renewable energy

প্রথমেই আমরা জেনে নিব ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন সমূহ, লেখার নির্দেশনা এবং মূল্যায়ন রুবিক্স সমূহ যা আমাদের সমাধান লিখতে সহযোগিতা করবে। এসএসসি ২০২৪ পঞ্চম সপ্তাহের পদার্থ বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্নপত্রে সমাধান করার সবগুলো নিয়ম বা নির্দেশনা দেওয়া আছে।

এসএসসি ২০২৪ পঞ্চম সপ্তাহ পদার্থ বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট

নিচের ছবিতে এসএসসি ২০২৪ পঞ্চম সপ্তাহ পদার্থ বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট এবং নির্দেশনাসহ যাবতীয় বিষয় বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।

https://i.imgur.com/YbGz1vV.jpg

অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনাম: নবায়নযােগ্য শক্তির গল্প

জলবিদৎ হলাে অন্যতম প্রাচীন শক্তি উৎস বিশ্বজুড়ে বিশেষত প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদৎ উৎপা করতে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রচুর নদী থাৰ বাংলাদেশেও সম্ভাবনাটি কাজে লাগানাে যায়। টি একটি জলবিদযুৎ কেন্দ্র দেখানাে হলাে।

চিত্র: একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র

জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র

ক) চিত্রের কোন অবস্থানে জলের অন্যনতম বিভব শক্তি রয়েছে?

৩০ মিনিটের মধ্যে পানি 5.0 x 109 J শক্তি হারায় এবং 4.5 x 109 J বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপন্ন করে;

খ) শক্তির রূপান্তরকরণের দক্ষতা নির্ণয় কর;

গ) বৈদ্যতিক শক্তি 4.5 x 109 J কে ওয়াট (W) এককের মাধ্যমে প্রকাশ কর;

ঘ) বাংলাদেশের পরিবেশের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাব বিশ্লেষণ কর;

ঙ) জলবিদ্যৎ কী ধরনের শক্তি? এরূপ অন্যান্য শক্তির অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভ বর্ণনা করে একটি চার্ট তৈরি কর;

এসএসসি ২০২৪ পঞ্চম সপ্তাহ পদার্থ বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

এবার আমরা উপরোক্ত প্রশ্নসমূহ অনুসরণ করে এবং নির্দেশনাগুলো ভালোভাবে পড়ে এসএসসি ২০২৪ পঞ্চম সপ্তাহ পদার্থ বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান বা উত্তর লেখা শুরু করবো। তোমরা মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ে নাও তাতে তোমাদের এসএসসি পরীক্ষা ২০২৪ বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ বিজ্ঞান ৩য় অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর বা সমাধান লেখা সহজ হয়ে যাবে।

আমরা প্রতিটি প্রশ্নের ধারাবাহিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো যাবে তোমরা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তরপত্রে খুব ভালোভাবে উত্তরগুলো লিখতে পারো। তোমাদের জন্য এটি একটি নমুনা উত্তরমাত্র। অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিচের স্বকীয়তা ও সৃজনশীলতা বজায় রাখার চেষ্টা করবে।

নবায়নযোগ্য শক্তির গল্প

নিচে ধারাবাহিকভাবে নবায়নযোগ্য শক্তির গল্প – এসএসসি ২০২৪ পঞ্চম সপ্তাহ পদার্থ বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধান বা উত্তগুলো দেখে নাও এবং খাতায় সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখো।

ক) চিত্রের কোন অবস্থানে জলের অন্যনতম বিভব শক্তি রয়েছে?

প্রশ্ন-ক এর উত্তর

উত্তরঃ চিত্র মতে সর্বনিম্ন বা ন্যূনতম বিভব শক্তি রয়েছে টারবাইন হাউসে।

৩০ মিনিটের মধ্যে পানি 5.0 x 109 J শক্তি হারায় এবং 4.5 x 109 J বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপন্ন করে;

খ) শক্তির রূপান্তরকরণের দক্ষতা নির্ণয় কর;

প্রশ্ন-খ এর উত্তর

উত্তরঃ

দেওয়া আছে, 30 মিনিটে পানির বিভব শক্তি হ্রাস =5×109 J এবং উৎপন্ন বৈদ্যুতিক শক্তির পরিমাণ=4.5×109 J

এখানে পানির বিভব শক্তিকে, প্রদত্ত শক্তি হিসেবে কাজে লাগিয়ে টারবাইন এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ শক্তি তে রূপান্তর করা হয়।

সুতরাং,

অতএব টারবাইন টির কর্মদক্ষতা 90%

গ) বৈদ্যতিক শক্তি 4.5 x 109 J কে ওয়াট (W) এককের মাধ্যমে প্রকাশ কর;

প্রশ্ন-গ এর উত্তর

উত্তরঃ এখানে 30 মিনিট সময়ে টারবাইন দ্বারা বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন হয় 4.5×109J

যেখানে, অতিবাহিত সময়=30 মিনিট=30×60 সেকেন্ড=1800 সেকেন্ড

আমরা জানি, জুল (J) হল শক্তির একক এবং ওয়াট (W) হল ক্ষমতার একক আবার এক ওয়াট সমান (W) =1Js-1
সংজ্ঞা মতে, প্রতি একক সময়ে সম্পাদিত কাজ বা রূপান্তরিত শক্তির পরিমাণ-ই হল ক্ষমতা।

ঘ) বাংলাদেশের পরিবেশের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাব বিশ্লেষণ কর;

প্রশ্ন-ঘ এর উত্তর

উত্তরঃ বাংলাদেশ পরিবেশের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাব রয়েছে যেখানে ভালো এবং খারাপ উভয় প্রভাব লক্ষণীয় নিচে এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল-

পরিবেশের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভালো প্রভাব সমূহ:

১) জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস।

২) জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।

৩) জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভূগর্ভস্থ পানি  অপচয় না করেও, ভূমি উপরস্থ পানি দ্বারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব ।যেখানে পানির অপচয় কম ঘটে।

৪) জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থাপনের ফলে ওই স্থানের পরি পার্শিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন পরিলক্ষিত হয়।

৫) জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ফলে দেশের অর্থনৈতিক যেমন বৈদ্যুতিক উৎপাদন বৃদ্ধি পায় তেমনিভাবে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশপাশ টুরিস্ট  স্পট হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন সামাজিক উন্নয়ন ঘটে।

পরিবেশের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ফলে খারাপ বা বিরূপ প্রভাব:

১) প্রধানত জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন একটি ব্যয়বহুল প্রকল্প যা আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটু কষ্ট সাধ্য।

২) জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ব্যবহারের জন্য যে পানি প্রয়োজন তা যদি বৃষ্টিপাত না হয় ,তাহলে কেন্দ্রের ড্যাম অকার্যকর হয়ে যায়। যাতে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

৩) ভূমধ্য টেকনিক প্লেটের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়ার ফলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা থাকে।

৪) জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে ধ্বংস হলে আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়ে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।

অতএব জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে পরিবেশের উপর যেমন ভাল প্রভাব সমূহ রয়েছে তেমনি পাশাপাশি কিছু খারাপ প্রভাব লক্ষণীয়। তাই পরিবেশ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ করেন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন অবকাঠামোগত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক।

ঙ) জলবিদ্যৎ কী ধরনের শক্তি? এরূপ অন্যান্য শক্তির অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভ বর্ণনা করে একটি চার্ট তৈরি কর;

প্রশ্ন-ঙ এর উত্তর

উত্তরঃ জলবিদ্যুৎ একপ্রকার নবায়নযোগ্য শক্তি। এরূপ আরো অন্যান্য শক্তির মধ্যে রয়েছে সৌরশক্তি, রাসায়নিক শক্তি,তাপ শক্তি, নিউক্লিয়ার শক্তি, বায়ু শক্তি ইত্যাদি। নিচে উক্ত শক্তিসমূহের অর্থনৈতিক সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে চাট করে বর্ণনা করা হলো।

(তোমরা অবশ্যই উপরের চার্ট অনুসরণ করে উত্তরটা লিখবে। বোঝার সুবিধার্থে নিচে তথ্যগুলো বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।

সৌরশক্তি

অর্থনৈতিক প্রভাবঃ অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী। প্যানেল ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির দাম তুলনামূলক একটু বেশি ।তবে একবার স্থাপন করলে তাও অনেক দিন টেকে।

সামাজিক প্রভাবঃ সামাজিকভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়নে এবং ঘনবসতিপূর্ণ দেশে বিদ্যুতায়নের জন্য সোলার প্যানেল একটি উপযোগী পদ্ধতি।

পরিবেশগত প্রভাবঃ সোলার প্যানেল বাসর শক্তি প্রতিদিন পরিবেশগতভাবে খুবই কম মাত্রায় দূষণ হয়। কারণ সৌরশক্তি পদ্ধতিতে কার্বন নিঃসরণ হয়না।

রাসায়নিক শক্তি

অর্থনৈতিক প্রভাবঃ অর্থনৈতিকভাবে রাসায়নিক শক্তি সাশ্রয়ীএবং ব্যয়বহুল উভয়ই। আধুনিক সময়ে রাসায়নিক শক্তি ব্যবহার করে অর্থনৈতিকভাবে দিন দিন উন্নতি বেড়ে চলছে। যেমন বাসা বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার ও গাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার। উভয়স্থানে অর্থনৈতিকভাবে মানুষ সাশ্রয় হচ্ছে।

সামাজিক প্রভাবঃ সামাজিক উন্নয়নে রাসায়নিক শক্তির অবদান অগ্রগণ্য। বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ পুন:  ব্যবহারের মাধ্যমে সামাজিক এবং আর্থিকভাবে মানুষ স্বাবলম্বী হচ্ছে।

পরিবেশগত প্রভাবঃ রাসায়নিক শক্তির পরিবেশগত ব্যাপক বিরূপ প্রভাব রয়েছে। কিছু রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের পরে পরিবেশে নানারকম রোগ এবং ধ্বংস সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। যেমন তেজস্ক্রিয় রশ্মি মানুষের শরীরে ক্যান্সার এবং জটিল রোগ তৈরিতে প্রধান ভূমিকা রাখছে।

নিউক্লিয় শক্তি

অর্থনৈতিক প্রভাবঃ নিউক্লিয় শক্তি অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় এক প্রকার শক্তি। যা অধিক তাপমাত্রা উৎপাদনে সহায়ক।

সামাজিক প্রভাবঃ সামাজিক অবকাঠামোর নিউক্লিয় শক্তির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আধুনিক মিল কলকারখানা এবং বড় বড় ফ্যাক্টরিগুলো পরিচালনার জন্য বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ শক্তি যা নিউক্লিয় শক্তি থেকে উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে এতে সামাজিকভাবে উন্নতি হচ্ছে।

পরিবেশগত প্রভাবঃ পরিবেশের উপর নিউক্লিয় শক্তি কিছুটা বিরূপ প্রভাব রয়েছে। নিউক্লিয় শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য সমূহ ব্যবহারের পর সঠিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা না হলে পরিবেশে তা মিশে জীববৈচিত্র্য ব্যাপক ক্ষতি করে।

তাপ শক্তি

অর্থনৈতিক প্রভাবঃ তাপ শক্তি এক ধরনের নবায়নযোগ্য শক্তি। যার ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তাপ শক্তির প্রয়োজনীয়তা আছে।

সামাজিক প্রভাবঃ তাপ শক্তি সামাজিকভাবে তেমন কোন পরিবেশের ক্ষতি করে না। কারণ এটি ব্যবহৃত বর্জ্য সমূহ সহজে নিষ্কাশন যোগ্য।

পরিবেশগত প্রভাবঃ পরিবেশের উপর তাপশক্তির মোটামুটি বিরূপ প্রভাব রয়েছে। তাপ শক্তির ফলে যে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে, সেখানে তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকে যা পরিবেশ এর কিছু প্রয়োজনীয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী দের জন্য হুমকিস্বরূপ।

বায়ু শক্তি

অর্থনৈতিক প্রভাবঃ বায়ু শক্তির অর্থনৈতিক খরচ বেশি। পরিমাণে কম বিদ্যুৎ উৎপাদনের তুলনায় খরচ হয় বেশি এবং জায়গা প্রয়োজন বেশি। বর্তমানে সাগর তীরে বায়ু শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন করছে।

সামাজিক প্রভাবঃ বায়ু শক্তির সামাজিকভাবে কিছুটা নেতিবাচক দিক রয়েছে। বায়ু শক্তি জনসমাগম এলাকায় উৎপাদনের ক্ষেত্রে জনগণের জন্য সমস্যা হয়ে থাকে যা সামাজিকভাবে নেতিবাচক।

পরিবেশগত প্রভাবঃ বায়ুতে পরিবেশগত কোনো প্রভাব নেই। কারণ এতে কোন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হয় না।

আরও দেখুনঃ

রাসায়নিক বিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ, বিক্রিয়ার সমীকরণ ও উৎপন্ন গ্যাসের শনাক্তকরণ পদ্ধতি বর্ণনা এবং কাপড় কাচা সােডা অথবা বেকিং সােডার আণবিক ভর নির্ণয়

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.