বর্তমানের বিভিন্ন জায়গায় ফ্রি ওয়াইফাই দেওয়া থাকে। যদি আপনি সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে অথবা কোন রেস্টুরেন্টে যান তাহলে কিন্তু সেখানে ফ্রিতে ওয়াইফাই দেওয়া হয়। পাবলিক প্লেসে যেসব ফ্রি ওয়াইফাই গুলো দেয়া থাকে সেগুলো কিন্তু আপনাকে নিরাপদ ভাবে ব্যবহার করতে হবে। যদি আপনি নিরাপদ ভাবে ব্যবহার না করেন। তাহলে আপনার স্মার্টফোন থেকে হয়তো অনেক ব্যক্তিগত ডাটা অথবা তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে।

আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো যে, ফ্রি ওয়াইফাই নিরাপদে ব্যবহার করার জন্য যে সব বিষয়গুলো আপনার মেনে চলা উচিত সেইসব বিষয়গুলো সম্পর্কে। আশাকরি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে হয়তো আপনি ফ্রি ওয়াইফাই নিরাপদে ব্যবহার করতে পারবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক যে, ফ্রি ওয়াইফাই নিরাপদে ব্যবহার করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে।

ডিভাইসের নিরাপত্তা নিশ্চিত

পাবলিক প্লেস এর বিভিন্ন ফ্রি ওয়াইফাই গুলো ব্যবহার করার আগে অবশ্যই আপনার ডিভাইসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যদি আপনি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার দিয়ে দিয়ে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করেন। তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো ইন্সটল করে নিতে পারেন। কেননা অনেক ধরনের ম্যালওয়ার ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করার ফলে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপে প্রবেশ করে যেতে পারে।

আর এতে করে বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য আপনার কাছ থেকে হ্যাকারেরা হাতিয়ে নিতে পারে। আর পরবর্তী সময় আপনি এতে করে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আর এই জন্য আপনি চাইলে বিভিন্ন কম্পিউটার ও ল্যাপটপ এর জন্য বিভিন্ন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলো ইন্সটল করে আপনার ডিভাইসের বা ল্যাপটপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন। তাহলে আপনি হয়তো খুব সহজে ফ্রি ওয়াইফাই গুলো নিরাপদ ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

ভিপিএন ব্যবহার করা

যদি আপনি ফ্রি বা পাবলিক প্লেসে ওয়াইফাই গুলো নিরাপদে ব্যবহার করতে চান তাহলে এর অন্যতম বিকল্প হতে পারে ভিপিএন ব্যবহার করা ভিপিএন ব্যবহার করার মাধ্যমে যদি আপনি রিপাবলিক অফ এগুলো ব্যবহার করেন তাহলে তো অনেক ব্যক্তিগত তথ্য আপনার সেভ থাকবে এবং আপনি বিভিন্ন হ্যাকারের ও বিভিন্ন তথ্য হারিয়ে যাওয়া সম্মুখীন হবেন না।

ভিপিএন ব্যবহার করার মাধ্যমে যদি আপনি ফ্রি পাবলিক ওয়াই-ফাই গুলো ব্যবহার করেন তাহলে এই ভিপিএন গুলো আপনার ব্যক্তিগত তথ্য লোকেশন টু ডিভাইস ইনফর্মেশন লুকিয়ে রাখবে আর এতে করে আপনার এই সব তথ্য গুলো কখনো অন্য কারো কাছে চলে যাবে না। আর আপনার ডিভাইসটিও থাকবে নিরাপদ। ভিপিএন ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার ডিভাইসটি ফ্রি ভাবে ব্যবহার করার পরও নিরাপদ ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

যদি আপনি কখনো কোনো কারনে ফ্রী পাবলিক ওয়াই-ফাই গুলো ব্যবহার করেন। তাহলে উপরের নিয়ম গুলো অবশ্যই মেনে চলার চেষ্টা করবেন। কেননা উপরের নিয়ম গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে যদি আপনি পাবলিক প্লেসের ফ্রি ওয়াইফাই গুলো ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য গোপনীয় থাকবে। আর আপনার স্মার্টফোনটি থাকবে সুরক্ষিত। আর যদি কোনো কারণে আপনি উপরের কোন একটা নিয়ে অবশ্যই মেনে না চলেন।

তাহলে এর কারনে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। কেননা ফ্রি ওয়াইফাই যারা ব্যবহার করে তাদের লোকেশন ও ডিভাইস ইনফর্মেশন সহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য যেকোনো হ্যাকাররা খুব সহজে হ্যাক করে নিতে পারে। আর এতে করে আপনার প্রয়োজনীয় গোপনীয় তথ্য হ্যাকারের হাতে চলে যাবে। আর আপনি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

আশা করি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার কারণে আপনি হয়তো এখন ভালোভাবে জানতে পেরেছেন যে, পাবলিক প্লেসে ফ্রি ওয়াইফাই গুলো ব্যবহার করার আগে আপনার ডিভাইসটিকে কিভাবে নিরাপদ রাখতে হবে। এখন হয়তো আপনি খুব সহজেই পাবলিক প্লেস এর ফ্রি ওয়াইফাই গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার বিভিন্য ব্যক্তিগত তথ্য ডাটা ইনফর্মেশন নিরাপদ রাখতে পারবেন।

এর পরও যদি আপনি কোন কারণে বুঝতে বা জানতে না পারেন যে, ফ্রি ওয়াইফাই নিরাপদ ব্যবহার জন্য কি কি আপনাকে অবশ্যই মেনে চলা উচিত। তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতে করে আমরা আপনাকে ভালোভাবে জানি এবং বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব যে, ফ্রি ওয়াইফাই নিরাপদ ভাবে ব্যবহার করার জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে।তাহলে হয়তো আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ডাটা হ্যাকারের কাজ থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন। আর সেইসাথে ফ্রি পাবলিক ওয়াই-ফাই গুলো নিরাপদ ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

 

জানতে ও জানাতে চাই।