Class 8 assignment

৮ম শ্রেণি এসাইনমেন্ট 2025 ১ম সপ্তাহ প্রশ্ন ও উত্তর

২০ মার্চ ২০২৫ তারিখ অর্থাৎ শনিবার হতে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্দিষ্ট কিছু কাজ দেওয়া হবে যা শিক্ষার্থীদের শেষ করে সপ্তাহের শেষের দিক স্কুলে জমা দিতে হবে। প্রতি সপ্তাহ শুরুর ০২ দিন পূর্বে এভাবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর এ্যাসাইনমেন্ট ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হবে। এ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমেই অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়ে নতুন এ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীরা চাইলে Online থেকেও নিতে পারবে আবার স্কুল থেকেও নিতে পারবে।

এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ
  • ১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৫
  • মোট বিষয় : ২টি

আরও দেখুনঃ ৯ম শ্রেণি এসাইনমেন্ট 2025 ১ম সপ্তাহ প্রশ্ন ও উত্তর

১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান

অষ্টম শ্রেণীর ১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ১৬ মার্চ ২০২৫ তারিখে  প্রকাশ করা হয়েছে । ১ম সপ্তাহে দুটি বিষয়ের উপর নির্ধারিত কাজ জমা দিতে হবে । নিচে এসাইনমেন্টের প্রশ্ন  ও উত্তর দেওয়া হল :

  • বাংলা এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর

কেস স্টাডি: রিনা ও মলি স্কুলে নতুন বই আনতে গিয়েছে। বই নিয়ে বের হওয়ার সময় তারা স্কুলের মাঠে একটি দামি মােবাইল ফোন পেল। তারা তাদের সহপাঠী | রনির সাথে বিষয়টি নিয়ে আলােচনা করে। তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে, ফোনের প্রকৃত মালিককে এটি ফেরত দেবে। কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা প্রকৃত মালিককে ফেরত দিতে পারে, সেই ধাপসমূহের বর্ণনা

উত্তর :

মােবাইল ফোন ফিরিয়ে দেওয়ার বিভিন্ন ধাপ বা উপায় নিম্নে তুলে ধরা হলাে

প্রথম ধাপ বা উপায়: স্কুলের যদি প্রচারণার জন্য মাইক থাকে তাহলে সেই মাইকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে হবে- “একটি হারানাে বিজ্ঞপ্তি, স্কুলের মাঠে একটি মােবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে। যথাযথ তথ্য সাপেক্ষে স্কুলের অফিস কক্ষ থেকে ইহার মালিককে মােবাইল ফোনটি গ্রহণ করার জন্য বলা যাচ্ছে।” আর যদি মাইক না থাকে তাহলে সবার উদ্দেশ্যে তা উচ্চকণ্ঠে বলতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপ বা উপায়: প্রত্যেক ক্লাস রুমে গিয়ে বলতে হবে- “আমরা একটি মােবাইল ফোন পেয়েছি। কারাে মােবাইল ফোন হারিয়ে গেলে আমাদের সাথে যােগাযােগ করবেন। যথাযথ তথ্য সাপেক্ষে ইহার মালিককে মােবাইল ফোনটি
‘ দেওয়া হবে।”

তৃতীয় ধাপ বা উপায়: মানুষকে জানানাে যে, “আমরা একটি মােবাইল ফোন পেয়েছি। কেউ মােবাইল ফোন খুঁজলে আমাদের কথা বলবেন যে, আমরা মােবাইল ফোনটি পেয়েছি। যথাযথ তথ্য সাপেক্ষে তাকে আমরা মােবাইল ফোনটি দিয়ে দিব।

চতুর্থ ধাপ বা উপায়: মােবাইল ফোনের নম্বর বের করে তার মােবাইল ফোনের মালিক)। নিকটতম লােকের নম্বর বের করে তাকে ফোন দিয়ে জানতে হবে যে, ‘এই ফোনটি কার তার সঠিক পরিচয় নেওয়া।

পঞ্চম ধাপ বা উপায়: এলাকার দেওয়ালে পােস্টার মেরে মানুষকে জানিয়ে দেওয়া যে, “একটি মােবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে। যথাযথ তথ্য সাপেক্ষে ফোনটির মালিককে মােবাইল ফোনটি দেওয়া হবে।

ষষ্ঠ ধাপ বা উপায়: প্রধান শিক্ষককের কাছে ফোনটি জমা দেওয়া এবং স্যারকে বলা যে, আমরা এটি কুড়িয়ে পেয়েছি। কেউ খোঁজ করলে যাচাই করে ফোনের মালিককে দয়া করে ফোনটি দিয়ে দিবেন।

সপ্তম ধাপ বা উপায়: ফোনটি নিকটতম থানায় জমা দেওয়া। যাতে তারা আসল মালিককে সনাক্ত করে মােবাইল ফোনটি দিয়ে দিতে পারে।

আসল মালিক চেনার জন্য তাকে কয়েকটি প্রশ্ন করতে হবে। যথা-

মােবাইল ফোনটি কোন রঙের?
মােবাইল ফোনটি কোন মডেলের?
মােবাইল ফোনে থাকা সিমের নম্বরটা বলেন?

এই প্রশ্নগুলের সঠিক উত্তর দিতে পারলে তাকে মােবাইল ফোনটি দিয়ে দেওয়া যাবে।।

  • ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট সমাধান

মনে কর তােমার ঘনিষ্ঠ একজন সহপাঠীর আচরণে মুনাফিকের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়, তাকে প্রকৃত মুমিন বান্দা হতে সহায়তা করার জন্য তুমি কী কী উদ্যোগ নিতে পারাে- এ। সম্পর্কিত একটি কর্মপরিকলপনা তৈরি করাে।

সংকেত: ১। সহপাঠীর কোন কোন আচরণে মুনাফিকের লক্ষণ তার উল্লেখ । ২। উক্ত আচরণগুলাে কেন ক্ষতিকর তার ব্যাখ্যা। ৩। উক্ত বিষয়ের কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি ৪। সহপাঠীর মুনাফিকী আচরণ দূর করার উপায়। ৫। সহপাঠীকে মুমিন হওয়ার জন্য তােমার পদক্ষেপ।

উত্তর :

আমার ঘনিষ্ঠ সহপাঠীর আচরণে কপটতা, ভন্ডামি ও দ্বিমুখী নীতি প্রভৃতি লক্ষণ প্রতিফলিত হয়েছে। যাদের মধ্যে এসব বৈশিষ্ট্য রয়েছে তারা-ই মুনাফিক।। নৈতিক ও মানবিক আদর্শের বিপরীত কাজ করাই এদের ধর্ম। মুনাফিকরা মুখে ভাল কথা বললেও তাদের অন্তর থাকে কুফরিতে পূর্ণ। এমন মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আমার সহপাঠীর আচরণে।। আমার সহপাঠী প্রায়ই মিথ্যা কথা বলে এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। এগুলাে মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য। কারণ মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি। মিথ্যা বলা, ওয়াদা ভঙ্গ করা এবং আমানতের খিয়ানত করা। এই লক্ষণগুলাে যখন কারও মধ্যে দেখা। যায় তখন তাকে মুনাফিক বলে। সুতরাং আমার সহপাঠী আচরণে মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে। হাদিসে মুনাফিকদের চরিত্রকে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে

“মুনাফিকের নির্দশন তিনটি – যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে  তা ভঙ্গ করে এবং যখন তার নিকট কোনাে কিছু গচ্ছিত রাখা হয় তখন তার  খিয়ানত করে।” (সহিহ বুখারি ও সহিহ্ মুসলিম)।

নিফাক একটি মারাত্মক পাপ। এটি নৈতিকতা ও মানবিকতার বিপরীত কাজ। নিফাকের ফলে মানুষ অন্যায় ও অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ফলে মানুষের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবােধ বিনষ্ট হয়। নিফাকের দ্বারা মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস ও সন্দের সৃষ্টি হয়। ফলে মানব সমাজে মারামারি, হানাহানি ও অশান্তির সৃষ্টি। হয় মুনাফিকরা ইসলামের চরম শত্র। তারা বন্ধুবেশে মুসলমানদের বড় ধরনের। ক্ষতি সাধন করে। এর কারণে সমাজে নানা ধরনের অন্যায় ও অনৈতিক কাজের। | প্রসার ঘটে। এজন্যই দুনিয়াতে মুনাফিকরা ঘৃণিত মনে হয় এবং আখেরাতেও। তাদের জন্য কঠোর আযাব প্রস্তুত রয়েছে। আমার সহপাঠী প্রায়ই মিথ্যা কথা বলে এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। এগুলাে । মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য। আমার ঘনিষ্ঠ সহপাঠীর আচরণে এ বিষয়টিই ফুটে উঠেছে। উপরের আলােচনা থেকে বলা যায় যে, আমার সহপাঠীর মুনাফিকির পরিনাম
অত্যন্ত ভয়াবহ।

মুনাফিকদের অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন – “যখন তারা (মুনাফিকরা) ইমানদারদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে। আমরা ইমান এনেছি। আর যখন তারা গােপনে তাদের শয়তানদের সাথে মিলিত হয তখন বলে, আমরা তােমাদের সাথেই আছি। আমরা শুধু তাদের সাথে ঠাট্টাতামাশা করে থাকি।” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৪)।

মুনাফিকির পরিণাম সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “নিশ্চয়ই মুনাফিকদের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে।” (সূরা আন-নিসা, আয়া-১৪৫)।

মুনাফিকির আচরণ দূর করার উপায়:

১. কথা বলার সময় সত্য কথা বলবে, মিথ্যা কথা বলবে না।

২. কাউকে কথা দিলে তা রক্ষা করবে।

৩. আমানত রক্ষা করবে। যেমন কারাে কাছে কোনাে জিনিস ও সম্পদ আমানত রাখলে তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবে এবং ফেরত দিবে। কারাে সাথে কথা দিলে তা রক্ষা করবে। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবে না।।

আমার সহপাঠীকে মুমিন করার জন্য আমার কর্মপরিকল্পনা:

১। সহপাঠীকে সত্য কথা বলার জন্য উৎসাহিত করব এবং সত্য কথা বলার। সুফল বােঝানাের চেষ্টা করব।

২। তাকে মিথ্যা বলতে নিরুৎসাহিত করব এবং মিথা বলার পরিণতি সম্পর্কে। ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

৩। কারাে সাথে ওয়াদা করলে তা রাখার গুরুত্ব বােঝাব এবং ওয়াদা না রাখার পরিণাম সম্পর্ক ধারণা দিব।

৪। আমানতের গুরুত্ব বােঝানাের চেষ্টা করব এবং আমানতের খেয়ানত করার। কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব।।

  • হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর

“সকল সাধকেরই মূল উদ্দেশ্য পরম পুরুষকে পাওয়া।” উক্তিটির যৌক্তিকতা নিরুপণ করাে।

উত্তর : খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে ।

  • খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর

তুমি ধর্মানুরাগী, নিচের ঘটনাগুলাের ক্ষেত্রে তুমি যদি উপস্থিত থাকতে তাহলে কী করতে তা বর্ণনা কর।

১. দীক্ষাগুরু যােহনের মন পরিবর্তনের প্রচার

২. যীশুর শিষ্যদের উপর পবিত্র আত্মার অবতরণ

৩. পবিত্র আত্মার অনুপ্রেরণায় মারীয়ার জীবন যাপন

উত্তর : খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে

  • বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর

পরিবার ও সমাজে জাতি, প্রথা, গােত্র, বর্ণ, পেশা নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের মধ্যে কিছু বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়। কন্যা সন্তানরাও এখনাে সমাজে অবহেলিত ও বৈষম্যের স্বীকার। তাই বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে গৌতম বুদ্ধ সাম্যনীতির অগ্রাধিকার দেন।

উপরের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নিচের সংকেত অনুসরণ করে প্রতিবেদন আকারে লিখ।(৩০০ শব্দের মধ্যে)।

সংকেত:

ক. বুদ্ধের সাম্যনীতি

খ. তােমার দেখা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি, গােত্র ও পেশাজীবী মানুষের মধ্যে বৈষম্য।

গ. বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার আলােকে তােমার দেখা কন্যা সন্তানদের বৈষম্যের স্বীকার এরুপ একটি ঘটনা।

ঘ. বুদ্ধের সাম্যনীতির আলােকে সামাজিক বৈষম্য দূর করার উপায়গুলাের তালিকা।

উত্তর : খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে

About Author

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.

1 Comment

  1. MD Yaseen Mollik
    March 21, 2021

    Assalamualaikum