https://i.imgur.com/mr1q1rB.jpeg

অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ

পোস্টার:
আমাদের চারপাশে সৃষ্টিজগতের মাঝে মহান আল্লাহর একতৃবাদের অসংখ্য নমুনা বিদ্যমান। বাস্তব উদাহরণসহ এককতৃবাদের প্রমাণ উল্লেখ করে একটি পোস্টার তৈরি কর।

নির্দেশনা

  • পাঠাবইয়ের অধ্যায় এক এর সংশ্লিষ্ট; পাঠের আলোকে ; বিষয়বস্তুর মৌলিক চাহিদাগুলো শনাক্ত করতে হবে।
  • আট পেপার/ক্যালেন্ডারে উল্টা পৃষ্ঠা অথবা খাতার পৃষ্ঠা ব্যবহার করে পোস্টার তৈরি করা যেতে পারে।
  • প্রয়োজনে সহায়ক নেওয়া যেতে পারে।
  • পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলোচনা করে বিষয়ের সঠিকতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেওয়া যেতে পারে।

তাওহীদের চতুর্থ পরিভাষাটি, দার্শনিক ও কালামশাস্ত্রবিদগণের নিকট ক্রিয়াগত একত্ববাদ বলে পরিচিত। আর এর অর্থ হলঃ মহান আল্লাহ স্বীয় কর্ম সম্পাদনের জন্যে কারো উপর ও কোন কিছুর উপরই নির্ভরশীল নন এবং তিনি কোন ভাবেই কোন অস্তিত্বের সাহায্যের মুখাপেক্ষী নন।

এ বিষয়টি ‘অস্তিত্বদাতা কারণের’ বিশেষত্বের আলোকে প্রমাণ করা যায়, যা সকল কার্যের (معلول) প্রতিষ্ঠাতা। কেননা এ ধরনের কারণের (অস্তিত্বদাতা কারণ) কার্যগুলো সমস্ত অস্তিত্বের জন্যে উক্ত কারণের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ দর্শনের ভাষায়, এ কার্যগুলো খোদার সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত’ এবং ঐ গুলোর কোন প্রকার স্বনির্ভরতা নেই।

অন্যকথায়ঃ যে কেউ যা কিছুরই অধিকারী হোক না কেন, তা তাঁরই নিকট থেকে এবং তাঁরই ক্ষমতার অধীন। তাঁরই রাজত্বের পরিমণ্ডলে, তাঁরই সুনির্ধারিত ও প্রকৃত মালিকানাধীন। অন্য সবার ক্ষমতা ও মালিকানা তাঁর ক্ষমতা ও মালিকানার উলম্বে ও নিম্নস্তরে অবস্থান করে এবং তারা খোদার ক্ষমতার পথে কোন প্রকার ক্লেশ সৃষ্টি করে না। যেমনঃ বান্দা উপার্জিত সম্পদের উপর যে বৈধ মালিকানা লাভ করে তা প্রভুর বৈধ মালিকানার উলম্বে অবস্থান করে।

«العبد و ما في يده كان لمولاه»

বান্দা ও যা কিছু তার নিকট আছে, সকলই প্রভুর জন্যে’।

অতএব মহান আল্লাহ এমন কারো সাহায্যের মুখাপেক্ষী হবেন, যারা তাদের সমগ্র অস্তিত্বের জন্যে তাঁর উপর নির্ভর করে, তা কীরূপে সম্ভব?

৫। আল্লাহর প্রভাবগত একত্ব বা প্রভুসত্তা ভিন্ন সকল অস্তিত্বের স্বাধীন প্রভাব অস্বীকার

তাওহীদের পঞ্চম পরিভাষাটি হল ‘স্বাধীন প্রভাব’অর্থাৎ আল্লাহর সৃষ্ট বিষয়াদি স্বীয় কর্মের ক্ষেত্রেও আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীল। সৃষ্ট বিষয়াদির পরস্পরের মধ্যে যে প্রভাব ও কর্মতৎপরতা বিদ্যমান, তা আল্লাহ‌রই অনুমতিক্রমে, আল্লাহ প্রদত্ত শক্তি ও ক্ষমতায় সম্পন্ন হয়। প্রকৃতপক্ষে একমাত্র যিনি অনির্ভরশীল ও স্বাধীনভাবে সর্বত্র ও সর্বাবস্থায় এবং সকল কিছুর উপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম, তিনি হলেন পবিত্র সত্তার অধিকারী মহান আল্লাহ। সকল কর্মতৎপরতা ও প্রভাব তাঁর কর্মতৎপরতা ও প্রভাবের উল্লম্বে অবস্থান করে এবং তাঁরই প্রভাবের প্রতিফলনে স্বীয় কর্মসম্পাদন করে।

আর এর ভিত্তিতেই পবিত্র কোরান প্রাকৃতিক নির্বাহকসমূহ এবং অপ্রাকৃতিক নির্বাহকসমূহের (যেমনঃ ফেরেস্তা, জ্বীন ও মানুষ) সকল র্কীতিকে খোদার প্রতি আরোপ করে থাকে। যেমনঃ বৃষ্টি বর্ষণ, বৃক্ষের উদ্গমন ও ফলদান ইত্যাদি খোদায়ী কীর্তি বলে আখ্যায়িত হয়। এ জন্যে সুপারিশ করা হয় যে, মানুষ যেন এ খোদায়ী কীর্তিকে খোদার উল্লম্বে (ফেরেশতারা সহ বস্তুগত কারণসমূহের কার্যকারণের ধারায়) নিকটবর্তী যে নির্বাহকসমূহ বিদ্যমান সে গুলোকে উপলব্ধি ও স্বীকার করে এবং সর্বদা এ সম্পর্কে চিন্তা করে।

অনুধাবনের জন্যে দৈনন্দিন জীবন থেকে একটি উদাহরণ উল্লেখ করবঃ যদি কোন কার্যালয়ের প্রধান কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে কোন কর্ম সম্পাদনের জন্যে আদেশ প্রদান করে, তবে কর্মটি আদিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তৃক সম্পাদিত হলেও উচ্চ পর্যায়ে এর দায়-দায়িত্ব ঐ কার্যালয়ের প্রধানের উপরই বর্তায়। এমনকি জ্ঞানীদের দৃষ্টিতে এটাই অধিকতর যুক্তিসঙ্গত।

সুনির্ধারিত ও অপরবর্তনীয় সৃষ্টিগত কর্তৃত্বের (فاعليت التكوينى) ক্ষেত্রেও পর্যায়ক্রম বিদ্যমান। ‘সকল নির্বাহকের অস্তিত্বই মহান আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল’, এ দৃষ্টিকোণ থেকে তা মস্তিষ্কগত কল্পিত বিষয়ের মতই, যা কল্পনাকারীর উপর নির্ভরশীল।

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.