আমাদের সবার সামনেই নোটিফিকেশন বারে ফ্লাইট মোড নামক একটি অপশন সবসময় আমরা দেখতে পাই। যেই অপশন টি দেখতে কিছুটা বিমানের মত। আর তাই আমরা সেটাকে ফ্লাইট মোড অথবা এরোপ্লেন মোড বলে থাকি। কিন্তু আপনি কি কখনো জানতেন ফ্লাইট মোড বা এরোপ্লেন মোড এর কাজ কি? অথবা কি কি উপকার করে ফ্লাইট মোড এটা কি ভেবেছেন!

যদি ভেবে না থাকেন অথবা জেনে না থাকেন যে ফোনের ফ্লাইট মোড কি তাহলে আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন এয়ারপ্লেন মোড অথবা ফ্লাইট মোড কি। সেই সাথে আরো জানতে পারবেন ফ্লাইট মোড এর বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে।

তে আশাকরি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। যাতে করে আপনি জানতে পারেন ফোনেী ফ্লাইট মোড কি এবং এটা কিভাবে কাজ করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফোনের ফ্লাইট মোড কি অথবা এরোপ্লেন মোডের এর উপকারিতা সম্পর্কে।

ফ্লাইট মোড মানে কি?

একটা বিষয়ে আপনি সব সময় দেখবেন যে যদি কখনো ফ্লাইট মোড চালু করে দেন। তাহলে কিন্তু সাথে সাথে স্মার্ট ফোনের নেটওয়ার্ক, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ ইত্যাদি বন্ধ হয়ে যায়। আবার যখন ফ্লাইট মোড অফ করে দেন। তখন কিন্তু আবার নেটওয়ার্ক কানেকশন ফিরে আসে। ওয়াইফাই আবার চালু হয় সেই সাথে ফোনের সব নেটওয়ার্ক আবার চালু হয়।

এর মানেই হয়তো আপনি বুঝে যেতে পারছেন যে ফ্লাইট মোড কি। তারপর ও যদি আপনি বুঝতে না পারেন তাহলে আরও সহজভাবে বলা গেলে। যে অপশনটি চালু করার মাধ্যমে যেকোনো ধরনের নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাকে মূলত ফ্লাইট মোড অপশন বলা হয়।

ফ্লাইট মোড চালু করার মাধ্যমে যেই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে নেটওয়ার্কের কানেকশন করা যায়, সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়। আবার যখন ফ্লাইট মোড বন্ধ করে দেয়া হয়, তখন আবার রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি মাধ্যমে নেটওয়ার্ক কানেকশন চালু হয়ে যায়।

আর এই কারনেই নেটওয়ার্ক এর সাথে যেসব বিষয়গুলো জড়িত। সেই সব বিষয়গুলো ফ্লাইট মোড চালু করার সাথে সাথেই বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে আপনি এরোপ্লেন মোড চালু করার পর কাউকে ফোন দিতে পারেন না। অথবা ফোন আপনার ফোনে আসে না, ওয়াইফাই কানেকশন করতে পারেন না, ব্লুটুথ চালু করতে পারেন না ইত্যাদি।

তবে আপনি যদি ফ্লাইট মোড চালু করেন এরপরই চাইলে ব্লুটুথ ও ওয়াইফাই কানেকশন করতে পারবেন। কিন্তু নেটওয়ার্ক কানেকশন যেহেতু রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি এর সাথে জড়িত। তাই নেটওয়ার্ক কানেকশন চালু করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ফ্লাইট মোড অপশনটি বন্ধ করতে হবে।

তাহলে আপনার ফোনে আবার আগের মতোই নেটওয়ার্ক কানেকশন পাবে। আর আপনি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যে কাউকে কল করতে পারবেন। অথবা আপনাকে যে কেউ আপনাকে কল ও মেসেজ পাঠাতে পারবে। এখন হয়তো আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কী কী কারণে মোবাইল ফোনে ফ্লাইট মোড চালু করলে আর কোন নেটওয়ার্ক কানেকশন থাকে না

ফোনে ফ্লাইট মোড কেন থাকে?

এখন আপনারা অনেক বলবেন যে ফোনে কেন ফ্লাইট মোড থাকে। ফ্লাইট মোডে যে কাজগুলো এগুলো তো ফোন বন্ধ করা যায়। আপনারা ঠিক প্রশ্নটাই করেছেন। আসলে ফ্লাইট মোড চালু করার মূল কারণ হলো এরো প্লেনে চড়ার সময় যেকোনো ধরনের স্মার্ট ফোন বন্ধ রাখার জন্য এই অপশনটি দেয়া হয়।

যদি আপনি কখনো বিমানে করে ভ্রমণ করেন তাহলে অবশ্যই আপনার স্মার্টফোনটিকে ফ্লাইট মোড চালু করে রাখতে হবে। নয়তো বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
এর মূল কারণ হলো বিমান গুলো বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স যোগাযোগ ও নেভিগেশন সিস্টেম নির্ভরশীল হয়ে থাকে। আর যখন আপনি আপনার ফোনে ডাটা কানেকশন অন নেটওয়ার্ক কানেকশন চালু করেন।

এতে করে বিমান চালকেরা ভুমিতে যোগাযোগ করতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। আর তাই স্মার্ট ফোনে এই অপশনটা সময় দেয়া থাকে। যাতে করে আপনারা যদি কখনো বিমানে ভ্রমণ করেন। তাহলে অবশ্যই যেন স্মার্টফোনের ফ্লাইট মোড চালু করে সকল প্রকার নেটওয়ার্ক কানেকশন বন্ধ রাখতে পারেন। তবে বর্তমান সময়ে অনেক বিমানের ফ্লাইট মোড চালু ছাড়াও ফ্রিতে ওয়াইফাই ব্যবহার করার সুযোগ দিয়ে থাকে।

আশাকরি এখন আপনারা ফ্লাইট মোড সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। এছাড়া আপনারা জানতে পেরেছেন যে কি কি কারণে ফ্লাইট মোড বন্ধ করা হয় এবং কি কি কারণে ফ্লাইট মোড চালু করা হয়। এরপরও যদি আপনি কোন কিছু বুঝতে না পারেন তাহলে অবশ্যই আমাদের কে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে আপনার সমস্যাটির সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করব যাতে করে আপনি খুব সুন্দর ভাবে জানতে পারেন ফ্লাইট মোড সম্পর্কে এছাড়াও আপনি যেন জানতে পারেন ফ্লাইট মোড কিভাবে কাজ করে। এছাড়াও আরো যেন জানতে পারেন ফ্লাইট মোড এর উপকারিতা গুলো সম্পর্কে।

 

জানতে ও জানাতে চাই।