মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে চোখ মুছতে মুছতে এসএসসি ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিয়েছে সুমাইয়া আক্তার (১৬)। সোমবার ফরিদপুরের সালথা উপজেলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সে।
শোকে বারবার নিজেকে হারিয়ে ফেললেও সহপাঠী ও কেন্দ্র সচিবদের সহযোগিতায় সুমাইয়া পরীক্ষা দিয়েছে। এ ঘটনায় পরীক্ষাকেন্দ্রে এক শোকের ছায়া নেমে আসে। এক হাতে চোখ মুছে ও অন্য হাত দিয়ে খাতায় উত্তরপত্র লিখতে দেখা যায় তাকে।
খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মোবাশ্বের হাসান পরীক্ষা কেন্দ্রে ছুটে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে সান্ত্বনা দেন। সুন্দরভাবে পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান নির্বাহী কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় সালথা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে এক গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ছাত্রীর মায়ের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পরার পর এক হাতে চোঁখ মুছতে ও অন্য হাত দিয়ে খাতায় উত্তরপত্র লেখতে দেখা যায়।
জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার জেলার সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের মো. সহিদ মোল্যা ও সেলিনা বেগমের মেয়ে। সুমাইয়া সালথা উপজেলার আটঘর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল খায়ের সাংবাদিকদের জানান, রোববার রাতে সন্তান প্রসবের সময় ঢাকার একটি হাসপাতালে সুমাইয়ার মা সেলিনা বেগম মারা যায়। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সুমাইয়ার মায়ের লাশ বাড়িতে এসে পৌঁছায়। মায়ের লাশ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন সুমাইয়া।
আটঘর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমান খান বলেন, বেলা ১১টায় সুমাইয়ার মায়ের লাশ দাফন করা হয়েছে।