আমরা বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে মোবাইল ফোন আগুন লেগে ব্লাস্ট হয়ে গেছে এসব জানতে পারি। আরো জানা যায় যে মাঝে মাঝে মোবাইল ফোনে আগুন লেগে মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু হয়তো আমাদের কারো ফোনে এখনো পর্যন্ত আগুন লেগে ব্লাস্ট হয়নি। তবে এমন ও হতে পারে যে কিছু ভুল করার কারনে খুব শীঘ্রই আপনার ফোনটি ও ব্লাস্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন এমন কিছু ভুল আপনি হয়তো করে থাকেন যেসব ভুল গুলো করার কারণে খুব শীঘ্রই আপনার ফোনটি ব্লাষ্ট হয়ে যেতে পারে।

আর এতে করে আপনি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। কেননা অনেকেরই ফোন বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কারণে আগুন লেগে যায়। আগুন লেগে যায় শুধু বললে ভুল হবে কিছু কিছু ফোন ব্লাস্ট পর্যন্ত হয়ে যায়। কখন ও কি আপনি কল্পনা করেছেন যে কি কি কারনে ফোনগুলো ব্লাষ্ট হয়? অথবা কখনো কি ভেবে দেখেছেন ফোনগুলোতে আগুন লেখে যাওয়ার মূল কারণ কি। যদি ভেবে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মূলত আপনার জন্যই।

কেননা আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ফোন কেন ব্লাস্ট হয় অথবা ফোনে কেন আগুন ধরে যায়। আশাকরি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি হয়তো খুব ভালোভাবে জানতে বা বুঝতে পারবেন যে কি কি কারনে ফোন ব্লাস্ট ও আগুন লেগে যায়। তো চলুন জেনে নেয়া যাক মোবাইল ফোন কি কি কারণে ব্লাস্ট হয়ে যায়। অথবা কি কি কারণে ফোনে আগুন লেগে যায়।

 

স্মার্টফোন কেন বিস্ফোরিত হয়?

আপনি আজ পর্যন্ত যত গুলো মোবাইল ফোনে আগুন লেগে গেছে অথবা ব্লাস্ট হয়ে গেছে এর মত ঘটনা গুলো পাবেন। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাবেন ব্যাটারির কারনে এই সমস্যা গুলো দেখা দিয়েছে। হ্যাঁ! আপনি ঠিকই শুনেছেন মোবাইল ফোন ব্লাস্ট হওয়া অথবা আগুন লাগার বেশিরভাগ কারনের ভিতরে সবচেয়ে বেশি আগুন লেগে থাকে ফোনে থাকা ব্যাটারীর কারণে। মূলত ব্যাটারিগুলো ব্লাস্ট হয়ে যাওয়ার কারনে ফোনগুলো তো আগুন ধরে যায়।

আজকাল আপনি স্মার্টফোন গুলোতে দুই ধরনের ব্যাটারি দেখবেন। একটি হলো লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি অন্যটি হলো লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। এই পর্যন্ত যতগুলো মোবাইল ফোনে আগুন লেগেছে অথবা লাস্ট হয়েছে তার মধ্যে দুটো ব্যাটারি কম বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আমরা বলব না যে এই দুইটি ব্যাটারির ভিতর একটি ব্যাটারিতে বেশি আগুন লাগে। আর অন্য ব্যাটারীতে কম আগুন লাগে। আর তই বলা যায় যে, দুটো ব্যাটারীতে আগুন লাগতে পারে।

 

মোবাইল ফোন ব্লাস্ট বা আগুন হওয়ার হাত থেকে রক্ষার উপায়

আমাদের মধ্যে অনেকেরই দেখা যায় যে মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়া অবস্থায় ব্যবহার করে থাকে। এটা যদি করেন তাহলে কিন্তু আপনার ব্যাটারিতে প্রভাব পড়ার কারণে যে কোন মুহূর্তে ব্যাটারি ব্লাস্ট হয়ে ফোনে আগুন ধরে যেতে পারে। এছাড়া আবার অনেকের হয় যে, মোবাইল ফোন গরম হয়ে যাওয়ার পরে ও মোবাইল টিপতে টিপতে একসময় গরম অবস্থাতেই চার্জে দিয়ে থাকেন। কিন্তু এটা কখনোই করা যাবে না। যদি আপনার গরম হয়ে যায় তাহলে যতক্ষণ পর্যন্ত না শীতল হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যবহার না করাই ভালো।

যে কোন সময় যদি আপনার ফোনে অরজিনাল চার্জার নষ্ট হয়ে যায় তাহলে চেষ্টা করবেন উন্নত মানের একই কোম্পানির চার্জার ব্যবহার করতে। অথবা একটু বেশি টাকা খরচ করে ভালো কোন একটা চার্জার দিয়ে ফোন চার্জ দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আর একটা বিষয় সবসময় খেয়াল রাখবেন যে, মোবাইল ফোন ব্যবহার পরে অবশ্যই ভালোভাবে নিরাপদে কোন স্থানে রাখবেন।

আমাদের মধ্যে অনেকে ফোন ব্যবহার করার পর আগুনের সামনে, চু্ল্লির সামনে অথবা রোদের মধ্যে রাখে। আপনি জানলে অবাক হবেন যে, এইসব কারণে আপনার ফোনটি যেকোনো মুহূর্তে ব্লাষ্ট হয়ে যেতে পারে। কেন না সূর্যের তাপের প্রভাব ফোনের ব্যাটারীতে পড়তে পারে। এর কারণ আপনার ব্যাটারি লিক হয়ে আগুন, ব্লাষ্ট এর মত যেকোনো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

যদি মোবাইল ফোন ব্লাস্ট হওয়ার মতো ঘটনা থেকে বাঁচতে চান। তাহলে অবশ্যই উপরের টিপস টা ভালো ভাবে ফলো করবেন। তাহলে হয়তো দেখা যাবে যে কখনো আপনার ফোনটি ব্লাস্ট না ও হতে পারে যদি ও শিউর এটা বলা যায় না। সব সময় তো আর আপনি ভাল ভাবে ফোনের ভিতরে খেয়াল রাখতে পারবেন না যে কখন ফোনের ব্যাটারি পাংচার বা লিক হয়ে যায়। আর তাই এটা পুরোপুরি নির্ভর করে তবে আপনি যদি ভাল ভাবে সব কিছু এড়িয়ে চলতে পারেন তাহলে বলা যায় যে আপনার ফোন ব্লাস্ট বা আগুন লেগে যাওয়ার ঝুঁকি তে খুব কম থাকবে।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারলেন যে কি কি কারনে ফোনে আগুন জ্বলে যায়। এখন হয়তো একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে খুব সহজেই আপনার ফোনে আগুন লাগার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। এরপরও যদি আমি কোন কিছু বুঝতে না পারেন যে, কিভাবে আপনার ফোনটি আগুন লাগার হাত থেকে রক্ষা করবেন। তাহলে অবশ্যই আমাদের কে কমেন্ট করে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। যাতে করে আমরা আপনার সমস্যাটির সমাধান করে দিতে পারি। আর আপনি যেন আপনার ফোনটি নিরাপদে ব্যবহার করতে পারেন।

জানতে ও জানাতে চাই।