উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে দুটো পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। প্রাথ-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরণের পরিবর্তনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে সরকার। শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান নাকি মানবিক নাকি বাণিজ্য পড়বে তা ঠিক হবে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে । এর আগে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সবাইকে অভিন্ন দশটি বিষয় পড়তে হবে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে দুটো পাবলিক পরীক্ষা নেবে।
উচ্চ মাধ্যমিকে পাবলিক পরীক্ষা
জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের একজন সদস্য বলেন, পরিকল্পনা পাস হলে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে একজন কোন শাখায় (বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক) পড়বে তা ঠিক হবে। তখন উচ্চ মাধ্যমিকের ছয়টি বিষয়ে ১২টি পত্র থাকবে। এর মধ্যে বাংলা, ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি –এ তিন বিষয় সবার জন্য বাধ্যতামূলক হবে। এর সঙ্গে একজন শিক্ষার্থী তার পছন্দের তিনটি বিষয় নেবে, যার প্রতিটির জন্য তিনটি পত্র থাকবে।
তিনি বলেন, উচ্চ মাধ্যমিকে দুটো পরীক্ষা হলেও বাস্তবে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমবে। এখন উচ্চ মাধ্যমিকে যে কয়টি বিষয়র পরীক্ষা একসঙ্গে হয় সেগুলোই একাদশ ও দ্বাদশে ভাগ করে হবে।
বোর্ডের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, বইয়ের সংখ্যাও এখনকার চেয়ে কমবে। বিষয়বস্তু বদালাবে। আর এসএসসি পরীক্ষা হবে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষা হবে, যার ভিত্তিতে এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হবে।
এসব প্রস্তাব ও পরিকল্পনা নিয়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের কাজ করছে এনসিটিবি। পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আগামী বছর নতুন পাঠ্যবই পাবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে নতুন বই দেয়া হবে। আগামী মার্চের মধ্যে শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করে পর্যায়ক্রমে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে গিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পুরোপুরি শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হবে।
এনসিটিবির কর্মকর্তারা বলেন, কিছু বিষয় প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। আর কিছু পরিকল্পনার মধ্যে আছে। শিক্ষাবিদ ও এনসিটিবির কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন হচ্ছে। সর্বশেষ ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক্রম পরিবর্তন করা হয়েছিল।