বাংলাদেশ

১০ ডিসেম্বরের আগে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করতে ইসির চিঠি

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, স্কুল-কলেজের পরীক্ষাসহ পাবলিক পরীক্ষাগুলো ১০ ডিসেম্বরের আগে শেষ করতে সংশ্লিষ্ট বোর্ড ও মন্ত্রণালয়কে আমরা চিঠি দিয়েছি।

বুধবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সভাকক্ষে সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

হেলালুদ্দীন বলেন, স্কুলগুলোতে ভোটকেন্দ্র থাকবে। তাছাড়া স্কুলশিক্ষকরা ভোটের দিন প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন। এসব কারণেই ডিসেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে সব স্কুলের পরীক্ষা যেন শেষ হয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছি আমরা। নির্দেশনায় ৪১ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্রকে নির্বাচনের উপযোগী রাখা, সংস্কার ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রস্তুত রাখার জন্য বলা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বরের আগে সব বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করতে বলা হয়েছে, যাতে প্রতিষ্ঠানের ভোটকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা সম্ভব হয়।

ইসি সচিব জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক বেশি উল্লেখ করে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা আছে।

সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন করতে হবে। মনোনয়ন দাখিল, বাছাই, প্রত্যাহারের শেষ সময় এবং প্রতীক বরাদ্দ শেষে প্রচারের পর্যাপ্ত সময় দিয়ে তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত ৪০-৪৫ দিন ব্যবধান রাখা হয়ে থাকে। এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে জানিয়ে সচিব বলেন, ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপারসহ যাবতীয় প্রস্তুতি ইসি সম্পন্ন করেছে।

এই সরকারের মেয়াদ শেষে ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আগে থেকেই ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট করার প্রস্তুতি রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।

সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সূচিতেও পরিবর্তন এনেছে সরকার। আগামী ১১ থেকে ৮ ডিসেম্বর এই পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও তা ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।

গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মধ্য ডিসেম্বরের পর থেকে যে কোনো দিন জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনার কথা আমাদের বলা হয়েছে।” নির্বাচনের সময় বিদ্যালয়গুলো ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষকরা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন।

About Author

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.