self respective

একজন আত্মমর্যাদাবান মানুষ হিসেবে কোন কোন বৈশিষ্ট্য তােমার মধ্যে আছে? আর কি কি বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে দেখতে চাও এবং কেন?

আত্মমর্যাদাবান মানুষ হিসেবে কোন কোন বৈশিষ্ট্য তোমার মধ্যে আছে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পঞ্চম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টে কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বিষয়ের প্রথম অধ্যায় থেকে একটি এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে।

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ 

একজন আত্মমর্যাদাবান মানুষ হিসেবে কোন কোন বৈশিষ্ট্য তােমার মধ্যে আছে? আর কি কি বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে দেখতে চাও এবং কেন?

নির্দেশনাঃ ১. আত্মমর্যাদার ধারণা দিবে,  ২. আত্মমর্যাদার বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করবে, ৩. আত্মমর্যাদাবান মানুষের আর কোন কোন বৈশিষ্ট্য তার মধ্যে দেখতে চায় এবং কেন? যুক্তিসহ লিখবে, ৪. এ বিষয়ে পাঠ্যপুস্তক ও প্রয়ােজনে অভিভাবকদের সহযােগিতা নিবে।

৬ষ্ঠ শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা উত্তর

 এটি অনুসরণ করে তোমাদের ষষ্ঠ শ্রেণীর পঞ্চম সপ্তাহের কর্ম জীবন মুখী শিক্ষা  বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর লিখলে ভাল ফলাফল পাবেন বলে আশা করছি।

আত্মমর্যাদাঃ কর্মেই আনন্দ। কাজের মাধ্যমে যেমন সফলতা অর্জন করা যায় তেমনি নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে তৈরি করা যায়। কর্মের মাধ্যমে সমাজের আত্মমর্যাদা অর্জন করা যায়। আত্ম শব্দের অর্থ হলো নিজ আর মর্যাদা শব্দের অর্থ হলো সম্মান। আত্মমর্যাদা মানে হল অপরকে সাহায্য করা, নিজেকে ভালোবাসা ও অন্যের প্রতি সহনশীল হওয়া, অন্যকে সম্মান করা, অন্যের পছন্দ-অপছন্দকে সম্মান করা ইত্যাদি। অনেকে মনে করেন আত্মমর্যাদা হলো নিজের কাছে নিজের সম্মান ও মানুষ হিসেবে নিজের পরিচয় সম্পর্কে সচেতন থাকা কিন্তু বস্তুতপক্ষে আত্মমর্যাদা হলো নিজের চারপাশ ও নিজের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সে অনুযায়ী আচরণ করা। অন্যায় কাজ করতে লজ্জাবোধ করা, মানুষ হিসেবে সকল মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য আচরণ করা, ভালো নতুন কিছু চিন্তা করা ইত্যাদি হল আত্মমর্যাদার পরিচয়।

উত্তর

ভূমিকাঃ মানুষের চরিত্রে আত্মমর্যাদাবোধ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। একজন মানুষ হিসেবে প্রত্যেকের কর্মজীবনে এবং ব্যক্তিগত জীবনে আত্মমর্যাদাবোধ থাকা উচিত। একজন আত্মমর্যাদাবান ব্যক্তি সমাজের খুব সহজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। সমাজের সকল স্তরের মানুষ দ্বারা সম্মানিত হয় এবং কর্ম জীবনে সফলতা লাভ করেন।

আত্মমর্যাদার ধারণা: ‘আত্ম’ অর্থ ‘নিজ’ আর ‘মর্যাদা’ অর্থ ‘সম্মান’। অতএব, আত্মমর্যাদা বলতে ‘নিজের প্রতি সম্মান’ কে বোঝায়।

আত্মমর্যাদার বৈশিষ্ট্য:

  • ১. নিজের কাছে নিজের সম্মান ও মানুষ হিসেবে নিজের পরিচয় সম্পর্কে সচেতন থাকা।
  • ২. নিজের পরিবেশ ও নিজের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সে অনুযায়ী আচরণ করা।
  • ৩. অন্যায় কাজ করতে লজ্জাবোধ করা।
  • ৪. মানুষ হিসেবে সকল মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য আচরণ করা।
  • ৫. ভালো ও নতুন কিছু চিন্তা করা আত্মমর্যাদাবোধের পরিচয় বহন করে।
  • ৬. সবার কাছে গ্রহণযোগ্য রুচিবোধের প্রকাশ আত্মমর্যাদাবোধের পরিচয়।

আত্মমর্যাদাবান মানুষের আর যে যে বৈশিষ্ট্য আমার নিজের মধ্যে দেখতে চাই এবং তার কারণ যুক্তিসহ লিখা হলো-

  • আমাদের আত্মমর্যাদার প্রকাশ ঘটে কাজের মাধ্যমেই। নিজের কাজ নিজে করাটা আত্মমর্যাদার পরিচায়ক।
  • গুরুজনের চাওয়া-পাওয়াকে শ্রদ্ধা করা এবং তাদের মতামত মেনে চলার চেষ্টা করাও আত্মমর্যাদাবোধের পরিচয় বহন করে।
  • একজন আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন মানুষ অন্যের অসুবিধা হয় এমন কিছু কখনোই করেন না।
  • সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, গণসাক্ষরতা অভিযান অনুযায়ী আত্মমর্যাদা সম্পর্কে সচেতনতার পরিচয় বহন করে।
  • অন্যের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো এবং সম্ভব হলে অন্যকে তার কাজে যথাসাধ্য সাহায্য করাও আত্মমর্যাদাবোধের বহিঃপ্রকাশ।
  • নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকা আত্মমর্যাদার অন্তর্ভুক্ত।

উপসংহারঃ একজন মানুষ হিসেবে সমাজের চলার জন্য অবশ্যই তাকে আত্মমর্যাদাবান হয়ে ওঠা উচিত।  একজন আত্মমর্যাদাবান মানুষ হিসেবে আমি উপরোক্ত বিষয় সমুহ আমার চরিত্রে অবলম্বন করে সামনের জীবনে এগিয়ে যেতে চাই।

About Author

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.