ইন্টারনেটের যেমন অনেক ভালো দিক আছে। ঠিক তেমনি ইন্টারনেটের অনেকগুলো খারাপ দিক ও রয়েছে। এসব গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ফিশিং। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন হ্যাকিং মেথডদের মাধ্যমে হ্যাকাররা প্রতারণা করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের সবচেয়ে বড় দুঃখের একটি বিষয় হল ফিশিং এর কবলে পড়া।

যদি কেউ ফিশিংয়ের কবলে পড়ে তাহলে সেই একমাত্র এর কষ্টটা বুঝতে পারে। এতে করে তার কি কি ক্ষতিটা হয়। যে এর মধ্যে একবার ফেসে যায় সে জানতে পারে। আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ফিশিং কি? যদি না আপনি জেনে থাকে যে ফিশিং কি তাহলে মূলত আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। এছাড়াও আপনি আরো জানতে পারবেন ফিশিং এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে।

আর কিভাবে ফিশিং এর ক্ষতিকর দিক থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখবেন। আর হ্যাঁ অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। নয়তো আপনি কিছুতেই জানতে অথবা বুঝতে পারবেন না যে ফিশিং কি এবং এর ক্ষতিকর দিক থেকে কিভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হয়। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ফিশিং কি ক্ষতি থেকে কিভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায়।

ফিশিং কি?

ফিসিং মানে যদিও মাছ ধরা হলেও হ্যাকারেরা মূলত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট আইডি ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়ে থাকে। আর এজন্য হ্যাকারেরা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতারণার জাল বিছিয়ে দেয়। যদি কেউ সেই জালে নিজেকে জরিয়ে থেকে তাহলে হ্যাকার তার সব তথ্য নিয়ে নেয়। যেটাকে মূলত আমরা ফিশিং বলে থাকি। হ্যাকারদের বিভিন্ন ধরনের হ্যাকিং মেথড রয়েছে।

তার মধ্যে সবচেয়ে প্রতারণামূলক কৌশল হলো ফিশিং। ফিসিং এর সাহায্যে হ্যাকারেরা একজন ব্যবহারকারী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ব্যক্তিগত তথ্য, পিন ও পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ড নাম্বার ডেবিট কার্ড নাম্বার, ভিডিও ও ফটো ফাইল সহ নানান ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় তথ্য হাতিয়ে নিয়ে থাকে।

এরপর হ্যাকাররা সেসব তথ্য গুলো নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে। আর যদি কখনো আপনার তথ্যগুলো হ্যাকার হাতিয়ে নেয় তাহলে আপনি খুবই বড় একটি বিপদে পড়তে পারেন। আপনি জানলে অবাক হবেন যে হ্যাকার কিন্তু বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনার কাছ থেকে জোর করে হাতিয়ে নিতে পারে না।

আপনি তাকে সাহায্য করার মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাকারকে দিয়ে থাকেন। হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন! হ্যাকারেরা এ ফিশিং এর মাধ্যমে আপনার কাছে বিভিন্ন ধরনের ম্যালওয়্যার যুক্ত ভাইরাস ও স্পাম ফাইল পাঠিয়ে থাকে। এছাড়া আপনাকে বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় অফার পাঠায়।

যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়। এভাবেই ব্যক্তিগত বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য ইনফরমেশন হাতিয়ে নেওয়া কে মূলত ফিশিং বলা হয়। হ্যাকাররা বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে ফিশিং করে আপনাদের বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। আপনাকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার মতো কিছু প্রশ্ন করার মাধ্যমে আপনাকে প্ররোচিত করতে পারে লিংকে ক্লিক করার জন্যে।

যেমন আপনাকে বলা হতে পারে ৫ মিনিটের ভিতর আপনার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে করে দেওয়া হবে। যদি না আপনি এখনি নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করে আপনার অ্যাকাউন্ট নিরাপদ না করেন। যেই আপনি উক্ত লিংকে ক্লিক করে আপনার একাউন্টের লগইন তথ্য দিবেন। আর সাথে সাথে হ্যাকার আপনার অ্যাকাউন্টের তথ্য পেয়ে আপনার অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নিয়ে যাবে।

ফিশিং থেকে নিরাপদ থাকার উপায়?

অনেকভাবেই ফিশিং অ্যাটাক থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আর আপনাকে এজন্যে যেকোনো ধরনের ফিশিং থেকে বাঁচতে চাইলে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো সব সময় সর্তকতা অবলম্বন করে যেকোনো কিছু ব্যবহার করতে হবে।

যেকোনো সাইটে সাইন আপ করা থেকে শুরু করে যে কোন মেইল চেক করা সহ বিভিন্ন ধরনের এখন বিষয়গুলো ভালভাবে যাচাই বাছাই করে ব্যবহার করবেন। এভাবে যদি আপনি একটু ভালোভাবে যেকোনো সোস্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেট ভিক্তিক বিষয় সাবধানতা অবলম্বন করে ও একটু যাচাই-বাছাই করে ব্যবহার করেন।

তাহলে দেখবেন খুব সহজেই ফিশিং থেকে অথবা ফিশিং অ্যাটাক থেকে নিরাপদে থাকতে পারবেন। এখনো তো আপনি ফিশিং কি এটা জানতে পারলেন এছাড়া হয়তো আরও জানতে পারলেন যে, ফিশিং থেকে কিভাবে খুব সহজে নিরাপদে থাকতে পারবেন! হ্যাঁ যদি উপরের নিয়ম অনুসরন করেন তাহলে হয়তো ফিশিং থেকে নিরাপদ থাকতে পারবেন।

আশা করি এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি ফিশিং কি? ফিশিং এর ক্ষতিকর দিক গুলো ও ফিশিং থেকে নিরাপদ থাকার উপায় গুলো সম্পর্কে এখন জানতে পেরেছেন। যদি আপনি বিভিন্ন ধরনের হ্যাকিং মেথড ও স্পাম লিংক গুলোতে ক্লিক না করেন। তাহলে হয়তো খুব সহজে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখতে পারবেন। এরপরও যদি আপনি জানতে অথবা বুঝতে না পারেন যে ফিশিং কি?

ফিসিং এর ক্ষতিকর দিক গুলো থেকে কিভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখবেন। তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টে বক্সে কমেন্ট করে আপনার সমস্যাটি জানাতে পারে। যাতে করে আমরা আপনার সমস্যাটির সমাধান করতে পারি। যাতে আপনি যেন ফিশিং কি ও ফিশিং থেকে কিভাবে নিরাপদ থাকতে হয়? এসব বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত থেকে নিজেকে ও নিজের ব্যক্তিগত তথ্য ও ডাটা নিরাপদ রাখতে পারবেন।

 

জানতে ও জানাতে চাই।