Unemployment in Bangladesh

পঞ্চম সপ্তাহে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ব্যবসাভিত্তিক বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে বাংলাদেশের বেকারত্ব নিরসণে আত্মকর্মসংস্থানের ভূমিকা দেয়া হয়েছে। আজকে তোমাদের জন্য এসএসসি ২০২৪ পঞ্চম সপ্তাহ ব্যবসায় উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান বাংলাদেশের বেকারত্ব নিরসণে আত্মকর্মসংস্থানের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে।

২০২৪ এসএসসি ৫ম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট ব্যবসায় উদ্যোগ

প্রথমে আমরা ২০২৪ সালের পঞ্চম সপ্তাহে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ব্যবসায় উদ্যোগ বিষয়ক অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন সমূহ সম্পর্কে জানব এরপর তা ধারাবাহিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করব।

নিচের ছবিতে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ব্যবসা উদ্যোগ বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো

https://i.imgur.com/4w90HDy.jpg

অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনাম: বাংলাদেশের নিরসনে আত্মকর্মসংস্থানের ভূমিকা নিরূপণ;

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):

ক) আত্মকর্মসংস্থানের ধারণা;

খ) আত্মকর্মসংস্থানের উপযুক্ত ও লাভজনক ক্ষেত্র;

গ) আত্মকর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধকরণের উপায়;

ঘ) আত্মকর্মসংস্থানের গুরুত্ব;

২০২৪ এসএসসি ৫ম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট ব্যবসায় উদ্যোগ সমাধান বা উত্তর

পঞ্চম সপ্তাহে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ব্যবসায় উদ্যোগ বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্টে দেওয়া প্রশ্নসমূহ যথাযথভাবে মূল্যায়ন রুবিক্স অনুসরণ করে নমুনা উত্তর প্রস্তুত করে দেয়া হলো।

আশা করছি এটা অনুসরণ করার মাধ্যমে তোমরা প্রথম সপ্তাহে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ব্যবসায় উদ্যোগ বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন গুলো খুব ভালোভাবে লিখতে পারবে এবং মূল্যায়নের সর্বোচ্চ নম্বর পাবে।

বাংলাদেশের বেকারত্ব নিরসণে আত্মকর্মসংস্থানের ভূমিকা

নিচে ধারাবাহিকভাবে তোমাদের জন্য ব্যবসা উদ্যোগ বিষয়ে পঞ্চম সপ্তাহের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্টের প্রশ্নসমূহের আলোকে বাংলাদেশের বেকারত্ব নির্বাচনে আত্ম-কর্মসংস্থানের ভূমিকা অ্যাসাইনমেন্টের প্রদান করা হলো।

ক) আত্মকর্মসংস্থানের ধারণা;

আত্মকর্মসংস্থানের ধারণা: নিজেস্ব পুজি অথবা ঋণ করা স্বল্প সম্পদ , নিজেস্ব চিন্তা ,জ্ঞান ,বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ন্যুনতম ঝুকি নিয়ে আত্ম প্রচেষ্টায় জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে।জীবিকা অর্জনের বিভিন্ন পেশার মধ্যে আত্মকর্মসংস্থান একটি জনপ্রিয় পেশা। বিভিন্ন খুচরা বিক্রয় ,রেডিও ও টেলিভিশন মেরামত, মেরামত ,হাসঁ মুরগী পালন,মৌমাছি চাষ ইত্যাদি আত্মকর্মসংস্থানের আওতাভুক্ত।

ব্যবসায় উদ্যোগের সাথে আত্মকর্মসংস্থানের সম্পর্ক খুব নিবিড়। আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এতজন ব্যক্তি নিজের কর্মসংস্থানের চিন্তা করে কাজে হাত দেন । একজন আত্মকর্মসংস্থানকারী ব্যক্তিতখনই একজন উদ্যোক্তায় পরিনত হবেন। যখন তিনি নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সমাজের আরও কয়েকজনের কর্মসংস্থানের চিন্তা নিয়ে কাজ শুরু করেন, ঝুকি আছে জেনেও এগিয়ে যান এবং একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

খ) আত্মকর্মসংস্থানের উপযুক্ত ও লাভজনক ক্ষেত্র;

আত্মকর্মসংস্থানের উপযুক্ত ও লাভজনক ক্ষেত্র: আত্মকর্মসংস্থানের অনুপ্রেরণায় নিজ মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় চালিত যে কোনো ক্ষুদ্র ব্যবসায় নিয়োজিত থেকে যেমন সম্মানজনক জীবিকা উপার্জন করা যায়, তেমনি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অবদান রাখা যায়। চাহিদা আছে এমন পন্য উৎপাদন ও বিক্রয় করে বা সেবাদান করে অর্থ উপার্জন করা যায়। সবসময় খেয়াল রাখতে হবে আমাদের যে সকল সম্পদ রয়েছে তার সঠিক ব্যবহার করে কীভাবে সম্মানজনক জীবিকা উর্পাজন করা যায়। এসব বিষয় বিশ্লেষন করে আমরা আত্মকর্মসংস্থানের উপযুক্ত ও লাভজনক ক্ষেত্র-

• হস্তচালিত তাঁত, মাদুর বা ম্যাট তৈরি, মৃৎশিল্প, বাঁশজাত দ্রব্য প্রস্তুতকরন, লবণ উৎপাদন, টেইলারিং, পোশাক প্রস্তুতকরণ, মাটির বাসন প্রস্তুতকরণ, মাছ শুকানো, আলুর চিপস তৈরি, কলার চিপস তৈরি, মাখন তৈরি;

• গবাদি পশু ও হাঁস মুরগির খামার, বেতের সামগ্রী তৈরি, পাটেঁর শৌখিন দ্রব্য তৈরি, গেঞ্জি তৈরি, ঝিনুক দ্রব্য তৈরি, বেকারি, আটা ময়দা তৈরি, এমড্রয়ারী, কাঠের খেলনা তৈরি, ফটো ফ্রেম তৈরি, পিঠা তৈরি, কাঠের ও বাঁশের টুথপিক তৈরি;

গ) আত্মকর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধকরণের উপায়;

আত্মকর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজন ব্যক্তিগত দক্ষতা ও স্বনির্ভর পেশায় নিয়োজিত থেকে জীবিকা অর্জনের প্রবল ইচ্ছাশক্তি । যেহেতু দেশে চাকরির সুযোগ সীমিত এবং ইচ্ছা করলেই সরকারী বা বেসরকারী উদ্যোগে এত অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব না তাই একমাত্র বিকল্প হচ্ছে নিজেই নিজের কর্মসংস্থান করা কিন্তু এদেশের  যুবসমাজের নিকট আত্মকর্মসংস্থানের ধারণা স্বচ্ছ ও যথেষ্ঠ নয়। অন্যদিকে র্দীঘদিনের সামাজিক মূল্যবোধ ও পুথিঁগত পড়াশুনার কারনে যুবসমাজ জীবিকা বলতে চাকরিকে বুঝে।তাই বেকরের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে।

১. বর্তমানের যুব ও তরুন সমাজের আগামী প্রজন্মকে আত্মকর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা জরুরী।

২. শিক্ষার্থীদের করতে হবে যে কোনো কাজই ছোট বা অপমানের নয়।

৩. বেশি এলাকায় আত্মকর্মসংস্খানের মাধ্যমে যারা স্বাবলম্বী হয়েছে তাদেরকে বিদ্যাণয়ে এনে শিক্ষার্থীদের তাদের জীবনকাহিনী শোনাতে হবে ।

৪. বেশি এলাকায় আত্মকর্মসংস্খানের উপযুক্ত ক্ষেত্রগুলো তালিকা করে প্রচার করতে হবে।

৫. সকল শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উপযুক্ত ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও ঋণদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিমূলক ও কারীগরি ও কর্মমুখী শিক্ষাকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

৭. আত্মকর্মসংস্থানকে সামনে রেখে যুব উন্নয়ন ব্যাংক ও শিক্ষা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে ঋনদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

ঘ) আত্মকর্মসংস্থানের গুরুত্ব;

আত্মকর্মসংস্থানের গুরুত্ব:আত্মকর্মসংস্থান হল  ব্যক্তি নিজের দক্ষতা ও গুনাবলী দিয়ে যে কাজ করে থাকে তাই আত্মকর্মসংস্থান। একজন ব্যক্তির জন্য আত্মকর্মসংস্থান খুবই গুরুত্ব বিষয়। কেননা একজন ব্যক্তির সাবলম্বী হওয়ার  জন্য কর্মসংস্থানের ধাপটি প্রয়োজন।

১. কর্মসংস্থানের প্রধান উৎস সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে শ্রম জীবী ও চাকরীজীবি লোকের সংখ্যা বেড়েছেভ কর্মসংস্থানের চাহিদা যে হারে বৃদ্ধি পায় সে হারে কর্ম সংস্থানের বাড়ে না।

২. অন্যান্য পেশায় আয়ের সম্ভাবনা সীমিত । কিন্তু আত্মকর্মসংস্থানের থেকে প্রথমে কম আয় হলেও ধীরে ধীরে আয় বাড়তে থাকে।

৩. আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত ব্যক্তিদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।

৪. আত্মকর্মসংস্থানের মানসিকতা যুবসমাজকে দেশপ্রেম ও সেচ্ছামূলক কাজে উৎসাহিক করে।

৫. আত্মকর্মসংস্থানের জন্য বয়স কোনো সমস্যা নয় এর মাধ্যমে যে কোনো বয়সের মানুষ তার দক্ষতা অনুযায়ী অর্থ উর্পাজন করতে পারে।

৬. আত্মকর্মসংস্থানের সাথে যুক্ত থাকলে তরুনরা কোনো সমাজ বিরোধী কজে লিপ্ত হয় নৃ।

৭. আত্মকর্মসংস্থানের মূল এবং বড় মুলধন হলো নিজের দক্ষতা।

৮. আত্মকর্মসংস্থান একটি স্বাধীন পেশা । তাই এখানে নিজের বাড়িতে কাজ করা যায় আলাদা খরচ করতে হয় না।

অতএব বলা যায় বর্তমান দেশে আত্মকর্মসংস্থানের গুরুত্ব অপরিহার্য। যেকোনো বেকার ব্যক্তির জন্য এই বিষয়টি অনুকরণীয়।

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.