স্বাভাবিক জীবনযাপনের মধ্যে কখনও কখনও আমরা নানা রকম রোগে আক্রান্ত হই। বেশিরভাগ রোগ আমরা চিকিৎসার পাশাপাশি গৃহে যথাযথ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে আরোগ্য লাভ করি। সাধারণ সর্দি,কাশি, জ্বর থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম সংক্রামক রোগ যেমন হাম, বসন্ত ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হই। পরিবারের কোনো সদস্য রোগাক্রান্ত হলে, তার বিশেষ ভাবে যত্ন নেওয়া দরকার। অসুস্থ ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা কারণে যথাযথ যত্নের দরকার হয়। তাকে আরাম ও বিশ্রাম দেওয়ার জন্য কোলাহলমুক্ত, স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা দরকার। আর সে কারণেই রোগের জন্য আলো-বাতাস পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত একটা কক্ষের প্রয়োজন। রোগীকে নির্দিষ্ট কক্ষে রেখে তার উপযুক্ত শুশ্রূষা করতে পারলে যেকোনো রোগ থেকে সে সহজে এবং তাড়াতাড়ি নিরাময় পেতে পারে।
রোগের কক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার প্রয়োজনীয়তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
১। দ্রুত সুস্থ হওয়া: রোগীর কক্ষে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, আলো-বাতাস ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকলে রোগী দ্রুত সুস্থ হতে পারে। তাই রোগীকে দ্রুত সুস্থ করার জন্য নিয়মিত রোগীর ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।
২। রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উন্নতি: রোগীর কক্ষ ঠিকমতো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে রোগীর শরীরের পাশাপাশি রোগীর মন ভালো থাকে। রোগীর মানসিক অবস্থা ভালো থাকলে রোগী দ্রুত সুস্থ হতে পারবে।
৩। রোগীর স্বাভাবিক জীবনযাপনের দ্রব্য: রোগীর কক্ষ যদি পরিচ্ছন্ন এবং নিয়মিত আলো, বাতাস ঢোকা ইত্যাদির ব্যবস্থা করা যায় তাহলে রোগী দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে।
৪। অন্যান্য রোগে আক্রান্ত না হওয়া: যদি রোগীর কক্ষ অপরিষ্কার ও বদ্ধ হয় তবে রোগী এক রোগ থেকে আরেক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই রোগী যাতে এক রোগ থেকে অন্য রোগে সংক্রামিত না হয় সেজন্য রোগীর কক্ষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।
৫। বাড়ির স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখা: রোগীকে যদি বাড়ির স্বাভাবিক অবস্থায় রাখা হয় তবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অনেক নিশ্চিন্ত থাকে। তাই বাড়ির অন্যান্য কক্ষ এবং রোগীর কক্ষ সমানভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে সবাই মিলে রোগীর সেবা যত্ন করতে পারবে এবং রোগীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে।
আরও দেখুন–
২। তােমার পরিবারের জন্য একটি ফাস্ট এইড বক্স তৈরি কর।