বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, যশোর শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড সূত্র এ খবর জানায়।
গত ৬ মে সারাদেশে একযোগে এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এসএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফলে অনেক পরীক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে।
এসএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের ১৪০ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।এদের মধ্যে ফেল করা ১৭ জন পাসের তালিকায় উঠেছেন; জিপিএ-৫ পাওয়ার তালিকায় উঠেছেন ১১ জন।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে সূত্র জানায়,দাখিলের ফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য এবছর ১০ হাজার ৭৯৯ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিল। এজন্য ২২ হাজার ১৫২ টি উত্তরপত্র পুনরায় নিরীক্ষণ করা হয়েছে।
এবছর বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।
প্রকাশিত ফলে জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪৬২ জন। পুনর্নিরীক্ষণের সাথে নতুন করে আরও ১১ জন যোগ হল।
এসএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণে চট্টগ্রাম বোর্ডের ৫২৯ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।এদের মধ্যে ফেল করা ৫১ জন পাসের তালিকায় উঠেছেন; জিপিএ-৫ পাওয়ার তালিকায় উঠেছেন ৪৮ জন; গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে মোট ৪৫০ জনের।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তাওয়ারিত আলম জানান, এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণে জন্য এবছর ২৩ হাজার ৩৮০ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিল। এজন্য ৫৩ হাজার ৫১০টি উত্তরপত্র পুনরায় নিরীক্ষণ করা হয়েছে।
“আবেদনকারীদের মধ্যে ৪৫০ জনের গ্রেড পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলে অনুত্তীর্ণ আসলেও পুনর্নিরীক্ষণে ৫১ জন পরীক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেছে।”
তাওরিত জানান, ফেল করেছিলেন এমন একজনও পুনর্নিরীক্ষণে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
এবছর চট্টগ্রাম বোর্ডে পাশের হার ছিল ৭৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল বলে জানিয়েছেন বোর্ড কর্মকর্তারা।
প্রকাশিত ফলে জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল আট হাজার ৯৪ জন। পুনর্নিরীক্ষণে এর সাথে নতুন করে আরও ৪৮ জন যোগ হল।
বিস্তারিত ফল দেখতে এখানে ক্লিক করুনঃ