bd Family

শ্রেণি: ৯ম, এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রমঃ এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-২, অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরােনামঃ ষষ্ঠ অধ্যায়: শিশুর বর্ধন ও বিকাশ;

পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তুঃ পাঠ- ১: বর্ধন ও বিকাশের ধারণা, পাঠ- ২: বিকাশের স্তর, পাঠ- ৩: বিকাশমূলক কার্যক্রম, পাঠ- ৪ ও ৫: শিশুর বিকাশে বংশগতি ও পরিবেশ;

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ বর্তমানে তােমার পরিবারে যে সকল সদস্য রয়েছেন তারা বিকাশের কে কোন পর্যায়ে অবস্থান করছেন তা শনাক্ত কর এবং তাদের বৈশিষ্ট্যগুলাে বর্ণনা কর। (নিচের প্রশ্নগুলাের ব্যাখ্যা কর।)

১। তােমার পরিবারে কে কে রয়েছে?

২। একটি ছকের মাধ্যমে তারা বিকাশের কে কোন পর্যায়ে রয়েছে তা উল্লেখ করে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরাে।

৩। তুমি কি মনে কর তাদের পর্যায় অনুযায়ী যথাযথ আচরণ করছে? ব্যাখ্যা কর।

https://i.imgur.com/uebEPeN.jpg

৯ম শ্রেণির ৮ম অ্যাসাইনমেন্ট ২০২৪ গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এর বাছাইকৃত উত্তর

বিকাশ একটি জটিল প্রক্রিয়া। পরিপক্বতা ও অভিজ্ঞতার ফলে বিকাশজনিত পরিবর্তন হতে পারে। মানব বিকাশের পর্যায়গুলি হ’ল জৈবিক, শারীরিক, মানসিক, মানসিক এবং সামাজিক পরিবর্তনগুলির একটি সিরিজ যা মানুষ তাদের সারা জীবন জুড়ে যায়।

আমার পরিবারে আমার বাবা, মা, ভাই, বোন আর আমি সহ মোট ৫ জন সদস্য আছে।

আমার পরিবারের সবাই বিকাশের যে যে পর্যায়ে আছে, তাদের বৈশিষ্ট্য গুলো এবং বিকাশের স্তরগুলোর বর্ণনা  নিম্নে ছক আকারে দেওয়া হলোঃ

পরিবারের সদস্য

বিকাশের পর্যায়

বিকাশজনিত বৈশিষ্ট্য

বিকাশের স্তর

বাবা ও মা মধ্যবয়স বিকাশের এ পর্যায়ে দৈহিক আকার, আয়তনের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। আচরণ দক্ষতা ও কার্যক্ষমতা কমতে থাকে, চিন্তাশক্তি ও স্মরণশক্তি কমতে থাকে, শোনা, দেখা ও বুঝার ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে, বৃদ্ধি মন্থর হয়ে যায়। ৪০থেকে ৬৫ বছর। কাজ থেকে অবসর গ্রহণের সময় পর্যন্ত এ সময়ের ব্যপ্তি।  এটা প্রাপ্তবয়স্ক থেকে বার্ধক্যে অবতীর্ণ হওয়ার মধ্যবর্তী সময়। কর্মক্ষেত্রে সফলতা বা নেতৃত্বদান এ সময় হয়ে থাকে। মধ্য বয়সের প্রধান শারীরিক লক্ষণ গুলো হল–  ওজন বৃদ্ধি, চুলপাকা, কুচকানো ত্বক, হাত–পায়ের জোড়ায় ব্যথা, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা ইত্যাদি।
বোন ও আমি বয়ঃসন্ধি বা কৈশোরকাল এ পর্যায়ে হরমোনগত অনেক পরিবর্তন ঘটে। ফলে দৈহিক আকার আয়তন ক্রমবর্ধমান থাকে, দেহ গঠিত হতে শুরু করে, আচরণ দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে, চিন্তাশক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। ১১ থেকে ১৮ বছর।  এ সময়টি শিশু থেকে প্রাপ্ত বয়সের যাওয়ার মধ্যবর্তী সময়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ১১ থেকে ১৯ বছর, এই সময়কাল হল কৈশোর। বয়সন্ধিঃক্ষণে প্রাপ্ত বয়স্কের মতো দেহের আকার আকৃতি ও যৌন বৈশিষ্ট্য অর্জিত হয়। যৌন ক্ষমতার পূর্ণ বিকাশে তারা প্রজনন ক্ষমতা অর্জন করে। বিমুর্ত বিষয়ে চিন্তা করতে পারে অর্থাৎ যে বিষয়ে চোখে দেখা যায় না যেমন, স্নেহ, ভালোবাসা ইত্যাদি বিষয়গুলো বুঝতে পারে। কে কোন পেশায় যাবে তা নিয়ে পড়াশোনা করে।

ভাই

মধ্যশৈশব এটি বিকাশের প্রারম্ভিক স্তরগুলোর একটি, তাই এ পর্যায়ে বিকাশের বৈশিষ্ট্যগুলো ধীরে ধীরে অর্জিত হতে থাকে। আচরণগত দক্ষতা শিখতে শুরু করে, কর্মক্ষমতা তৈরি হতে থাকে, বুঝার ক্ষমতা যুক্তিপুর্ণ চিন্তাভাবনা তৈরি হয় ধীরে ধীরে, দৈহিক বৃদ্ধি ঘটতে পারে। ৬ থেকে ১১ বছরে বয়স। এ বয়সে ছেলেমেয়েরা তাদের পরিবেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানে এবং নতুন নতুন দায়িত্ব পালনে দক্ষ হয়। খেলাধুলায় দক্ষ হওয়ার নিয়ম সমৃদ্ধ খেলায় (যেমন– গোল্লাছুট, বউচি, ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি) অংশ নেয়। তারা যুক্তিপূর্ণ চিন্তা,  ভাষার দক্ষতা অর্জন করে  এবং ভালো মন্দ, ন্যায় অন্যায় সম্পর্কে তাদের ধারণা আরো স্পষ্ট হয়।তারা বন্ধুত্ব তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে।

উপরোক্ত তথ্য এবং আমার পরিবারের সদস্যদের আচার আচরণ দেখে আমি বুঝতে পারি তারা সবাই( আমি সহ) তাদের পর্যায় অনুযায়ী যথাযথ আচরণ করছে। মানব বিকাশের পর্যায়ের কয়েকটি তত্ত্ব রক্ষা করে যে পর্যায়গুলি নির্বিচারে নয়, তবে এমন একটি চ্যালেঞ্জের একটি চিহ্ন রয়েছে যা আমাদের অবশ্যই কাটিয়ে উঠতে হবে এবং তার সাথে কিছু শক্তি এবং দুর্বলতা রয়েছে।

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.