পৃথিবীর জনসংখ্যা এখন প্রায় ৭.৩ বিলিয়ন। গত ১২ বছরেই এই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১ বিলিয়ন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালে পৃথিবীতে প্রায় ৮.৫ বিলিয়ন মানুষ বসবাস করবে এবং ২০৫০ সালের মাঝে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৯.৭ বিলিয়নে (UN, 2015)। দৃশ্যত জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় এখন অনেক দ্রুততর। সার্বিকভাবে বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এই ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য, বস্ত্র ইত্যাদি মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। মেধা, শ্রম ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে গত কয়েক দশকে কৃষিজ উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়েছে। তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের সাথে কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধির হার সর্বক্ষেত্রে আশাব্যাঞ্জক নয়।
বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশসমূহ যেখানে লোকসংখ্যা বৃদ্ধির হার তুলনামূলক বেশি, সেখানে কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধির হার সেই অনুপাতে বেশি নয়। বর্তমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে সর্বশেষ এবং সর্বোত্তম উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। উন্নত দেশসমূহে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, আধুনিক জীবপ্রযুক্তি তথা জিএম প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষার্থে জিএম প্রযুক্তির মত উন্নত প্রযুক্তির সম্ভাবনা ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান এবং সেই জ্ঞানের সুচিন্তিত, সুনিয়ন্ত্রিত প্রয়োগ ও প্রসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জিএম ফসল বলতে কি বুজ ?
জীব কৌশলের মাধ্যমে ফসলের জিনগত বিন্যাস পরিবর্তন ঘটিয়ে প্রাপ্ত কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্যের ফসলকে জিএম ফসল বা জেনিটিক্যালি মডিফাইড ক্রপ বলে। সংকরায়ন ও ক্রমাগত নির্বাচনের মাধ্যমে অর্জিত ফসলকে জিএম ফসল বলে।
খ) বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম এর কৃষির তুলনা কর।