বর্তমানে আমাদের দেশের অনেক তরুণ তরুণীরা ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে আপনি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। ঠিক একইভাবে পরিবার কে সাপোর্ট করে যেতে পারছে। আর আপনি যদি নতুন একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করেন। তাহলে কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যেসব বিষয়গুলো আপনাকে সবসময় এড়িয়ে চলতে হবে।

যদি আপনি এইসব বিষয়গুলো ভালভাবে এড়িয়ে চলতে পারেন। তাহলে দেখবেন আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হঠাৎ করে কোন কারনে থেমে থাকবে না। আর আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ও অকালে শেষ হয়ে যাবে না। কেননা অনেকেরই দেখা যায় কিছু কিছু ভুলের কারণে তাদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ধ্বংস করে নিজেরাই। এতে করে তারা অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়।

আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যেসব ভুল গুলো আপনার এড়িয়ে চলার দরকার সেই সব ভুল গুলো সম্পর্কে। এসব ভুল করে যদি আপনি ভালভাবে এড়িয়ে চলতে পারেন। তাহলেই আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হবে উজ্জ্বল। তো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

যাতে করে আপনি খুব সুন্দর ভাবে জানতে এবং বুঝতে পারেন নতুন একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার কি কি বিষয় গুলো এড়িয়ে চলা উচিত। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার কোন কোন ভুল গুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

ফ্রি ওয়ার্ক না করা

বর্তমানে দেখা যায় অনেক ফ্রিল্যান্সাররা নিজের পোর্টফলিও এর জন্য বিনামূল্যে বা ফ্রিতে বিভিন্ন ক্লায়েন্টকে কাজ করে দেয়। এতে কিন্তু আপনার কোনো লাভ হচ্ছে না। আপনার সময় ব্যয় হচ্ছে। আর তাই আপনি যদি পারেন নিজের কোনো কাজ করার মাধ্যমে আপনার পোর্টফোলিও সাজাতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যদি আপনি নিজের পোর্টফলিও জন্য ভালো কোন কাজ সাজেস্ট করতে না পারেন।

তাহলে চাইলে আপনি যে কাজ গুলো করছেন সেগুলো ভিডিও করে ইউটিউবে অথবা ফেসবুকে আপলোড করতে পারেন। এতে করে দেখবেন আপনার ইউটিউব ও ফেসবুকে নতুন একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে একটি মার্কেট ভ্যালু সৃষ্টি হয়ে যাবে। এতে করে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট যদি আপনার কাজ পছন্দ করে। তাহলে তারা আপনাকে নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তাদের কাজের জন্য হায়ার করবেন। আপনি তাদের কাজগুলো করে দিলে ভালো এমাউন্ট পেমেন্ট পাবেন।

লো রেট ওয়ার্ক

নতুন ফ্রিল্যান্সাররা সবচেয়ে বড় যে ভুলটি করে থাকে সেটা হল কম রেটে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাজ করে দেওয়া। এটা কিন্তু কখনই করা যাবে না। আপনার কাজের চাহিদা অনুযায়ী এবং কাজের যত টাকা চার্জ করা প্রয়োজন আপনি ঠিক ততো টাকা রিচার্জ করবেন। কখনই কম রেটে কাজ করতে যাবেন না। এতে করে যেমন আপনার উপর পরবর্তীতে ব্যাড ইফেক্ট পড়বে ঠিক তেমনই অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের উপরেও খারাপ প্রভাব পড়বে।

একাধিক মার্কেট

আমি দেখেছি এমন অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা একটি মাধ্যমে টাকা আয় করে থাকে। তারা একাধিক পদ কখনোই তৈরি করে না। এর ফলে দেখা যায় যদি কোন কারণে তাদের ওই মেন একাউন্ট ডিজেবল হয়ে যায়। অথবা কোন কারণে তাদের ব্যলেন্স যদি হোল্ড করে রাখা হয় তাহলে তারা বিপাকে পড়ে।

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই একাধিক আয়ের পথ আগে থেকেই তৈরি করতে হবে। এছাড়া অপশনাল ভাবে ইউটিউবিং ও ফেসবুকেও কাজ করতে পারে। আপনি যেসব কারণে ফ্রীলান্সিং করেন সেসব বিষয়ে কোনো একটি মাধ্যমে না রেখে নানান মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারেন।

তো আপনি যদি নতুন একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে উপরের ভুলগুলো কখনোই করবেন না। আপনি যদি উপরের কোন একটি ভুল করে থাকেন তাহলে এখনি নিজেকে সংশোধন করার মাধ্যমে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার খুব সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারবেন।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন যে নতুন একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার যেসব ভুল গুলো এড়িয়ে চলতে হবে সেই সব বিষয়গুলো সম্পর্কে। এখন আপনি ভালভাবে জানতে ও বুঝতে পারার কারণে এসব সমস্যার সম্মুখীন আমার মনে হয় আর কখনোই হবেন। এর পরও যদি আপনি নতুন একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে উপরে ভুল গুলো করে থাকেন।

অথবা উপরে ভুল গুলো ভালো ভাবে বুঝতে না পারেন। তাহলে অবশ্যই আমাদের কে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে আপনার সমস্যাটির সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করব। যাতে করে আপনি যদি নতুন একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকে তাহলে উপরের সবগুলো বিষয় যেন ভাল ভাবে এড়িয়ে চলে নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ভালোভাবে করে সফল হতে পারে।

 

 

 

জানতে ও জানাতে চাই।