৩) একটি চকচকে কাঁচের গ্লাসে কিছু পানি নাও। এবার গ্লাসের মধ্যে একটি পাথর ফেলে দাও। এবার নিচের কাজগুলাে করো;
i. গ্লাসের উপর দিয়ে পাথরটিকে সরাসরি দেখার চেষ্টা কর।
ii. কিছুটা তির্যকভাবে পাথরটিকে দেখার চেষ্টা কর।
iii. গ্লাসে যে পর্যন্ত পানি আছে তার একটু নিচ থেকে দেখার চেষ্টা কর।
তিনটি ক্ষেত্রে কী ঘটছে ও কেন ঘটছে? ব্যাখ্যা কর।
উপরোক্ত নির্দেশনার আলোকে কৃত কাজ:
i) গ্লাসের উপর দিয়ে পাথরটিকে সরাসরি দেখার চেষ্টা করায় পাথরটিকে ছোট, মোটা এবং উপরে দেখা যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
ii) কিছুটা তীর্যকভাবে দেখলে পাথরটিকে অপেক্ষাকৃত ছোট মনে হয়।
iii) গ্লাসে যে পর্যন্ত পানি আছে তার একটু নিচ থেকে দেখলে মনে হয় পাথরের অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে।
তিনটি ক্ষেত্রেই তিন রকমের ঘটনা ঘটার কারণ হলো প্রতিসরণ।
ব্যাখ্যা: আলোক রশ্মি এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে তীর্যকভাবে প্রবেশ করলে দুই মাধ্যমের বিভেদ তলে এর দিক পরিবর্তিত হয়।
আলোকরশ্মির এই দিক পরিবর্তনের ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।
হালকা মাধ্যমে আলোর বেগ বেশি আবার ঘন মাধ্যমে আলোর বেগ কম।
তাই আলো যখন হালকা মাধ্যম হতে ঘন মাধ্যমে প্রবেশ করে তখন প্রতিসরিত রশ্মি অভিলম্বের দিকে এবং বিপরীতক্রমে আলো ঘন মাধ্যম হতে হালকা মাধ্যমে যাওয়ার সময় প্রতিসরিত রশ্মি অভিলম্ব হতে দূরে সরে যায়।
আলোর দ্রুত বা ধীরে চলা নির্ভর করে ঐ মাধ্যমের আলোকীয় ঘনত্বের উপর।
অতএব মাধ্যমের ঘনত্বের ভিন্নতার কারণে আলো ভিন্ন মাধ্যমে এর গতিপথ পরিবর্তন করে। তাই বলা যায়, তিনটি ক্ষেত্রের ভিন্নতার কারণ হলো আলোর প্রতিসরণ।
এই ছিল তোমাদের জন্য চকচকে কাঁচের গ্লাসে পানি দিয়ে আলোর প্রতিসরণ পরীক্ষণ বিষয়ে আজকের আলোচনা। এই মাধ্যমে তোমরা অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের ৫ম এসাইনমেন্ট এর উত্তর করতে পারবে।
আরও দেখুন…
১ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণ বিভিন্ন হয় কেন- ব্যাখ্যা কর।
২ পৃথিবীতে তোমার ভর ৫০ কেজি চাঁদে তোমার ওজন কমে যায় কেন ব্যখ্যা করা