে- নিশ্চিত না হয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ঠিক হবে না। অনেক সময় সঠিক উত্তর জানা থাকলেও বৃত্ত ভরাটের সময় অসাবধানতাবশত ভুল উত্তর ভরাট ফেলেন। একটুখানি সতর্ক হলেই এ ভুল এড়ানো যায়।

সময়: এমসিকিউ প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ থাকবে ৮০ মিনিট। অর্থাৎ প্রতিটি প্রশ্নে পাওয়া যাবে এক মিনিট। যে প্রশ্নগুলো সহজেই উত্তর করা যায়, তা শুরুতেই দাগিয়ে ফেলতে হবে। কোনো প্রশ্নে বেশি সময় নষ্ট করা যাবে না, কঠিন প্রশ্নগুলো রেখে দিতে হবে পরে উত্তর করার জন্য।

অনুমান: অনুমাননির্ভর উত্তরের চেয়ে না দাগানোই ভালো। তবে চারটি অপশনের মধ্যে দুটি ভুল উত্তর বের করতে পারলে বাকি দুটির মধ্যে একটি বেছে নেওয়া যেতে পারে। জানা প্রশ্নেও অনেকে কোনটির উত্তর করবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। প্রথমবার যেটি সঠিক বলে মনে হয়, উত্তর সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা সেটির বেশি!

About Author

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.