Home Assignment সাইবার নিরাপত্তা এবং নাগরিক সেবা হেল্প ডেস্ক

সাইবার নিরাপত্তা এবং নাগরিক সেবা হেল্প ডেস্ক

0
Cyber Security Help Desk

সাইবার নিরাপত্তা এবং নাগরিক সেবা হেল্প ডেস্ক শিরোনামে সপ্তম শ্রেণীর ডিজিটাল প্রযুক্তি বাৎসরিক সমষ্টি মূল্যায়ন এসাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে শিক্ষার্থীরা দুটো থিম নিয়ে কাজ করবে এবং ফাইনালে সাইবার নিরাপত্তা এবং নাগরিক সেবা হেল্প ডেক্স তৈরি করে উপস্থাপন করবে।

শিক্ষার্থীদের কাজকে সহজ করার জন্য সপ্তম শ্রেণির বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন এসাইনমেন্ট এর ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের নির্ধারিত কাজ সাইবার নিরাপত্তা এবং নাগরিক সেবা হেল্প ডেস্ক কিভাবে প্রস্তুত করতে হবে এবং কি কি কাজ করতে হবে তার বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন কাজের সারসংক্ষেপ

২০২৪ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় সপ্তম শ্রেণীর ডিজিটাল প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট সাইবার নিরাপত্তা এবং নাগরিক সেবা হেল্প ডেক্স তৈরি সংক্রান্ত কাজে শিক্ষার্থীরা নিচে উল্লেখিত দুটো থিম নিয়ে কাজ করবে।

থিম বিবরণ
সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলায় হেল্প ডেস্ক
নাগরিক সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে হেল্প ডেস্ক
সপ্তম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট

তোমাদের ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয় শিক্ষক প্রাথমিক মূল্যায়নের দিন দুটো দলে ভাগ করে দিবে এবং তোমরা উপরোক্ত যে কোন একটি কাজ করার জন্য নির্বাচিত হবে।

তোমাদের পথ চলাকে সহজ করার জন্য সপ্তম শ্রেণীর ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন এসাইনমেন্ট ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে একটি নমুনা সমাধান দেয়া হলো। এখানে পূর্ব ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি মোকাবেলায় হেলপ টেস্ট এবং নাগরিক সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণের হেল্প ডেস্ক তৈরি করে দেয়া হবে।

সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলায় হেল্প ডেস্ক

চলো তাহলে সপ্তম শ্রেণী ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন এসাইনমেন্ট হিসেবে প্রথমে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলায় হেল্প ডেস্ক তৈরি করার কাজ করি।

কাজ-১: সাইবার নিরাপত্তা জনিত ঝুঁকি চিহ্নিত করা;

পরিবারের সদস্যরা এবং আশেপাশের মানুষজন সাইবার নিরাপত্তা জনিত কি কি ঝুঁকির সম্মুখীন হয় তা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে চিহ্নিত করতে হবে।

নিচে তোমাদের জন্য সাইবার নিরাপত্তা জনিত কিছু ঝুঁকি উল্লেখ করা হলো। তোমরা চাইলে এগুলো খাতায় নোট করে নিতে পারো এবং পরীক্ষার দিন শিক্ষককে উপস্থাপন করতে পারবে।

পরিবারের সদস্যরা এবং মানুষজন সাইবার নিরাপত্তা জনিত যেসব ঝুঁকির সম্মুখীন হয়

পরিবারের সদস্যরা এবং আশেপাশের মানুষজন সাইবার নিরাপত্তা জনিত নিম্নলিখিত ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে:

১. ব্যক্তিগত তথ্য চুরি: হ্যাকাররা পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, ফোন নম্বর, ইমেল ঠিকানা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ড নম্বর ইত্যাদি চুরি করতে পারে। এই তথ্য ব্যবহার করে তারা পরিবারের সদস্যদের পরিচয় চুরি করতে পারে, তাদের নামে ঋণ নিতে পারে, বা তাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালাতে পারে।

২. অপব্যবহারমূলক সামগ্রীতে অ্যাক্সেস: হ্যাকাররা পরিবারের সদস্যদের জন্য ক্ষতিকর বা অপব্যবহারমূলক সামগ্রী, যেমন শিশু যৌন নির্যাতনের সামগ্রী, প্রচারমূলক সামগ্রী, বা ম্যালওয়্যার অ্যাক্সেস করতে পারে। এই সামগ্রী পরিবারের সদস্যদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে, বা তাদেরকে অপরাধের শিকার হতে পারে।

৩. অর্থনৈতিক ক্ষতি: হ্যাকাররা পরিবারের সদস্যদের আর্থিক তথ্য চুরি করে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি করতে পারে। তারা পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ চুরি করতে পারে, তাদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করতে পারে, বা তাদের নামে ঋণ নিতে পারে।

৪. সামাজিক ক্ষতি: হ্যাকাররা পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে তাদের সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তারা পরিবারের সদস্যদের নামে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিতে পারে, বা তাদের বিরুদ্ধে অপবাদ দিতে পারে।

৫. নিরাপত্তা ঝুঁকি: হ্যাকাররা পরিবারের সদস্যদের ডিভাইসগুলিতে ম্যালওয়্যার বা অন্যান্য ক্ষতিকারক সফ্টওয়্যার ইনস্টল করতে পারে। এই সফ্টওয়্যার পরিবারের সদস্যদের ডিভাইসগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে, তাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে, বা তাদের ডিভাইসগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

কাজ-২: প্রতিটি সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি কীভাবে মোকাবেলা করা যায়

এই ঝুঁকিগুলি এড়াতে, পরিবারের সদস্যদের এবং আশেপাশের মানুষজনকে সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং নিরাপদ অনলাইন ব্রাউজিং এবং ব্যবহারকারীর নাম এবং পাসওয়ার্ডের মতো গোপনীয় তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।

নিম্নলিখিত টিপসগুলি পরিবারের সদস্যদের এবং আশেপাশের মানুষজনকে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করতে পারে:

১. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন: আপনার পাসওয়ার্ডগুলি কমপক্ষে 12 অক্ষের দীর্ঘ হওয়া উচিত এবং এতে সংখ্যা, অক্ষর এবং বিশেষ অক্ষরগুলির মিশ্রণ থাকা উচিত। আপনার পাসওয়ার্ডগুলি একই না হওয়া উচিত।

২. দুটি-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ ব্যবহার করুন: দুটি-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ আপনার অ্যাকাউন্টগুলিকে আরও সুরক্ষিত করে। যখন আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করেন, তখন আপনাকে আপনার পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি একটি দ্বিতীয় ফ্যাক্টর, যেমন একটি OTP বা একটি বারকোড প্রদান করতে হবে।

৩. আপনার অ্যাপ এবং সফ্টওয়্যার আপডেট করুন: আপডেটগুলি প্রায়শই নিরাপত্তা সংশোধনগুলি অন্তর্ভুক্ত করে যা আপনার ডিভাইসগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।

৪. অপরিচিত লিঙ্ক এবং ইমেলগুলিতে ক্লিক করবেন না: হ্যাকাররা প্রায়শই অপরিচিত লিঙ্ক এবং ইমেলগুলি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের ম্যালওয়্যার বা অন্যান্য ক্ষতিকারক সফ্টওয়্যার ইনস্টল করতে।

৫. সামাজিক মিডিয়াতে সতর্ক থাকুন: সামাজিক মিডিয়াতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করার সময় সতর্ক থাকুন। আপনার জন্মতারিখ, ঠিকানা, ফোন নম্বর, বা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করবেন না।

সবগুলো সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি আলাদা আলাদা নাম্বারিং বা কোর্ডিং

ক্রম সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি
1 ব্যক্তিগত তথ্য চুরি
2 অপব্যবহারমূলক সামগ্রীতে অ্যাক্সেস
3 অর্থনৈতিক ক্ষতি
4 সামাজিক ক্ষতি
5 নিরাপত্তা ঝুঁকি

এই পর্যায়ে আমরা সবগুলো সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলার উপায় গুলো আলাদা আলাদা খামে ভরে সেগুলোকে নাম্বারিং করে রাখবো। তোমাদের সুবিধার্থে প্রত্যেকটি ঝুঁকি মোকাবেলায় কি কি করণীয় সেটি বিস্তারিত দেয়া হলো।

ব্যক্তিগত তথ্য চুরি মোকাবেলায় করণীয় সমূহ

সাইবার নিরাপত্তায় ব্যক্তিগত তথ্য চুরি মোকাবেলায় করণীয় সমূহ নিম্নরূপ:

১. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন: আপনার পাসওয়ার্ডগুলি কমপক্ষে 12 অক্ষের দীর্ঘ হওয়া উচিত এবং এতে সংখ্যা, অক্ষর এবং বিশেষ অক্ষরগুলির মিশ্রণ থাকা উচিত। আপনার পাসওয়ার্ডগুলি একই না হওয়া উচিত।

. দুই-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ ব্যবহার করুন: দুই-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ আপনার অ্যাকাউন্টগুলিকে আরও সুরক্ষিত করে। যখন আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করেন, তখন আপনাকে আপনার পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি একটি দ্বিতীয় ফ্যাক্টর, যেমন একটি OTP বা একটি বারকোড প্রদান করতে হবে।

৩. আপনার অ্যাপ এবং সফ্টওয়্যার আপডেট করুন: আপডেটগুলি প্রায়শই নিরাপত্তা সংশোধনগুলি অন্তর্ভুক্ত করে যা আপনার ডিভাইসগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।

৪. অপরিচিত লিঙ্ক এবং ইমেলগুলিতে ক্লিক করবেন না: হ্যাকাররা প্রায়শই অপরিচিত লিঙ্ক এবং ইমেলগুলি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের ম্যালওয়্যার বা অন্যান্য ক্ষতিকারক সফ্টওয়্যার ইনস্টল করতে।

৫. সামাজিক মিডিয়াতে সতর্ক থাকুন: সামাজিক মিডিয়াতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করার সময় সতর্ক থাকুন। আপনার জন্মতারিখ, ঠিকানা, ফোন নম্বর, বা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করবেন না।

এছাড়াও, আপনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতেও মনোযোগ দিতে পারেন:

৬. আপনার ডিভাইসগুলিকে সিকিউর করুন: আপনার ডিভাইসগুলিতে একটি ভাল অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফ্টওয়্যার ইনস্টল করুন এবং এগুলি সর্বদা আপডেট রাখুন।

৭. আপনার নেটওয়ার্ককে সুরক্ষিত করুন: আপনার Wi-Fi নেটওয়ার্কের জন্য একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং আপনার রাউটারের নিরাপত্তা সেটিংসগুলি পরীক্ষা করুন।

৮. আপনার অনলাইন কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করুন: আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রবেশের জন্য আপনার ব্যবহার করা ডিভাইসগুলি এবং অ্যাপগুলি পর্যবেক্ষণ করুন। যদি আপনি অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করেন, তাহলে অবিলম্বে আপনার অ্যাকাউন্টগুলির সুরক্ষা পরীক্ষা করুন।

সাইবার নিরাপত্তায় অপব্যবহারমূলক সামগ্রীতে অ্যাক্সেস ঠেকাতে করণীয়

১. আপনার ডিভাইসগুলিতে একটি ভাল অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফ্টওয়্যার ইনস্টল করুন এবং এগুলি সর্বদা আপডেট রাখুন। এই সফ্টওয়্যারগুলি অপব্যবহারমূলক সামগ্রী, যেমন শিশু যৌন নির্যাতনের সামগ্রী, ম্যালওয়্যার, বা অন্যান্য ক্ষতিকারক সফ্টওয়্যার সনাক্ত করতে এবং অপসারণ করতে সাহায্য করতে পারে।

২. আপনার অ্যাপ এবং সফ্টওয়্যার আপডেট করুন: আপডেটগুলি প্রায়শই নিরাপত্তা সংশোধনগুলি অন্তর্ভুক্ত করে যা আপনার ডিভাইসগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।

৩. অপরিচিত লিঙ্ক এবং ইমেলগুলিতে ক্লিক করবেন না: হ্যাকাররা প্রায়শই অপরিচিত লিঙ্ক এবং ইমেলগুলি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের ম্যালওয়্যার বা অন্যান্য ক্ষতিকারক সফ্টওয়্যার ইনস্টল করতে।

৪. সামাজিক মিডিয়াতে সতর্ক থাকুন: সামাজিক মিডিয়াতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করার সময় সতর্ক থাকুন। আপনার জন্মতারিখ, ঠিকানা, ফোন নম্বর, বা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করবেন না।

এছাড়াও, আপনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতেও মনোযোগ দিতে পারেন:

৪. আপনার নেটওয়ার্ককে সুরক্ষিত করুন: আপনার Wi-Fi নেটওয়ার্কের জন্য একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং আপনার রাউটারের নিরাপত্তা সেটিংসগুলি পরীক্ষা করুন।

৫. আপনার অনলাইন কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করুন: আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রবেশের জন্য আপনার ব্যবহার করা ডিভাইসগুলি এবং অ্যাপগুলি পর্যবেক্ষণ করুন। যদি আপনি অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করেন, তাহলে অবিলম্বে আপনার অ্যাকাউন্টগুলির সুরক্ষা পরীক্ষা করুন।

৬. আপনি যদি মনে করেন যে আপনার ডিভাইসে অপব্যবহারমূলক সামগ্রী রয়েছে, তাহলে অবিলম্বে আপনার ডিভাইসটি স্ক্যান করুন এবং প্রয়োজনে আপনার ডিভাইসটি পুনরুদ্ধার করুন। আপনি আপনার স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেও জানাতে পারেন।

৭. সাইবার নিরাপত্তায় অপব্যবহারমূলক সামগ্রীতে অ্যাক্সেস ঠেকাতে সচেতনতা এবং সতর্কতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করে আপনি আপনার ডিভাইসগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করতে পারেন।

এখানে কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপ রয়েছে যা আপনি অপব্যবহারমূলক সামগ্রীতে অ্যাক্সেস ঠেকাতে নিতে পারেন:

১. আপনার ডিভাইসে একটি পিগলেট ফিল্টার ইনস্টল করুন। একটি পিগলেট ফিল্টার হল একটি সফ্টওয়্যার যা অপব্যবহারমূলক সামগ্রী, যেমন শিশু যৌন নির্যাতনের সামগ্রী, ম্যালওয়্যার, বা অন্যান্য ক্ষতিকারক সফ্টওয়্যারকে আপনার ডিভাইসে অ্যাক্সেস করতে বাধা দেয়।

২. আপনার ডিভাইসের নিরাপত্তা সেটিংসগুলি পরীক্ষা করুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনি “প্রাপ্তবয়স্ক সামগ্রী” ফিল্টারিং সক্ষম করেছেন। এই ফিল্টারটি আপনার ডিভাইসে প্রদর্শিত প্রাপ্তবয়স্ক সামগ্রীকে সীমিত করবে।

৩. আপনার সন্তানদের অনলাইন কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করুন এবং তাদের অনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্য শিক্ষা দিন। আপনার সন্তানদের শিখিয়ে দিন যে অপব্যবহারমূলক সামগ্রী কী এবং তারা এটি এড়াতে কীভাবে।

অনলাইনে অর্থনৈতিক ক্ষতি এড়াতে করণীয়

অনলাইনে অর্থনৈতিক ক্ষতি এড়াতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে সচেতন থাকা এবং সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি:

  • শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন: আপনার পাসওয়ার্ডগুলি কমপক্ষে 12 অক্ষের দীর্ঘ হওয়া উচিত এবং এতে সংখ্যা, অক্ষর এবং বিশেষ অক্ষরগুলির মিশ্রণ থাকা উচিত। আপনার পাসওয়ার্ডগুলি একই না হওয়া উচিত।
  • দুই-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ ব্যবহার করুন: দুই-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ আপনার অ্যাকাউন্টগুলিকে আরও সুরক্ষিত করে। যখন আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করেন, তখন আপনাকে আপনার পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি একটি দ্বিতীয় ফ্যাক্টর, যেমন একটি OTP বা একটি বারকোড প্রদান করতে হবে।
  • আপনার অ্যাপ এবং সফ্টওয়্যার আপডেট করুন: আপডেটগুলি প্রায়শই নিরাপত্তা সংশোধনগুলি অন্তর্ভুক্ত করে যা আপনার ডিভাইসগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
  • অপরিচিত লিঙ্ক এবং ইমেলগুলিতে ক্লিক করবেন না: হ্যাকাররা প্রায়শই অপরিচিত লিঙ্ক এবং ইমেলগুলি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের ম্যালওয়্যার বা অন্যান্য ক্ষতিকারক সফ্টওয়্যার ইনস্টল করতে।
  • সামাজিক মিডিয়াতে সতর্ক থাকুন: সামাজিক মিডিয়াতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করার সময় সতর্ক থাকুন। আপনার জন্মতারিখ, ঠিকানা, ফোন নম্বর, বা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করবেন না।
  • আপনার অনলাইন কেনাকাটারের জন্য একটি নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করুন। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প। যদি সম্ভব হয়, তাহলে আপনার ক্রেডিট কার্ডের জন্য একটি ডেবিট কার্ড ব্যবহার করুন।
  • আপনার অনলাইন কেনাকাটারের জন্য একটি নিরাপদ ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন। ওয়েবসাইটের URL-এ “https” থাকা উচিত এবং ওয়েবসাইটের লোগোতে একটি তালা চিহ্ন থাকা উচিত।
  • আপনার অনলাইন কেনাকাটারের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য কোম্পানি নির্বাচন করুন। কোম্পানির পরিষেবা সম্পর্কে অনলাইনে রিভিউ পড়ুন।
  • আপনার অনলাইন কেনাকাটারের জন্য একটি ডেলিভারি ঠিকানা ব্যবহার করুন যা আপনার বাসস্থানের ঠিকানা নয়। এটি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখতে সাহায্য করবে।

নাগরিক সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে হেল্প ডেস্ক

এই পর্যায়ে আমরা যাদের ভাগে নাগরিক সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে হেল্প ডেস্ক তৈরি করার কাজ পড়েছে তাদের জন্য কাজগুলো খুব সাজানোভাবে আলোচনা করবো।

কাজ-১: পরিবারের সদস্য এবং আশেপাশের মানুষজনের কী ধরনের নাগরিক সেবা প্রয়োজন

জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক সেবা:

১. খাদ্য: পরিবারের সদস্যদের জন্য পর্যাপ্ত এবং পুষ্টিকর খাদ্যের নিশ্চয়তা প্রদান করা।

২. পানি: পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশুদ্ধ ও জীবাণুমুক্ত পানির নিশ্চয়তা প্রদান করা।

৩. স্বাস্থ্যসেবা: পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা।

৪. আশ্রয়: পরিবারের সদস্যদের জন্য পর্যাপ্ত এবং নিরাপদ আশ্রয়ের নিশ্চয়তা প্রদান করা।

৫. শিক্ষা: পরিবারের সদস্যদের জন্য মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ প্রদান করা।

জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য সেবা

১. যোগাযোগ: পরিবারের সদস্যদের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থার নিশ্চয়তা প্রদান করা।

. শক্তি: পরিবারের সদস্যদের জন্য পর্যাপ্ত এবং সাশ্রয়ী শক্তির নিশ্চয়তা প্রদান করা।

. নিরাপত্তা: পরিবারের সদস্যদের জন্য ব্যক্তিগত ও সম্পত্তির নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান করা।

৪. কর্মসংস্থান: পরিবারের সদস্যদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করা।

সামাজিক সুরক্ষা সেবা

১. **বয়স্কদের জন্য ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা।

২. **প্রতিবন্ধীদের জন্য সহায়তা ও সুবিধা প্রদান করা।

৩. **অসমর্থ পরিবারের জন্য সহায়তা প্রদান করা।

এছাড়াও, পরিবারের সদস্য এবং আশেপাশের মানুষজনের বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সেবা প্রয়োজন হতে পারে। যেমন, খেলাধুলা ও বিনোদন, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পরিবেশ সুরক্ষা;

পরিবার এবং সমাজের সকল সদস্যের জন্য নিম্নমানের নাগরিক সেবা প্রদান করা রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। নাগরিক সেবার মান উন্নত করতে সরকারের পাশাপাশি পরিবার, সমাজ ও ব্যক্তিদেরও ভূমিকা পালন করতে হবে।

তোমরা উপরোক্ত তালিকা থেকে তোমাদের পছন্দমত সেবাগুলো নোট করে কাগজে লিখে নাও। এবং সেটি পরীক্ষার দিন শিক্ষকের নিকট জমা দিবে।